ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। মস্কোকে যদি বেইজিং কোনো ধরনের অস্ত্র–সহযোগিতা করে, তবে তার ফলাফল কী হতে পারে, এ নিষেধাজ্ঞা থেকে চীন নিশ্চয়ই ভালো শিক্ষা পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। খবর রয়টার্সের।
শেরম্যান বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার পরিসর, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, দেশটির অর্থনীতি ও ধনকুবেরদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের জন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে শেরম্যান বলেন, পুতিনকে কোনো ধরনের বস্তুগত সহায়তা করলে তার প্রতি কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, প্রেসিডেন্ট সি তা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
শেরম্যান বলেন, ‘ইউক্রেনের ক্ষেত্রে সমন্বিত পশ্চিমা প্রতিক্রিয়া থেকে বেইজিংয়ের উচিত সঠিক শিক্ষা নেওয়া। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান দ্বীপ জোর করে দখলের পদক্ষেপ নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা আশা করি চীন বুঝতে পেরেছে, এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিলে তা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকেও প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় নিন্দা জানায়নি চীন। এর পরিবর্তে মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। তবে গত সপ্তাহে চীনের জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন, বেইজিং ইচ্ছাকৃতভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলোকে পাশ কাটাচ্ছে না।
বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দেশের পক্ষ থেকে সীমাহীন অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মার্চে একটি ভিডিও কলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বা সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে রাশিয়াকে কোনো বস্তুগত সমর্থন করলে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।
বাইডেন পরে বলেছিলেন, চীন জানে, তার অর্থনৈতিক ভবিষ্যত পশ্চিমের সঙ্গে আবদ্ধ, রাশিয়ার সঙ্গে নয়।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: এপ্রিল ০৭, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,