অবসরের বাইরে পর্ব – দুই।।
অবসরের বাইরে অর্থাৎ কর্ম-ক্ষেত্রে ধারণার চাইতে অনেক অনেক পিছিয়ে পড়া আর এতোটাই পিছিয়ে পড়া যে সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর কোন সম্ভনা দেখা যায় না। মাঝে মাঝে কিছু কিছু আলোর ঝলক দেখা গেলেও পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা, অন্ধকারের উপকরণ অনেক বেশি যেগুলিকে আলোকিত করা সম্ভবনার বাইরে।
সমর্থন হারাচ্ছি সব দিক দিয়ে উচ্চ মহল থেকে সব চেয়ে বেশি যেন একজন অপ্রয়োজনীয় বোঝা এই প্রচারটা বড় ময়দানে বলা হয়েছে। পারিবারিক দিক থেকে সবচেয়ে একটি শোচণীয় অবস্থানে বড় পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ নেই বললেই চলে আর সবাই নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে এতোটাই ভার যুক্ত যে কেউ কারো দিকে খেয়াল দেওয়া মত সময় নেই।
বছরের মাথায় দুই নিকটজনকে হারানোর পর আর একজন পরের প্রজন্মের সংকাটাপন্ন অবস্থায় আজ প্রায় ৪ মাসঅ অনেক হিসাব এলোমেলো হওয়ার মাঝে পিছিয়ে পরাটা আরো ত্বরানিৎ হয়েছে যাকে কোন ভাবেই মোকাবেলা করা যাচ্ছিল না।
দিনে দিনে অবসরের বাইরে ক্ষেত্রটা সংকোচিত হতে হতে হয়তো একটি দাঁগ হয়ে থাকার কথা, প্রস্তুতি নিয়ে আছি যদিও সমাপ্তিটা শূন্যের ঘরে।
নিজেই আগে থেকে বুঝতে পারছিল যে ক্ষেত্রে নানান দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছি অথচ নিজেই ছিল পিছিয়ে পড়া তত্বের অনুসারী।
অবসরের বাইরে যে ক্ষেত্র যেখানে ভালো করছে না এমন অভিযোগ উপর থেকে পাচ্ছিল বেশ গত দেড় বছর আগে থেকে, সন্মান বাঁচাতে অথবা পুরাতন দিনে ফিরে যেতে কী করুনীয় তাই ভাবছিল, চেষ্টাও করেছে কিন্তু মোকাবেলা করা আর সম্ভব হয় নি। সরাতে পারে নি সামনের শক্তিশালি পরিশ্রমীদের বরং নিজের অনীহা ছিল প্রবল। দায়িত্ব ও তথ্য থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখার।
ইডি আর এমইউ এখন সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ্য শক্তিতে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে যেন তারা ছাড়া ক্ষেত্রটি অচল। কোন ছাড় বা সন্মান দিতে অনুচ্ছুক। আমাকে ডিংঙ্গিয়ে উপরে উঠতে তারা মরিয়া। কোন সহযোগিতা যেন ডুমুরের ফুল। তারপরও এমইউ কিছুটা নমনীয় হয়ে উঠেছে কিছুটা সন্মান বোধও দিতে শুরু করেছে। কিন্তু আরো অপ্রতিরোধ্য ইডি সে একটি কর্মের ভালো ক্ষেত্র তৈরী করতে পেরেছে এবং সে নিশ্চিত কর্শের মধ্য দিয়ে যে তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে পেরেছে।
ইডি সব বিষয়ে ইতিবাচক সকল মহলের লোকবলের সাথে তার ঘনিষ্টতা এবং যথেষ্ট পরিচিত ও গ্রহন যোগ্যতা অর্জন করেছে এর বিপরীতে আছে তার কঠোর পরিশ্রম, সাহসিকতা, নেত্রিত্ব ও কৌশল।
. এর চিন্তা চেতনায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, কর্মে মনোযোগি, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পড়াশুনা, বাসায় কিছু সময় কাজের গতি প্রকৃতি নির্ণয় করা যাতে করে নানান তথ্য মাথায় থাকে।
নিজের জন্য নিজের সাফল্যের পথ খুঁজে সেই পথ ধরে চলা ছাড়া কোন বিকল্প নেই, প্রয়োজন কাজের গতি পরিবর্তন, গর্তে পড়ে সেখান থেকে উঠে আবারো কর্ম-তৎপরতায় নিয়োজিত হওয়া একজন কর্ম বিপ্লবীর মত অথবা সমাপ্তি। নানান তথ্যে নিজেকে সমৃদ্ধ করা এবং সব প্রশ্নের মোকাবেলা করা।
এখন সংকটময় থেকে একটি কঠিন সংকট ময় সময়ের মধ্য দিয়ে এগয়ে যেতে হচ্ছে বিশেষ করে ইউক্রেন সংকটের কারণে –
নিজেকে একজন কর্ম বিপ্লবী তৈরী করতে ক্ষেত্রে বড় প্রয়োজন নিজেকে বার্তা আদান প্রদানে ও কারিগরি দিক দিকে উন্নত করা, সম্পৃক্ত মানুষের মধ্যে একটি প্রভাব বলয় তৈরী করা।
টিকে থাকতেই হবে, পরিবর্তিত হতে হবে উপরে উঠতে হবে কষ্ঠ স্বর দৃঢ় করতে হবে এমন কোন চেতনা বা পরিকল্পনা নিজের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না।
এর আগের বছরগুলিতে ক্ষেত্রে এমন চ্যলেঞ্চ লক্ষ্য করি নি আজ নিজে বড় হুমকির মুখে।। এটি সত্য যে যতখানি এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল পিছিয়ে পড়া হয়েছে অনেক অনেক বেশি। একটি তাঁরের উপর দিয়ে চলা হয় তো কোন সহায়তা আছে অথবা নেই। এই আছে এই নেই অবস।তার মধ্য দিয়ে চলা।।
তারিখঃ আগষ্ট ০৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,