সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা নিজেদের খেলাপি ঘোষণা করেছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সামিয়কভাবে খেলাপি হওয়া ছাড়া আপাতত কোনো পথ নেই। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ঋণ পরিশোধ অসম্ভব হয়ে উঠেছে। খবর বিবিসির
শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ গত মার্চের শেষে এসে দাঁড়ায় মাত্র ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ চলতি বছরে তাদের ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আগামী সপ্তাহেই শোধ করতে হবে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরে খাদ্যসংকটের পাশাপাশি ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। দেশটিতে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
তবে গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও মাহিন্দা রাজাপক্ষের কেউই পদত্যাগ করেননি। যদিও মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। এ অবস্থায় গতকাল বিক্ষুব্ধ দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তিনি বলেন, মানুষের দুর্দশা লাঘবে সরকার দিনরাত কাজ করছে।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঋণ পেতে আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকার বলছে, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ঋণ পরিশোধে তাদের কোনো কলঙ্ক নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল করেছে। ফলে সরকারি ঋণ পরিশোধের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
আইএমএফ গত মাসেই সতর্ক করে বলেছিল, শ্রীলঙ্কার পক্ষে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: এপ্রিল ১২, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,