Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

কর্মজনিত মৃত্যুতে উপরের সারিতে বাংলাদেশ (২০২১)

Share on Facebook

কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগব্যাধি এবং দুর্ঘটনার কারণে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ৪৯ হাজার ২৩৪ শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন। শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যৌথ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারাবিশ্বে ওই বছরের এ ধরনের সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।

‘ডব্লিউএইচও/আইএলও জয়েন্ট এস্টিমেটস অব দ্য ওয়ার্ক-রিলেটেড বারডেন অব ডিজিজ অ্যান্ড ইনজুরি-২০০০-২০১৬’ নামের প্রতিবেদনটি জেনেভায় আইএলওর সদর দপ্তর থেকে প্রকাশ করা হয়। জাতিসংঘের দুই সংস্থার যৌথ বৈশ্বিক এ ধরনের পরিরীক্ষণ প্রতিবেদন এটিই প্রথম।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত রোগব্যাধি এবং আঘাতজনিত মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি চীনে। প্রতিবেদনকাল ২০১৬ সালে দেশটিতে চার লাখ ২৭ হাজার ২৫৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যুর দেশ ভারত। ওই বছর ভারতে এ ধরনের মৃত্যু ছিল চার লাখ ১৬ হাজার ৯১০টি। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ ইন্দোনেশিয়ান এ ধরনের মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যায় বাংলাদেশ চতুর্থ। ১৮৭ দেশের ওপর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

আন্তর্জাতিক পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সম্মেলন সামনে রেখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনের এ সম্মেলন জেনেভায় শুরু হবে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন,এ প্রতিবেদন সংশ্নিষ্ট দেশ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চোখ খুলে দেওয়ার মতো। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও তাদের নিরাপত্তায় সর্বজনীন পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সেবার প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখানোর মাধ্যমে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে পনেরো বছরের নিচে শ্রমিকদের প্রতি লাখে মৃত্যু ২০১৬ সালে ছিল ৪৩ দশমিক ৭ জন। ২০১০ সালে ছিল ৪২ দশমিক ৯ জন এবং ২০০০ সালে ছিল ৪৩ দশমিক ৭ জন। সব বয়সীর মধ্যে প্রতি লাখে মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৬ সালে ছিল ৩১ দশমিক ২ জন। ২০১০ সালে ২৯ দশমিক ২ জন ও ২০০০ সালে ছিল ২৭ দশমিক ৬ জন।

প্রতিবেদনে ১৯টি পেশাগত ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে লম্বা সময় ধরে কাজ করা, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, হাঁপানি ইত্যাদি। এ ছাড়া ক্যান্সার উৎপাদক ঝুঁকি, নাসিকাযন্ত্রের বিভিন্ন রোগব্যাধির কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করাই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ২০১৬ সালে সাত লাখ ৫০ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘসময় কাজ করা সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত রোগব্যাধি এবং আঘাতের কারণে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ১৯ লাখ শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন। বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণই শ্বাসনালি এবং হৃদরোগ-সংক্রান্ত। এ দুই রোগসহ অসংক্রমণজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ৮১ শতাংশ। ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগে ছয় লাখ ৫০ হাজার এবং স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৮, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

নভেম্বর ২১, ২০২৪,বৃহস্পতিবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ