লেখক: সুজয় মহাজন।
১৯৫৬ সালে ছোট্ট একটি ওষুধের দোকান দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। পরে চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সেই ব্যবসাকে একটু একটু করে বড় করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তার আগে ১৯৫২ সাল থেকে বাবার হোসেন ফার্মেসিতে বসতেন তিনি। বাবার ফার্মেসিতে বসতে বসতে নিজেও একসময় জড়িয়ে গেলেন ওষুধের ব্যবসায়। ডাক বিভাগের সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি ব্যবসায় জড়ান।
জেলা শহর পাবনার আতাইকুলায় জন্ম নেওয়া স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্কয়ার এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী। এমনকি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বহু আগেই পৌঁছে গেছে বিশ্বদরবারে। আরেক ধাপ এগিয়ে স্কয়ার হতে চায় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। তারই অংশ হিসেবে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় কারখানা তৈরি করছে কোম্পানিটি।
শুরুতে সাধারণ সর্দি-কাশির সিরাপ বানিয়ে হাতেখড়ি স্কয়ারের ব্যবসার। চার বন্ধুর হাত ধরে ১৯৫৮ সালে যাত্রা শুরু করলেও স্কয়ারের মূল কান্ডারি ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তাঁর প্রয়াণের পর সন্তানেরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্যতম পুরোনো এই প্রতিষ্ঠানকে। নতুন করে যুক্ত হয়েছেন নাতি-নাতনিরা। স্কয়ারকে বহুজাতিক কোম্পানি করার উদ্যোগটি তাঁরাই নিয়েছেন। সে জন্য কেনিয়ায় কারখানা করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছেন প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা।
চার বন্ধুর ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকার মূলধন নিয়ে স্কয়ারের যাত্রা শুরু হয়। এখন কোম্পানিটির বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ওষুধ দিয়ে শুরু করলেও স্কয়ারের ব্যবসা এখন স্বাস্থ্যসেবা; ভোগ্যপণ্য; বস্ত্র; মিডিয়া, টিভি ও তথ্যপ্রযুক্তি; নিরাপত্তা সেবা; ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স; হেলিকপ্টার ও কৃষিপণ্য খাতে বিস্তৃত।
১৯৫৬ সালে বাবার কাছ থেকে টাকা ধার করে পাবনার আতাইকুলাতে স্যামসন এইচ চৌধুরী ওষুধের যে দোকান দিয়েছিলেন, সেটির নাম ছিল ইসন্সস (ইয়াকুব অ্যান্ড সন্স)। সেটিকে বড় করতে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নেন। কাজী হারুনূর রশীদ, পি কে সাহা ও রাধাবিনোদ রায়কে নিয়ে ১৯৫৮ সালে স্কয়ার নামে ওষুধ কোম্পানি করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। চারজনের সমান বিনিয়োগ বলে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় স্কয়ার। ১৯৭১ সালে রাধাবিনোদ রায় নিজের মালিকানার অংশ ছেড়ে দেন। হারুনূর রশিদ ও পি কে সাহার মালিকানার অংশ এখনো রয়ে গেছে।
শুরুতে পাবনায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর নিজ বাড়ির কাছেই ছিল স্কয়ারের কারখানা। শুরুতে স্কয়ার ফার্মা সিরাপজাতীয় ওষুধ তৈরি করত। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে কোম্পানির পরিসরও বড় হতে থাকে। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে এসে বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্কয়ার। ওই সময় দেশের ওষুধের বাজারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর।
জনসনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এ দেশে কোম্পানিটির ওষুধ উৎপাদন শুরু করে স্কয়ার। তাতে ওষুধের বাজারে শক্ত ভিত তৈরি হয় স্কয়ারের। ১৯৮২ সালে এসে এরশাদ সরকারের সময় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশীয় কোম্পানিগুলোর চুক্তি ও সনদ বাতিল করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগসের একটি তালিকা তৈরি করে। তত দিনে বিদেশি কোম্পানি জনসনের জন্য ওষুধ তৈরি করতে গিয়ে স্কয়ারের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। সেই সক্ষমতা দিয়েই ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি শুরু করে স্কয়ার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিষ্ঠানটিকে।
বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার। এগুলোর মধ্যে এশিয়ার ১৯টি দেশ, আফ্রিকার ১৩টি, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৩টি, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬টি এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩। গ্রুপের কর্মিসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। ২০১২ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী ইহলোক ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর আগে থেকেই স্কয়ারের হাল ধরেন তাঁর সন্তানেরা। তাঁরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্যতম পুরোনো এই শিল্প গ্রুপকে। নতুন করে যুক্ত হয়েছেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর নাতি-নাতনিরাও।
গত বছরের মার্চে স্কয়ার গ্রুপ নিয়ে প্রথম আলোর সাপ্তাহিক আয়োজন প্র বাণিজ্যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সে সময় স্কয়ারের শূন্য থেকে শীর্ষে পৌঁছার দীর্ঘ যাত্রা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম দুই কর্ণধার তপন চৌধুরী ও অঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে। তপন চৌধুরী বর্তমানে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অঞ্জন চৌধুরী স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অঞ্জন চৌধুরী সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন, স্কয়ার বাংলাদেশি বহুজাতিক কোম্পানি হবে। বিশ্বের মানুষ এটিকে বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে চিনবে। সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এদিকে ১৯৭১-এ স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে পাবনায় স্কয়ারের কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তার খাতিরে গ্রামের দিকে চলে যায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর পরিবার। তখন কয়েকজন পাঠান নিরাপত্তাকর্মী কৌশল করে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে কারখানাটি নিজেদের বলে দাবি করে। তাদের কৌশলের কারণেই যুদ্ধের সময়ও কারখানাটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
গত বছরের মার্চে সেই গল্প শোনান তপন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পাবনা শহরে ঢোকার আগে আমার দাদুবাড়ি। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনারা। শহরে আমাদের বাড়িটিও গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দিল তারা। আমরা প্রত্যন্ত এলাকার দিকে চলে গেলাম। আমার বড় ও ছোট ভাই ভারত চলে গেল। বোন ও বাবা-মাকে নিয়ে দেশে রয়ে গেলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানায় পাঠান নিরাপত্তারক্ষীদের সরদার ছিলেন মোল্লা খান। তাঁর নাতিরা বর্তমানে কারখানায় কাজ করছেন। সেই মোল্লা খান আমাদের ১৯৭১ সালের মে মাসের দিকে পাবনায় নিয়ে আসেন। কারখানার উৎপাদনও শুরু হয়।’
অবশ্য স্বাধীনতাযুদ্ধের আগেও একবার স্কয়ারের কারখানা বন্ধ হয়েছিল। আইয়ুব খানের শাসনামলে পাকিস্তান আর্মির সহায়তায় স্কয়ারের কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দেয় সরকার। তখন অভিযোগ ছিল, কারখানার ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে। তখন কিছুদিন পালিয়ে ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। পরে তিনি সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হন, কারখানায় অনৈতিক কাজ হয় না। তখন কারখানা খুলে দেয় সরকার।
এদিকে ছোটবেলা থেকেই স্কয়ারের ওষুধের কারখানায় যাতায়াত ছিল তপন চৌধুরীর। বললেন, ‘ওষুধের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য বাবাকে প্রায়ই তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে থাকতে হতো। ফলে বাবাকে আমরা খুব বেশি সময় পেতাম না। মায়ের কাছেই আমরা বড় হয়েছি। তবে বাবা যখন বাড়িতে থাকতেন, তখন তাঁর সঙ্গে কারখানায় যেতাম। একটু যখন বড় হলাম, তখন স্কুল ছুটির পর একা একাই কারখানায় চলে যেতাম। অনেকক্ষণ কাজ করতাম।’ স্কুল-কলেজের গণ্ডি ছাড়িয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য তপন চৌধুরী চলে যান যুক্তরাজ্যে। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে স্কয়ার ফার্মার বিপণন বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। শুরুতে সারা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ফার্মেসিতে গিয়েছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে মিশেছেন। তপন চৌধুরী বললেন, বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান ওষুধ বানাবে, তখন দেশের অনেক মানুষই বিশ্বাস করতে চাইতেন না। মানুষের এই অবিশ্বাস ভাঙার কাজটিই ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং।
জুঁই দিয়ে টয়লেট্রিজের যাত্রা
বর্তমানে একাধিক ব্র্যান্ডের নামে টুথপেস্ট থেকে শুরু করে লোশন, শ্যাম্পু, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, ডিটারজেন্ট, ডায়াপার ইত্যাদি তৈরি করছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ। তবে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে জুঁই নারকেল তেল তৈরির মাধ্যমে, ১৯৮৮ সালে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরীর বড় মেয়ের নাম জুঁই। নারকেল তেলের ব্র্যান্ডের নাম হিসেবে তাই নাতনির নামকেই বেছে নেন স্যামসন এইচ চৌধুরী।
ওষুধের ব্যবসা থেকে টয়লেট্রিজে আসার কারণ হিসেবে তপন চৌধুরী বলেন, ‘বাবার মাথায় বহু জিনিস ঘুরত। কোনো পণ্য তাঁর মনে ধরলে সেটি তৈরি করার চেষ্টা করতেন। সেই চিন্তা থেকেই টয়লেট্রিজ ও পরে ফুড ও বেভারেজ কারখানা করেন বাবা। নারকেল তেল দিয়ে টয়লেট্রিজ শুরুর কারণ হচ্ছে, তখন নারকেল তেলের প্রতি ছিল মেয়েদের বড় দুর্বলতা। সে সময়কার মেয়েরা বিশ্বাস করতেন, নারকেল তেল মাথায় দিলে চুল কালো ও ঘন হয়। যদিও বিষয়টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া মুশকিল। যাহোক, নারীদের দুর্বলতার কারণেই খাঁটি নারকেল তেল তৈরি করা শুরু করলেন বাবা। সেই জুঁই ব্র্যান্ডের তেল বাজারে বিক্রি শুরু হলো।’
বস্ত্রকল ও হাসপাতালে হাতেখড়ি
নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্প গড়ে উঠতে শুরু করে। তখন স্পিনিং মিল করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কয়ার। পুঁজিবাজারে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার ছেড়ে ৯০ কোটি টাকা তোলে তারা। তার মধ্যে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে কালিয়াকৈরে স্কয়ার ফার্মার নতুন কারখানা স্থাপন ও বাকি ৪০ কোটি টাকা দিয়ে স্পিনিং মিল করা হয়। বর্তমানে গাজীপুর, ময়মনসিংহের ভালুকা ও হবিগঞ্জে স্কয়ারের বস্ত্র ও পোশাক কারখানা রয়েছে। দুই যুগের ব্যবধানে স্কয়ার বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ বস্ত্রকল।
তপন চৌধুরী বলেন, ‘শেয়ারবাজার থেকে টাকা ওঠানোর আগে বাবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যাঁরা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কিনবেন, তাঁদের টেক্সটাইলসের শেয়ার বিনা মূল্যে দেবেন। কিন্তু প্রক্রিয়াটি আটকে দেয় সরকার। তখন বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেন। অবশেষে স্কয়ার টেক্সটাইলসের শেয়ার বিনা মূল্যে দেওয়ার পথ পরিষ্কার হয়।’
পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের জায়গায় হোটেল ও শপিং মল করার পরিকল্পনা ছিল। সে জন্য থাইল্যান্ডের সেন্ট্রালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই রাস্তায় হাঁটেনি স্কয়ার। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের নকশাকারী প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের দিয়ে স্কয়ার হাসপাতালের নকশা করা হয়। স্কয়ার হাসপাতাল বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান। তবে সেই মুনাফা উদ্যোক্তারা নেন না। পুনর্বিনিয়োগ করেন। নিজেরাও হাসপাতালটি থেকে পয়সা দিয়ে চিকিৎসা নেন। শুরু থেকেই এই নিয়মে চলছে বলে জানালেন তপন চৌধুরী।
তপন চৌধুরী বলেন, ‘দেশে তখন বেসরকারি খাতে ভালো মানের হাসপাতাল ছিল না। মানুষজন উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় যেত। তো দেশের মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাবাকে যখন বললাম, তখন তিনি বেশ উৎসাহ দিলেন। সহযোগিতাও করলেন।’
স্যামসন এইচ চৌধুরীর গড়ে তোলা স্কয়ার বেশ ভালোভাবেই সামলে নিচ্ছেন তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তারপরও বাবার শূন্যতা অনুভব করেন তাঁরা। তপন চৌধুরী বলেন, ‘যখন বাবার শরীর বেশ খারাপ হয়ে গেল, তখন সবাই তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক আলাপ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু আমরা যখন কঠিন সমস্যায় পড়ে যেতাম, তখন বাবাকে বললে দু-চার মিনিটের মধ্যে সমাধান করে দিতেন। আসলে দীর্ঘদিন ব্যবসা করার কারণে সবকিছুই ছিল বাবার নখদর্পণে। আমি সরকারের উচ্চপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছি। তারপরও যেখানে গিয়েছি, সেখানেই বাবার পরিচয়ে পরিচিত হয়েছি।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ নভেম্বর ১৮, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,