Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রেন চালাতে চায় ভারত (২০২৪)

Share on Facebook

লেখা: রাজীব আহাম্মদ।

পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটান সীমান্তবর্তী ডালগাঁও পর্যন্ত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চালাতে চায় ভারত। পরীক্ষামূলক ট্রেনযাত্রার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড। বাংলাদেশ রেলওয়ের ভাষ্য, এর মাধ্যমে আদতে ট্রানজিট চাইছে তারা।

ভারতীয় প্রস্তাবের সত্যতা স্বীকার করে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সমকালকে বলেছেন, বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন দিল্লি সফরে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। বাংলাদেশ রেলওয়ের লাভ-লোকসান এবং দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বর্তমানে পাঁচটি রুটে বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলে। তিনটি যাত্রীবাহী ইন্টারচেঞ্জ, বাকি দুটি পণ্যবাহী। বর্তমান পদ্ধতিতে ভারতীয় ট্রেন সীমান্তে আসার পর বাংলাদেশি ইঞ্জিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসে। বাংলাদেশি লোকোমাস্টার (চালক) তা চালিয়ে আনেন। ফিরে যাওয়ার সময়েও একই রকম নিয়ম অনুসরণ করা হয়।

কিন্তু পরীক্ষামূলক যাত্রার জন্য ভারতের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দেশটির এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ট্রেন নিতে চায়। ভারত এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিল, পরীক্ষামূলক যাত্রার পণ্যশূন্য রেলগাড়ি ভারতের গেদে থেকে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় আসবে। সেখান থেকে পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরের আব্দুলপুর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, নীলফামারী সীমান্তবর্তী চিলাহাটী স্টেশন হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ী স্টেশনে যাবে। তবে দেশটির নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ট্রেনটি হলদিবাড়ী থেকে যাবে ভুটান সীমান্তবর্তী ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত।

ডালগাঁও পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার একটি স্টেশন। এ স্টেশন হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রেললাইন গেছে। এই লাইন উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যকে যুক্ত করেছে দেশটির মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। ভূরাজনৈতিক কারণে এ রেলপথ ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বগামী ট্রেন জলপাইড়গুড়ির ‘চিকেন নেক’ করিডোর ঘুরে যায়। বাংলাদেশের দর্শনা-ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর-পার্বতীপুর-চিলাহাটী হয়ে গেলে ৩০০ কিলোমিটার পথ কমবে। আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল রাজ্যের সঙ্গে বাকি ভারতের রেল যোগাযোগ সহজ হবে।

ভারতের প্রস্তাব বিষয়ে সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতামত নিচ্ছে রেলওয়ে। গত ১৫ মে রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা ছিলেন সভায়।

রেল সূত্র জানায়, ভারতের দেওয়া রুটের প্রস্তাবের বিপরীতে বাংলাদেশ দুটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করছে। এর একটি হলো– ট্রেনটির রুট হবে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটী হয়ে ভারতের হলদিবাড়ী-জলপাইগুড়ি-ধুপগুড়ি-ফালাকাটা-ডালগাঁও-জয়পুর হয়ে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া হাসিমারা স্টেশন পর্যন্ত।

ভারত যে ডালগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালাতে চায়, সেখান থেকে ভুটান সীমান্ত ১০৮ কিলোমিটার দূরে। ডালগাঁওয়ের পর জয়পুর এবং হাসিমারা স্টেশন। হাসিমারা থেকে ভারত-ভুটানের স্থলবন্দর ফুয়েন্টশিলংয়ের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। ঢাকার রেল ভবন মনে করে, হাসিমারা পর্যন্ত ট্রেন গেলে বাংলাদেশ ভারতের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে পারে। হাসিমারায় বাংলাদেশি পণ্য সড়কপথে পাঠাতে পারলে ভুটান যাওয়ার পথ খুলবে। এতে দেশটির সঙ্গে অঘোষিত ট্রানজিট চালু হবে।

আসামের কোকড়াঝাড় জেলা থেকে ভুটানের গেলোপো পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করে দিচ্ছে ভারত। ঢাকার রেল ভবনের দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হলো, ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যে ট্রেন চালাতে চায়, এর শেষ গন্তব্য হবে গেলোপো। গেলোপো পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত হাসিমারা পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।

সূত্র: সমকাল।
তারিখ: মে ২৯, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ