লেখক:মো. আব্দুল্লাহ আল হোসাইন।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অক্টোবরের মাঝামাঝি দেশে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছিল। ভ্যাপসা গরমে কখনো কখনো হাঁসফাঁস অবস্থাও তৈরি হয়েছিল। বাতাসে সুপ্ত তাপ, জলীয় বাষ্পের আধিক্য ও বৃষ্টি না হওয়ায় এমনটা হয়েছিল বলে জানান আবহাওয়াবিদেরা। কিন্তু এখন আবহাওয়ার সেই অস্বস্তিকর অবস্থা অনেকটাই কেটে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতিমধ্যে দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমেছে। কয়েক দিন ধরে প্রায় অপরিবর্তিতভাবে ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকছে। দিন ও রাতে স্বস্তির তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনে মাঝেমধ্যে সূর্যের দেখা মিলছে না। আবার কুয়াশার দেখাও মিলছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির পরই দেশে উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ শুরু হয়েছে। সাইবেরিয়া থেকে আসা শীতল বাতাস হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে বিভক্ত হয়ে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে। এ বাতাস শুষ্ক। অর্থাৎ বাতাসে আর্দ্রতা কম। ফলে, কিছুটা ঠান্ডার অনুভূতি পাওয়া যায়।
কয়েক দিন পর নভেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামের মাইজদী কোর্টে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়। বাকি এলাকাগুলোয় তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে তা মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক বলে বিবেচিত হয়। এটা গরমও না, ঠান্ডাও না—এমন একটা অবস্থা। সময় গড়ালে এই তাপমাত্রা আরও কমবে।
নাজমুল হক আরও বলেন, ঢাকায় নভেম্বরে তাপমাত্রা থাকে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ডিসেম্বরে থাকে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে ‘কোল্ড ওয়েভ’ বা শ্বৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখঃ অক্টোবর ২৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,