যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রবেশ করা চীনের বেলুনটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। স্থানীয় সময় শনিবার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। সেটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল বলে দাবি করেছে দেশটি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দিন আগে চীনের ওই বেলুনটি আকাশে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নজরে আসে। এরপর থেকেই সেটি ধ্বংস করতে চাপে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশেষে সেটি ধ্বংস করা হলো। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়েছে।
বেলুনটি ধ্বংসের অভিযান চালানোর সময় উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে উপকূলের কাছে তিনটি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশে ছোট একটি বিস্ফোরণের পর একটি বেলুন নিচের দিকে পড়ছে।
চীনা বেলুনটি ছিল ২০০ ফুট লম্বা, উড়োজাহাজ বহনের জায়গা ছিল: মার্কিন কর্মকর্তা
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বুধবারই বেলুনটি ধ্বংসের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছিলেন বাইডেন। তবে তিনি বলেছিলেন, এটা করতে গিয়ে যেন কোনো মার্কিন নাগরিকের জীবন ঝুঁকির মুখে না পড়ে। আর শনিবার বেলুনটি ধ্বংসের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছিলেন, ‘বিষয়টি তিনি সামলাবেন।’
এদিকে ‘বেলুন কাণ্ডে’ ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এ ঘটনার জেরে চীন সফর বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত শুক্রবার চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে তিনি বলেছেন, চীনা বেলুনের অনুপ্রবেশ একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এটা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
এ নিয়ে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মূলত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বেলুনটি আকাশে ওড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। দেশটির আকাশসীমায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেলুনটি উড়ে যাওয়ার এ ঘটনার জন্য বেইজিং অনুতপ্ত।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,