বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কখনও এমন সরকারবিহীন দেশ দেখা যায়নি। পুলিশ নেই, চলছে বেশুমার হামলা, ডাকাতি।
তুমুল গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিন দিন সরকারবিহীন দেশে জীবন ও সম্পদের নিশ্চয়তার খোঁজে মানুষ।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অভূতপূর্ব দীর্ঘ এই অনিশ্চয়তার মুখে আগে কখনও পড়েনি বাংলাদেশ। ১৯৭৫ ও ১৯৯১ সালে সরকার পতন হলেও এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও সংকট অতটা দীর্ঘ ছিল না।
গত সোমবার গণআন্দোলনের মুখে টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের ইতি টেনে শেখ হাসিনা যখন দেশ ছাড়েন, তখনও দেশজুড়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে লড়াই চলছিল।
এসব ঘটনার পর দেশে সরকার না থাকার পাশাপাশি সারাদেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিও উধাও হয়ে যায়। পুলিশ নেই, চলছে বেশুমার হামলা, ডাকাতি।
কেমন চলছে প্রশাসন
প্রায় ২০ দিনের প্রাণঘাতি আন্দোলনের পর সরকারের যখন পতন ঘটে তখন জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা বিভাগ, সেবাখাত, স্বাস্থ্য খাতসহ সরকারের অধিকাংশ দপ্তরের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের সবাইকে দপ্তরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতির কারণে তার প্রতিফলন ঘটেনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কিছু কর্মকর্তা আসলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তারা আগুন আতঙ্কে গুজব ছড়িয়ে পড়লে দৌড়ে বেরিয়ে পড়েন। বুধবার কিছু কর্মকর্তা আসলেও তাদের কোনো কাজ করতে হয়নি। বরং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা মহড়া দিয়ে চলে যান।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে থানাগুলোতে। সরকার পতনের আগেই সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিভিন্ন থানায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। সরকারের পতন হওয়ার পর অনেক থানা থেকে পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে আসে। দেশের বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে, আগুনে পুড়ে গেছে তোষাখানায় রাখা জিনিসপত্র।
অভ্যুত্থানকারীরা গণভবনের দখল নিয়ে সবকিছু লুটপাট ও তছনছ করেছে। সংসদ ভবনে ঢুকেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হইহুল্লোড় করেছে তারা।
সবচেয়ে উদ্বেগের খবর হচ্ছে- এই তিনদিনে কোথায় কী ঘটছে বা ঘটেছে তার অনেক কিছুরই সঠিক খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ না থাকার কারণে।
মঙ্গলবার থেকে ব্যাংক ও বন্দর কার্যক্রম ও উৎপাদন শুরু হলেও নিরাপত্তার শঙ্কায় কার্যত বন্ধই ছিল অর্থনীতির চাকা। বুধবার থেকে সারা দেশের কলকারখানা পুরোদমে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। কারখানা খুললেও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, “সবচেয়ে বেশি কারখানা ঢাকার আশুলিয়ায়। সেখানে নিরাপত্তার অভাব হওয়ায় কারখানা খোলার সাহস করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।”
মঙ্গলবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও মতিঝিলের সব শাখাই বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বুধবার মতিঝিল খোলা থাকলেও শহরের অনেক এলাকায় তা বন্ধ ছিল।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমেরও একই অবস্থা। দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অরাজকতা ও লুটতরাজের ফলে সৃষ্ট নিরাপত্তার শঙ্কায় দেশের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শ্লথ রয়েছে।
তবে গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা কাস্টম হাউজে হামলার চেষ্টা করা হয়। কর্মকর্তাদের হুমকিও দেওয়া হয়। এতে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ খবরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে নিরাপত্তার শঙ্কায় হঠাৎ দুপুর আড়াইটার দিকে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী হাউজ ত্যাগ করেন। পরে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আশ্বস্তের ফলে বুধবার থেকে কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার ইমাম গাজ্জালি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। আমরা ফাইলের লোড সামলে উঠতে পারছি না এত চাপ।”
তবে অন্য হাউজের কার্যক্রম এখনও স্থবির বলে জানিয়েছেন হাউজ সংশ্লিষ্ট ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তারা।
কে চালাচ্ছে দেশ?
নতুন সরকার গঠনে শীর্ষ রাজনৈতিক দল, তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে এসব কাজে ছাত্রদের ইচ্ছা ও পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরই নোবেল জয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দিনতারিখ ঠিক হয়েছে।
প্রশাসন প্রায় অকার্যকর থাকার সময়ে ঢাকার রাস্তায় ট্র্যাফিক শৃঙ্খলা ও আবর্জনা পরিষ্কারে স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন স্থানে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায়ও এগিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।
এর মাঝেও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, সাধারণের ঘরবাড়িতে লুটতরাজ, ডাকাতি ভাঙচুরের মত নৈরাজ্য থেমে নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে তাড়াতাড়ি দেশত্যাগ করেছেন। এরপর নানা জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ ও মানুষ হত্যার কারণে একটা অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে।”
ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাস
মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশে দু বার রাষ্ট্রপতি শাসিত এবং দু বার প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এর বাইরে দু বার সামরিক আইন প্রশাসকের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়। এছাড়া নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তিন বার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং একবার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। পরে বছর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসেন। শেখ মুজিবুর রহমান ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগ করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় আদতে সরকারবিহীন সময় এক মুহূর্তও ছিল না।
সংকট তৈরি হয় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাকে হত্যা করা হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার মোশতাক আহমাদ রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন। একই দিন তিনি সামরিক আইন জারি করেন। ফলে সরকারবিহীন ছিল কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ভয়ংকর অস্থির সময় পার করে। অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে এ সময়ে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে একটি ছোট্ট সামরিক অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাক আহমাদের পতন হলেও মোশতাক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হন ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বরে।
৬ নভেম্বরেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতির পদে বসলে তখনও সরকারবিহীন সময় দেখেনি দেশ।
সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের হাত ধরে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে তিনি নিজেই হয়ে যান রাষ্ট্রপতি।
১৯৮১ সালের ৩০মে জিয়াউর রহমান একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হলে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে সরকারের শূন্য জায়গা পূরণ করেন।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নেয়। তিনি ক্ষমতা থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রবল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সরকারের হাল ধরেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ।
তত্ত্বাবধায়ক ও ক্ষমতা হস্তান্তর
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ক্ষমতায় এলে একটি ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় কেয়ারটেকার’ সরকার গঠন করেন। এ সরকারের একমাত্র দায়িত্ব ছিল পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।
এ সরকার ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে।
একই বছরের অগাস্টে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে দেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি আবার প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার প্রধান হন বেগম খালেদা জিয়া।
তবে বিপত্তি লাগে এ সরকারের সময়সীমার শেষ দিকে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকার একটি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করলে নির্বাচনটি সব বিরোধী দল বর্জন করে। বিএনপি নির্বাচনে জিতলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিরোধী দলগুলো তুমুল আন্দোলনে বাধ্য হয়ে সংবিধান সংশোধন করে।
একই বছরের ৩০ মার্চ সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আয়োজনে করা নির্বাচনে জিতে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
হাসিনা সরকার ৫ বছরের মেয়াদ শেষে আইন অনুযায়ী ২০০১ সালের ১৫ জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
বিচারপতি লতিফুর রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এবারও মেয়াদ শেষের সময়ে বিরোধী দলগুলোর তুমুল আন্দোলনের মধ্যে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন খালেদা জিয়া।
রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিস্থিতির মাঝে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদের শপথ নেন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ।
পরে আরও সহিংসতা ও নৈরাজ্য হতে থাকলে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর ফখরুদ্দীন সরকারের আয়োজন করা সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ফের শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করেন।
২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর নির্বাচন ক্ষমতায় থেকেই আয়োজন করেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি নির্বাচনে জিতেই ক্ষমতায়ও আসেন তিনি।
ফলে ১৯৯১ পরবর্তী সময় থেকে সবশেষ গণ আন্দোলনে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে আদতে কখনও সরকারহীন সময় দেখেনি বাংলাদেশ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
তারিখ: আগষ্ট ০৮, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,