অনুবাদে: ইললু। (১৫) তার নিরাসক্ত ভাব দেখে কিছুটা হতাশ হলো রালফ,অনুভুতি,উচ্ছাস একপাশে সরিয়ে রেখে বললো, “আমার পড়া,গবেষনায় সংগ্রহ করা কিছু কাগজপত্র”। “যাক যন্ত্রনার আলোচনায় আসা যাক,আমি জানতে চাই যন্ত্রনা সমন্ধে,আমার সেদিনের অনুভুতি”। “গতকাল তুমি যন্ত্রনায় খুঁজে পেয়েছ আনন্দ,আজ যন্ত্রনা তোমাকে নিয়ে গিয়েছে শান্তির রাজ্যে।তবে ওর দাস হয়ে পড়ো না,নেশাটা আটকে রাখবে তোমাকে,ফেরার সূযোগ হবে না […]
বিস্তারিত »লেখার প্যাডটা একটু সেঁকে দাও না!- শতবর্ষের স্মৃতির সরণিতে…. সাহিত্যিক বিমল কর। (২০২১)
লেখার প্যাডটা একটু সেঁকে দাও না! শতবর্ষের স্মৃতির সরণিতে…. সাহিত্যিক বিমল কর। ষাটের দশক। সন্ধেবেলা কলেজ স্ট্রিট বাস স্টপে ধুতির কোঁচা শক্ত করে ধরে এক ব্যক্তি। তাঁকে ঘিরে আরও সাত-আট জন। বয়সে তারা কোঁচাধারীর চেয়ে অনেকটাই ছোট। এক একটি করে বাস আসছে, হাত দেখিয়ে থামাচ্ছে ছেলেরা। কিন্তু কোঁচাধারী কাতর কণ্ঠে বলছেন, ‘ওরে বাবা! লোক দাঁড়িয়ে […]
বিস্তারিত »এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো-পর্ব-সাত।
অনুবাদে ইললু। সপ্তম অংশ তিনটা মাস চলে গেল,শরত বাতাসের দোলা চারপাশে,ক্যালেন্ডারে মারিয়া দাগ দিয়ে রেখেছে তিন মাস পরে ব্রাজিলে যাওয়ার দিনটা।সব কিছুই অদ্ভুত ভাবে বদলাচ্ছে চারপাশে-চলছে দ্রুতগতিতে,আবার থমকে ফিরে আসছে স্থবিরতায়,পৃথিবীটা যেন ভাগ করা দুটো সময়ের খাতায়।দুটো পৃথিবীর অভিযানগুলো অনেকটা ফুরিয়ে যাচ্ছে,যদিও সে চালিয়ে যেতে পারে তার অভিযান আরও,তবে তার অদৃশ্য মুখটা,বারে বারে তাকে মনে […]
বিস্তারিত »কথা শিল্পী যখন বার্মায় ছিলেন।
কথাশিল্পী যখন বর্মায়… বর্মা প্রবাসে তাঁর জীবন ছিল বিচিত্রপূ্র্ণ…মুখভর্তি দাড়ি, ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট, তাঁর নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। গল্প লেখেন, লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। পরিবার, বন্ধু, কাউকে কিছু না জানিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বর্মা (এখনকার মায়ানমার) পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজ বর্মার রাজধানী রেঙ্গুনে ঢোকার আগেই তাঁকে যেতে হল ‘কোয়ারান্টিন’-এ। সেই সময় কোনও বন্দরে সংক্রামক […]
বিস্তারিত »” মানুষের দুঃখটাই যদি দুঃখ পাওয়ার শেষ কথা হত, তার মূল্য ছিল না” -আমাদের প্রিয় শরৎ বাবু এবং অনেক অজানা কথা
‘‘দেবের আনন্দ ধাম দেবানন্দপুর গ্রাম/ তাহে অধিকারী রাম রামচন্দ্র মুনসী।/ ভারতে নরেন্দ্র রায় দেশে যার যশ গায়/ হয়ে মোর কৃপাদায় পড়াইল পারসী।।’’— হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামকে নিয়ে এই পঙ্ক্তি লিখেছিলেন রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র। স্বভাবতই, সে গ্রাম জড়িয়ে ছিল মহাকবির নামের সঙ্গেই। তবে তার পরে বাংলা সাহিত্যের মহাকাশে আর এক নক্ষত্র জন্ম নিলেন এই দেবানন্দপুরেই। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। […]
বিস্তারিত »হরিণ এক লাফে ২৩ হাত
হরিণ এক লাফে ২৩ হাত পর্যন্ত যেতে পারে, আর বাঘ এক লাফে ২২ হাত পর্যন্ত যায়। এদের একসাথে দৌড়াতে দিলে বাঘ কখনো হরিণকে ধরতে পারবে না। কিন্তু হরিণ মাঝে মাঝে পিছনের দিকে তাকিয়ে বাঘের দুরত্ব দেখার চেষ্টা করে। হরিণের সব থেকে বড় ভুল পিছনের দিকে তাকিয়ে অন্যের অবস্থান জানতে চাওয়া, এজন্যই হরিণ বাঘের শিকার হয়।। […]
বিস্তারিত »কবিতার অর্থ খোঁজা
কবিতার অর্থ খোঁজা………….. । অনেক সময় আমাদের অনেক কবিতা বুঝা হয় না, প্রকৃত অর্থ বের করে আনতে সক্ষম হই না, অথচ একটি ছন্দ খুঁজে পাই, একটি অর্থ এসে ধরা দেয় , আবার কখনও মাথায়, ভাবনায় অনুভূতিতে একটি ছোঁয়া বা দোলা লাগিয়ে চুড়ুই পাখির মত উড়ে যায় তবে ভালো লাগা থেকে যায় মনে, ভাবনায়, অনুভূতিতে। যিনি […]
বিস্তারিত »এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো-পর্ব-ছয়।
অনুবাদে: ইললু ষষ্ঠ অংশ ভালবাসা নিয়ে মারিয়া যতই যাই ভাবুক না কেন, ভুলে যায়নি সে তাকে দেয়া উপদেশ, ভালবাসাকে একপাশে সরিয়ে রেখে উর্পাজনের দিকেই চোখ রাখলো সে,ভালবাসা পড়ে থাকলো তার ডাইরীর পাতায়।খুব অল্প সময়ে প্রচুর টাকা উর্পাজন করার এমন সুযোগ আর কি আছে,সেই বিশেষ কারণে অনেকের বেঁছে নেয় জীবনের নোংরা এ দিকটা।মারিয়ার এই যৌনব্যাবসা-এটা তার […]
বিস্তারিত »এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো- পর্ব-পাঁচ
পঞ্চম অংশ অনুবাদে: ইললু। বেশ সকাল সকাল উঠে মারিয়া গেল নাস্তা খেতে পুরোনো দোকানটায়,লেকের ধারে হেঁটে বেড়াতে বেড়ালো,দেখলো একটা কিছু নিয়ে চলছে বিদেশীদের প্রতিবাদ।কুকুর নিয়ে বেড়াচ্ছিল এক মহিলা,জানলো তার কাছে প্রতিবাদ করছে কুর্দরা,কোন ভনিতা না করেই মারিয়া জানতে চাইলো, “কোথা থেকে এসেছে কুর্দরা”? মহিলার ও জানা ছিল না কোথা থেকে আসে কুর্দরা।পৃথিবীটা এ ধরণেরই, সবাই […]
বিস্তারিত »এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো-পর্ব-চৌদ্দ (১৪)
অনুবাদে: ইললু। (১৪) সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে টেরেন্স ভাবছিল,বেশীর ভাগ লোক বুঝে উঠতে পারবে না তার চিন্তাধারার ধরণটা।ওটাই তো ভাল,সাধারণ না হয়ে অসাধারণ,অস্বাভাবিক হয়ে বেঁচে থাকাটায় মন্দ কি?টেরেন্সের মনে পড়ে তাদের বিয়ের সাধারণ চেহারা থেকে অলৌকিক এক চেহারায় পরিবর্তনের পর্বটা।বৌ এর কাছে অজানা ছিল নাতার জেনেভার গল্প,ব্যাস্ততার ফাঁকে,আনন্দের ছোট্ট আকাশটা তো টেরেন্সের প্রাপ্য,মনে মনে এটা […]
বিস্তারিত »এলিভেন মিনিটস-পাওলো কোয়েলহো-পর্ব-চার
পাওলো কোয়েলহো এর এলেভেন মিনিটস অনুবাদে: ইললু। চতুর্থ অংশ মারিয়া ঠিক করলো সে হবে জীবন অভিযানের নতুন এক নাবিক,হবে রাতের কান্না দুঃখ সরানো এক নতুন মারিয়া,তার নতুন জন্ম এক।অনুভুতির ঝড় একপাশে সরিয়ে তাকে হতে হবে নতুন এক মারিয়া ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার জন্যে।তার চারপাশটা ব্রাজিলের সেই ছোট্ট শহরটার মতই,মেয়েরা পর্তুগীজে কথাও বলতে পারে,একগাদা অভিযোগ পুরুষদের নিয়ে,একই […]
বিস্তারিত »মির্জা গালিব কথা – সংগ্রহিত
মির্জা গালিব (মির্জা আসাদুল্লাহ খান গালিব, শব্দ জাদুকর (১৭৯৭-১৮৬৯ সাল দিল্লী) তিনি উর্দু ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি হলেও ফারসি ভাষার প্রতি গালিব ছিলেন অত্যানুরাগী এবং এ ভাষায় তাঁর দখল ছিল ঈর্ষনীয়। উপনিবেশিক পরাধীনতার মাঝে গালিবের জন্ম। শের শায়েরী সে এলো আমার ঘরে কি ঈশ্বরের লীলাখেলা আমি কখনো তাকাই ঘরের দিকে আর কখনো তাকাই তার দিকে।। কিছু […]
বিস্তারিত »মৈত্রেয়ী দেবী আর মির্চা এলিয়াদের প্রেম
মৈত্রেয়ী দেবী আর মির্চা এলিয়াদের প্রেম কি শরীরী প্রেম না স্বর্গীয় প্রেম ? কে জানে মনের অন্দরের গোপন খবর? শুধু মৈত্রেয়ী দেবীর সেই সাহসী উচ্চারণ পাওয়া যায় ” ন হন্যতে ” বইটিতে, “MIRCEA ! MIRCEA! I HAVE TOLD MY MOTHER THAT YOU HAVE KISSED ME ON MY FOREHEAD.” এবার সেই প্রেমকথা। মৈত্রেয়ী দেবীর বাবা ড. […]
বিস্তারিত »বনফুল ও গরু রচনা
*গরু’র একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।* বলাইচাঁদ তখন আই এস সি তে পড়ছে। সাহিত্য নিয়ে লেখালেখি ও করে। একদিন ক্লাসে এলেন বাংলার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড।এসেই বললেন “রচনা লেখো”। যদিও সবার পাঠ্য বিষয় অঙ্ক, রসায়ন আর উদ্ভিদবিদ্যা। সবার প্রশ্ন “কি লিখব স্যার”? স্যার বললেন “গরুর রচনা লেখ”।শুনেই সবার মাথায় হাত। বলে কি? এই উচ্চ ক্লাসে, […]
বিস্তারিত »