আমেরিকায় আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দুষেছেন তিনি। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মন্তব্য, ‘‘ইউনূসের পরিকল্পনাতে গণহত্যা চলছে বাংলাদেশে।’’
নিউ ইয়র্কের ওই সভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, ধর্মস্থান এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের উপর হামলারও নিন্দা করেছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মুহাম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে একটি সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরাই মাস্টারমাইন্ড। এমনকি, তারেক রহমান (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপি নেতা) লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যু চলতেই থাকে, তা হলে সরকার টিকে থাকবে না।’’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে তৈরি হওয়া জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেছিলেন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন। গত মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মুজিবুর রহমানের কন্যা। মঙ্গলবার কার্যত ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে। কেন আক্রান্ত হচ্ছে মন্দির, গির্জা?’’
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ঢাকা ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন হাসিনা, তিনি বলেন, ‘‘আমি গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চাইতাম, তা হলে গণহত্যা হত। যখন নির্বিচারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার চলে যাওয়া উচিত। আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তা ঠেকাতে যদি গুলি চালাতেন তবে গণভবনে বহু মানুষের মৃত্যু হত। আমি তা চাইনি।’’
সূ্ত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
তারিখ: ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,