জবাবদিহি ছাড়া র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই: পিটার হাস (২০২২)
আগামী নির্বাচনে কারও পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের যে অভিযোগ রয়েছে তার সুরাহার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এই বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আসছে বাংলাদেশ সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ অংশীদারত্ব নিয়ে সেমিনারে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র্যাব এখন যেভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করছে, সেইভাবে বাহিনীটিকে কার্যকর দেখতে চান তারা। তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে জোরাল নিরাপত্তা সহযোগিতা রয়েছে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এই সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানান পিটার হাস।
আগামী নির্বাচনে কারও পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কারও পক্ষ নেবে না তাঁর দেশ। রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই বলছি, আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আশা করি, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কে দেশ পরিচালনা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কার্যত ইতিমধ্যেই নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভয়ভীতি ছাড়া অনুসন্ধান এবং নাগরিক সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের বিকাশ ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রও ত্রুটিমুক্ত নয়। আমরাও নিজেদের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহি বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সব মার্কিন নাগরিক যেন ভোট দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: এপ্রিল ২৪, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,