লেখক:খান মো. রবিউল আলম।
তবে কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ব? সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশ ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন উঠছে। মনে রাখতে হবে, কেউ চূড়ান্ত নন। যে কাউকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। প্রশ্ন জারি রাখাটা বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চার জন্য খুব জরুরি। আলাপ-আলোচনা, বিচার-বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে সত্য প্রতিভাত হবে। বঙ্গবন্ধুও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন, চূড়ান্ত নন।
কিন্তু যখন কেউ বঙ্গবন্ধুকে সংকোচনবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছেন বা তাঁর সম্পর্কে দ্রুত উপসংহারমূলক মন্তব্য করছেন, তখন তা জটিল মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এ কারণে যে তা কি ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ? আমরা কি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্বিচার মন্তব্য করব, সংকোচনবাদী দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নেব। নাকি খোলামন নিয়ে দেখব।
ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এমন নৈতিক প্রশ্ন মনের ভেতর উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। প্রশ্ন জাগছে, বাঙালির মননে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে নির্মাণ করেছেন? না তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠেছে? কোনো মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস কি নেতৃত্বশূন্য হয়?
সম্প্রতি কবি, লেখক ও ভাবুক ফরহাদ মজহার তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেননি, সেই সময় তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন জিয়াউর রহমান।’ ফরহাদ মজহারের চিন্তার বিস্তর পরিধি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে। অনেক মৌলিক চিন্তার জন্য আমি ফরহাদ মজহারের কাছে ঋণী।
কথা হলো, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন এবং ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের কারণেই। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা ও পরম্পরা কারও অজানা নয়। ফরহাদ মজহারের এ পোস্টের নিচে একজন শ্লেষ মাখানো মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তবে কি বঙ্গবন্ধু ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে পাকিস্তানের কারাগারে ঢুকেছিলেন?’
ফরহাদ মজহার বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে আরও লিখেছেন, ‘তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি করেছেন, মতাদর্শের দিক থেকে মুজিব মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বাইরে নন। কিন্তু স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতির ওপর আঘাত এলে তিনি সেক্যুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারক হয়ে ওঠেন।’
বঙ্গবন্ধুর রক্তে তো ইসলামিক এলিমেন্ট রয়েছে এবং তিনি তা পেয়েছেন তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যের জায়গা হলো তিনি ধর্মপ্রাধান্যশীল ছিলেন না। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রোমোট করতে চেয়েছিলেন। সর্বজনীন মূল্যবোধ ছিল তাঁর রাজনৈতিক রসায়ন।
২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট দৈনিক সমকালে ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবতী ‘বাঙালি সত্তার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু’ প্রবন্ধে চমৎকারভাবে বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু সেক্যুলার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল বাইনারি দৃষ্টিভঙ্গি ভাঙার একটি বিশেষ অ্যাপ্রোচ। ১৯৭৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জে এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্মকর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্মকর্ম পালন করবে, বুড্ডিস্ট তার ধর্মকর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, এই ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’
শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেননি বলে ফরহাদ মজহার যে মন্তব্য করছেন, তার প্রতি-উত্তরে বলা যায়, তাহলে এ দেশে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ কী ঘটেনি? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৫ বছর জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে বন্দী ছিলেন। তবে কি তিনি আরাম-আয়েশ, ভালো খাবারদাবার, আশ্রয়ের আশায় কারাগারে বন্দী ছিলেন?
এখানে কি চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্নর সামরিক আইন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, উনসত্তরের গণ-আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি? তবে কে ছিলেন ইতিহাসের সেই বাঁক-মোহনার অগ্রনায়ক। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে কে সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন?
গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে শূন্যতা অনুভব করছি। মনে হচ্ছে, এত দিন যাবৎ যা পড়েছি, সব ট্রাস। বঙ্গবন্ধু নামে এখানে কেউ ছিলেন না? অথবা থাকলেও ছিলেন খুব নগণ্য এক মানুষ।
বাঙালি তুলনা করতে পছন্দ করে। কে কার চেয়ে উন্নত, কে কার চেয়ে বড়, সে ধরনের তুলনার মনোভঙ্গি আমাদের রয়েছে। যেমন কবি ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছেন জিয়াউর রহমান।’ জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তা তো সত্য। যাঁরা তা স্বীকার করেন না, তা তাঁদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা করা বা প্রতিস্থাপনের চেষ্টা সমীচীন প্রকল্প বলে মনে করি না। মুক্তিযুদ্ধের সুপ্রিম কমান্ড কাদের হাতে ছিল?
জিয়াউর রহমান নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তিনি অতি অল্প সময়ে মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। চার বছর (১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে) একজন রাষ্ট্রনায়কের জন্য খুব বেশি সময় নয়, তারপরও তিনি জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষের রয়েছে ভালোবাসা। সেই সত্য অস্বীকার করলে বাস্তবতা অস্বীকার করা হবে।
যাঁর যতটুকু ভালো, ততটুকু ভালো বলি। আর যাঁর যতটুকু মন্দ, ততটুকুও মন্দ বলি। যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘শেখ মুজিব ছিলেন দুজন। প্রথম জন স্বাধীন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত স্থপতি। দ্বিতীয় জন খোদ সংবিধান জখম করে একদলীয় শাসন কায়েম করা একনায়ক।’ এ বিশ্লেষণের মধ্যে একধরনের অবস্থান বোঝা যায়। বিষয়টি বাতিল না করে ঘটনাপরম্পরার ন্যায্য বিশ্লেষণ তুলে ধরা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কেউ অতীত মুছতে পারে না। সেই চেষ্টাও শুভ কোনো প্রচেষ্ট নয়। কিন্তু আমরা বর্তমানে দাঁড়িয়ে অতীত মুছতে তৎপর হয়েছি। অতীত যখন মুছতে থাকি, তখন মূলত ভবিষ্যৎ এসে খুন হয় বর্তমানের ভেতর। ভবিষ্যৎ শূন্য হওয়ার আশঙ্কায় তৈরি হয়।
শেখ হাসিনা একনায়ক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে চারটি ন্যারেটিভের আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা হলো বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় পুনঃপুন উপস্থাপনের ফলে তাঁকে টক্সিক করে ফেলা হয়েছিল। শেখ হাসিনা সব অপকর্ম এ চারটি ন্যারেটিভের চাদরে ঢাকতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয়বার খুন হলেন শেখ হাসিনা সরকারের হাতে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুকে একক সম্পদে পরিণত করেছিল।
সবাই থাকুক স্বমহিমায় আপন ধারায়। সবাইকে দেখতে হবে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, সব ধরনের সংস্কারমুক্ত হয়ে। যদি ঝুঁকে পড়ি, পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে নির্মোহচর্চা বেশি দূর এগোবে না। সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সীমাবদ্ধতা ও উন্মুক্ততা মিলিয়ে এক স্বতন্ত্র ডিসকোর্স। তাঁকে পুরো অস্বীকার করার বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো রাস্তা খোলা আছে কি?
যাহোক, বঙ্গবন্ধু নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভ ও অশ্রদ্ধা তৈরি হয়েছে, তার জন্য মূলত শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের অপশাসন দায়ী। বঙ্গবন্ধু যদি কারও হাতে চরমভাবে নিগ্রহ হয়ে থাকেন, সেটা হলো সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনার সরকার। একদিকে তাঁর ছিল দুঃশাসন, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ান।
আরও পড়ুন
৩২ নম্বরের দগ্ধ বাড়ি: ইতিহাসের পোড়া কপাল
১৫ আগস্ট ২০২৪
৩২ নম্বরের দগ্ধ বাড়ি: ইতিহাসের পোড়া কপাল
শেখ হাসিনা একনায়ক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে চারটি ন্যারেটিভের আশ্রয় নিয়েছিলেন, তা হলো বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন, স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় পুনঃপুন উপস্থাপনের ফলে তাঁকে টক্সিক করে ফেলা হয়েছিল। শেখ হাসিনা সব অপকর্ম এ চারটি ন্যারেটিভের চাদরে ঢাকতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয়বার খুন হলেন শেখ হাসিনা সরকারের হাতে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুকে একক সম্পদে পরিণত করেছিল।
জনগণের ভেতর বঙ্গবন্ধুকেন্দ্রিক মালিকানাবোধ সৃষ্টি করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে পুনঃপুন উপস্থাপন করেছেন। এতে বঙ্গবন্ধু জনমন থেকে ক্রমে দূরে সরে গেছেন। শেখ হাসিনা তাঁর ন্যারেটিভগুলো চূড়ান্ত বিচারে দাঁড় করাতে পারেননি। শেখ হাসিনার পতন মূলত তাঁর ন্যারেটিভের পতন।
শেখ হাসিনার সরকার অন্যায্য বিষয়গুলোকে ন্যায্য হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ তা গ্রহণ করেনি। ছাত্র-জনতা সমবেত হয়েছে, কণ্ঠ উচ্চকিত করেছে। কোটা থেকে বৈষম্য এবং বৈষম্য থেকে এক দফা—সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার এমন একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো দাঁড় করিয়েছিল, যেখানে নাগরিকদের মধ্যে এ অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, তারা এ রাষ্ট্রের কেউ নয়।
এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেছে জনমালিকানা বোধসম্পন্ন গণ-আন্দোলন। সবার ক্ষোভ, দ্রোহ, ভালোবাসা ও সংহতি মিলিয়ে এ গণ-আন্দোলন সর্বজনীন হয়েছে। খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করলে তা সহজেই অনুমান করা যায়। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, মুটে, ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী—সবাই আত্মত্যাগের মিছিলে শামিল হয়েছেন। এ গণ-আন্দোলনের বিশেষ দিক হলো এটি নিছক ক্ষমতার পালাবদল নয়; এটি গণতান্ত্রিক সমাজ রূপান্তরের এক বিশেষ দ্রোহ, বিশেষ প্রকাশ।
এ গণ-আন্দোলনের মিশন হলো বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ। আন্দোলনকারীদের এ প্রেরণা এসেছে দেখে ফেলা এক অন্যায্য রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে। এ গণ-আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অনেক উক্তি পরিপ্রেক্ষিতের উপযোগী করে ব্যবহার করা হয়েছে, যা মূলত শাসকগোষ্ঠীর জন্য ব্যাকফায়ার হয়েছে; যেমন ‘যদি আর একটা গুলি চলে’। আওয়ামী লীগ সরকার, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশে এগুলোর মধ্যে সামান্যতম বিভাজন রাখেনি। প্রশ্ন হলো, বঙ্গবন্ধু কি কেবল আওয়ামী লীগের একক সম্পদ?
বঙ্গবন্ধুর শাসনের ভেতর একনায়কসুলভ অনেক উপাদান ছিল; যেমন বাকশাল গঠন, চারটি সংবাদপত্র রেখে সব কটি বন্ধ করে দেওয়া। শেখ মুজিবের একনায়কসুলভ আচরণের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে অনেকে মিলিয়ে দেখছেন। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে সেই জায়গাটি তৈরি হয়েছে।
এরপরও জেনে আসছি, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত স্থপতি। বঙ্গবন্ধুকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা যাবে কি? সরিয়ে দেওয়া যাবে মানুষের মন থেকে? যাঁকে মোছা যায় না, তাঁকে মর্যাদার সঙ্গে ধরে রাখাই সমীচীন।
বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগের ফ্রেমের বাইরে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
****খান মো. রবিউল আলম যোগাযোগবিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক
প্রথম আলোর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানে
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ১৫, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,