উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে মানুষের কাছে বারবার বলতে হবে। কে কী বলল, সেদিকে কর্ণপাত করার কোনো দরকার নেই। আমরা কী করেছি, তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলে সেটাই হবে আসল জবাব।’
এ প্রসঙ্গে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কে কী বলল সেদিকে না যেয়ে আমরা মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছি, সেই উন্নয়নের কথাগুলো একেবারে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বারবার বলতে হবে। এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে এবং এই কাজটা করতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ষড়ঋতুর দেশ আমাদের। দুই মাস পরপর ঋতু বদলায়, মানুষের মনও বদলায় এবং ভুলেও যায়। কাজেই দুই মাস পর ভুলে যেন না যায়, সে জন্য আমরা কী কাজ করেছি মানুষের কাছে বারবার সেটা বলতে হবে, বোঝাতে হবে। কারণ, একটা শ্রেণি আছে, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। এই জ্ঞানপাপীদের কথা শুনে অজ্ঞান হয়ে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মানে এই নয় যে বিদ্যুৎ একেবারে নাই বা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা কিন্তু না।’ দেশের উন্নয়নের কথা না বলে যাঁরা ভুল তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন, তাঁদেরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
একটি মিডিয়ায় অনলাইন ভার্সনে দেশের ডিজেল, অকটেন, পেট্রলের সংকট প্রসঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ডিজেল আমাদের কিনতে হয়, এটা ঠিক। কিন্তু অকটেন আর পেট্রোল কিন্তু আমাদের কিনতে হয় না। আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি, সেখান থেকে বাই প্রডাক্ট হিসেবে আমরা কিন্তু রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন পাই। বরং আমাদের যতটুকু চাহিদা, তার চেয়ে অনেক বেশি পেট্রল এবং অকটেন কিন্তু আমাদের আছে।’
রিজার্ভ নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের পাল্টা সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায়, তখন রিজার্ভ তিন বিলিয়নের কিছু ওপরে, ৩ দশমিক ৮ এই রকমই ছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলাম।’
রিজার্ভ কেন রাখা হয়, তার ব্যাখ্যায় সরকারপ্রধান বলেন, আপৎকালীন তিন মাসের খাদ্যশস্য কেনার মতো বা আমদানি করার ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা যেন থাকে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে, তাতে তিন মাস কেন, ছয় মাস বা নয় মাসের খাবারও আমরা কিনে আনতে পারব। কিন্তু আমরা যেন নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, নিজেরা সাশ্রয়ী থাকি।’
কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে থামাতে পারবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে অনেক চক্রান্ত চলছে। আমি বিশ্বাস করি, যত চক্রান্তই করুক, বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি অপ্রতিরোধ্য গতিতে, ইনশা আল্লাহ এগিয়ে যাব।’
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ২৭, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,