Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

আরও তিনটি ইপিজেডের পরিকল্পনা গ্রহন (২০২২)

Share on Facebook

লেখক:ফখরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) অধীনে আরও তিনটি ইপিজেড হবে। এ জন্য বেপজার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত তিন ইপিজেড (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) হবে গাইবান্ধা, যশোর ও পটুয়াখালীতে।

বেপজার আওতায় বর্তমানে ঢাকা, আদমজী, চট্টগ্রাম, মোংলা, ঈশ্বরদী, কুমিল্লা, উত্তরা ও কর্ণফুলী—এই আটটি ইপিজেড রয়েছে। এর বাইরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রয়েছে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেটির উন্নয়নকাজ এখন এগিয়ে চলছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশে শিল্প খাতের বিকাশ ঘটাতে বেপজা আইন হয় ১৯৮০ সালে। এরপর গঠিত হয় বেপজা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বেপজার বোর্ড অব গভর্নরসের এক বৈঠকে নতুন তিনটি ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের পর দুই বছর পার হলেও নতুন তিন ইপিজেড স্থাপনে তেমন অগ্রগতি হয়নি। এ সম্পর্কে বেপজার মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, গাইবান্ধা ইক্ষু খামারে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। পটুয়াখালী এবং যশোরেও জমি দেখা হচ্ছে। কোভিডের কারণে অগ্রগতি কম হলেও বেপজা এখন পুরোদমে মনোযোগী। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইপিজেডগুলো দাঁড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নতুন তিন ইপিজেড করার পেছনে বেপজা তার অবদানের তথ্যও অর্থ বিভাগের কাছে তুলে ধরেছে। জানিয়েছে, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডগুলোতে এ পর্যন্ত মোট ৯৪ হাজার ৮৫৭ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। পোশাক, জুতা ও চামড়া, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস, তাঁবু, কৃষিজাত পণ্য, মাছ ধরার বড়শি, গলফ খেলার স্টিক, খেলনা, পরচুলা ইত্যাদি খাতে এসব বিনিয়োগ এসেছে। আর ইপিজেডগুলো থেকে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২১ লাখ ২২ হাজার ১৫০ কোটি ডলারের। এ ছাড়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৩১৪ জনের। বেপজা ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২০ কোটি টাকা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরেও ২০ কোটি টাকা করে দেবে বলে অর্থ বিভাগকে জানিয়েছে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেপজার শিল্প প্লট ইজারা; ভবন ভাড়া; পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংযোগ মাশুল এবং অন্যান্য উৎস থেকে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেপজার রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজে লাগাতে ২০২০ সালে একটি আইন করে সরকার। ওই আইনের আওতায় বেপজাকেও তার উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে ৫০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এর জবাবে বেপজা গত নভেম্বরে চিঠি দিয়ে অর্থ বিভাগকে জানিয়েছে, সামনে তাদের যেসব কাজ রয়েছে, তাতে ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা দরকার পড়বে। এর মধ্যে তিন ইপিজেড তৈরিতে খরচ হবে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ফলে তাদের তহবিলে কোনো টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে না এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেওয়া যাবে না। বেপজা অর্থ বিভাগকে আরও জানায়, গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকে তাদের স্থিতি ছিল ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, বেপজা চিঠি লিখে টাকা দিতে না পারার কথা জানালেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার চাইলে তারা বেশি টাকাও দিতে পারে। সে সক্ষমতা আছে বেপজার। এখন শুধু ৫০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

এদিকে বেপজা ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইপিজেড করার প্রস্তাব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সর্বশেষ তিন অর্থবছরের উন্নয়ন চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছে অর্থ বিভাগ। এতে দেখা যায়, সংস্থাটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৫০ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০২ কোটি ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয় ও সময়োচিত। আর বেপজাও একটি সফল প্রতিষ্ঠান। কোভিডের কারণে হয়তো তিন ইপিজেড তৈরির কাজে অগ্রগতি কম হয়েছে। তবে এখন কাজটা করার ব্যাপারে বেপজার মনোযোগ বাড়ানো উচিত।

উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়া প্রসঙ্গে আবুল কাশেম খান বলেন, সরকার তার প্রয়োজনে টাকা নিতেই পারে। আর ইপিজেড করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেহেতু বেপজা চাইলে যেকোনো সময় সরকার থেকে টাকা নিতেও পারবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ জানুয়ারী ১৩, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ