জাপানের রাজকুমারী মাকো রাজকীয় মর্যাদা ত্যাগ করে কলেজজীবনের ভালোবাসার মানুষ কেই কোমুরোকে বিয়ে করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাপানের আইন অনুসারে রাজপরিবারের কোনো নারী সদস্য যদি বাইরের কোনো সাধারণ পুরুষকে বিয়ে করেন, তবে তিনি রাজকীয় মর্যাদা হারান। তবে পুরুষ সদস্যের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
জাপানে রাজকীয় বিয়ের ক্ষেত্রে যেসব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করা হয়, সেগুলোও পরিহার করেছেন মাকো।
মাকোর রাজপদবি হারানোর পর ঐতিহ্য অনুযায়ী ১৩ লাখ মার্কিন ডলার পাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি এই পারিবারিক অর্থ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে, জাপানি রাজপরিবারের তিনিই একমাত্র সদস্য, যিনি পদপদবি-অর্থ ত্যাগসহ পুরোপুরি রাজকীয় সম্পর্ক ছিন্ন করলেন।
বিয়ে নিবন্ধন করার জন্য মাকো স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টায় তাঁর টোকিওর বাসভবন ছাড়েন। এর আগে তিনি তাঁর মা–বাবাকে সম্মান প্রদর্শন করেন। বাসভবন ছাড়ার আগে তিনি তাঁর ছোট বোনকে আলিঙ্গন করেন।
আজ দিনের শেষ ভাগে মাকো ও কেই কোমুরো দম্পতি একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেবেন। এ ছাড়া আগে থেকে জমা নেওয়া প্রশ্নের মধ্যে পাঁচটি নির্বাচিত প্রশ্নের লিখিত উত্তর দেবেন তাঁরা।
বিজ্ঞাপন
কয়েক বছর ধরে এই জুটির প্রেম-ভালোবাসা-বিয়ের বিষয়টি জাপানের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়ে আসছে। এ কারণে রাজকুমারী মাকো একধরনের মানসিক বৈকল্যে ভুগছেন।
বিয়ের পর মাকো ও কোমুরো দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন বলে জানা গেছে। কোমুরো একজন আইনজীবী। তিনি আইনজীবী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেন।
ভালোবাসার মানুষ কোমুরোকে বিয়ের জন্য রাজকীয় মর্যাদা ছাড়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন মাকো। বহুল আলোচিত এই বিয়ের আগে গত শনিবার মাকো তাঁর ৩০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন। রাজকীয় পদবি হারানোর আগে জাপানি রাজকুমারী হিসেবে এটাই ছিল তাঁর শেষ জন্মদিন উদ্যাপন।
মাকো ও কোমুরোর প্রথম দেখা ২০১২ সালে। সে সময় তাঁরা টোকিওতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন। একসঙ্গে পড়াশোনার সুবাদে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে তাঁদের বাগদান হয়। পরে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর (আজ) তাঁদের বিয়ের তারিখ নির্ধারিত হয়।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ: অক্টোবর ২৬, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,