লেখা: এএফপি, স্টকহোম।
এ বছর ১৩ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর মধ্যে মাত্র ১ জন নারী। নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ বিষয়ে পুরস্কার ঘোষণাকারী রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রধান গোরান হ্যানসন বিষয়টি গত সোমবার স্পষ্ট করে বলেছেন, এ বছর মাত্র একজন নারী। নোবেল জিতলেও এ পুরস্কারের ক্ষেত্রে কোনো লিঙ্গ কোটা নেই। এ বছর মোট বিজয়ী হয়েছেন ১৩ জন।
১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৯ জন নারী তা পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর হার মাত্র ৬ দশমিক ২। এ বছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যা গণতন্ত্র ও টেকসই শান্তির অন্যতম পূর্বশর্ত, তার পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মারিয়া ও দিমিত্রিকে এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
গোরান হ্যানসন নোবেল বিজয়ীদের নির্বাচক কমিটির পক্ষে দাঁড়িয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘নারী নোবেল বিজয়ীর সংখ্যা খুব কম, এটা দুঃখজনক। এটা অতীতের মতো বর্তমান সময়ের সমাজের অন্যায্য অবস্থার প্রতিফলন ঘটায় এবং আরও অনেক কিছু করার আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লিঙ্গ বা জাতিগত কোটা থাকবে না।
‘আমরা চাই, প্রত্যেক বিজয়ীকে গ্রহণ করা হবে। কারণ, তাঁরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করে থাকেন। এই আবিষ্কার লিঙ্গ বা জাতিগত কারণে হয় না। এটি আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছার চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, সব যোগ্য নারী নোবেল পুরস্কারের জন্য মূল্যায়নের সুষ্ঠু সুযোগ পান। তাই আমরা নারী বিজ্ঞানীদের মনোনয়ন উৎসাহিত করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছি।’
হ্যানসন আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যাঁরা সবচেয়ে বেশি যোগ্য, যাঁরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাঁদের আমরা পুরস্কার দেব। আগের দশকের চেয়ে এখন আরও বেশি নারী স্বীকৃতি পাচ্ছেন। তবে এই সংখ্যা খুব কম। মনে রাখতে হবে, পশ্চিম ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ১০ শতাংশ নারী। পূর্ব এশিয়ায় গেলে এ সংখ্যা আরও কম।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,