Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

স্বাধীন দেশে রিমান্ড চলতে পারে না-জেড আই খান পান্না (২০২১)

Share on Facebook

বিশেষ সাক্ষাৎকার : জেড আই খান পান্না
স্বাধীন দেশে রিমান্ড চলতে পারে না

জেড আই (জহিরুল ইসলাম) খান পান্না। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি ও ব্লাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। এসব সংগঠনের পক্ষে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি আইনি লড়াই করেছেন, এখনো করছেন। চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় তাঁর যুক্ত হওয়া, পুলিশের রিমান্ড, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন এই আইনজীবী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান

প্রথম আলো: চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলার সঙ্গে আপনি যুক্ত হলেন কীভাবে?

জেড আই খান পান্না: প্রকৃতপক্ষে আমি পরীমনিকে চিনতাম না। আমি এই মামলার আইনজীবীও নই। কিন্তু পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা বলেন, এখানে অন্যায় হয়েছে, আপনি মামলাটি নিন। তখন পরিস্থিতি পরীমনির বিপক্ষেই ছিল বলা যায়। এরপর আমি মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখলাম, এখানে ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নিয়ম হলো গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাতে হবে। কিন্তু থানায় এফআইআর করা হয়েছে ২৬ ঘণ্টা পর। আমি এ বিষয়ে মহামান্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারাও বিস্মিত হলেন। এটা কীভাবে হলো?

প্রথম আলো: তাহলে আপনি মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকেই মামলাটি নিয়েছেন?

জেড আই খান পান্না: তা বলতে পারেন। আমি ভাবলাম এটি স্বাধীন দেশ। আমি নিজেও পঁচাত্তরের পর ২৭ মাস জেল খেটেছি। পাকিস্তান আমলেও আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। তারা নির্যাতন করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এ কারণে আমি নির্যাতনকে খুব ঘৃণা করি। ২০০৩ সালে রিমান্ডের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের একটি সুযোগ এল। ব্লাস্ট বনাম রাষ্ট্র মামলায়। সেই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৫৪ ধারায়। সন্দেহভাজন হিসেবে। এরপর রিমান্ডে নিয়ে অভিযুক্তকে নির্যাতন করা হয়। সেই মামলা উচ্চ আদালতে গেলে সালমা মাসুদ চৌধুরীর বেঞ্চ একটি রায় দেন। ২০১৬ সালে মামলাটি আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। এরপর সরকার রিভিউর জন্য আবেদন করে। কিন্তু আদালত রায় স্থগিত করেননি। এর অর্থ রায়টি বহাল আছে। উচ্চ আদালতের রায় নিম্ন আদালতের জন্য আইন। তারা মানতে বাধ্য।

প্রথম আলো: বিএনপি আমলের মামলার রায় বদলানোর জন্য আওয়ামী লীগ রিভিউতে নিয়ে গেল। এর অর্থ তারা বিএনপি আমলের অন্যায়কে তারা বহাল রাখতে চায়।

জেড আই খান পান্না: রিভিউ চেয়েছে সরকার, আওয়ামী লীগ নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনসভা ও বিচার বিভাগই শক্তিশালী হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের এখানে শক্তিশালী হলো নির্বাহী বিভাগ। এর মধ্যে আমলাতন্ত্রের দাপটই বেশি। বরিশালের ডিসি বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি। ইউএনও যত দিন ইচ্ছা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। একজন ডিসি কি এই কথা বলতে পারেন?

প্রথম আলো: আপনাদের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে পরীমনির মামলায় উচ্চ আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। নিম্ন আদালতের বিচারককে তলব করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন। আপনাদের আরজি কী ছিল?

জেড আই খান পান্না: আমাদের আরজি ছিল, পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মাদক আইনে। তাঁর বাসায় কিছু মদ পাওয়া গেছে। আইস ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। এর সর্বোচ্চ সাজা হলো পাঁচ বছর। তাহলে পরীমনি কেন জামিন পাবেন না? সিআরপিসির ৪৯৭ ধারায় বলা আছে, অভিযুক্ত যদি নারী, অসুস্থ বা বৃদ্ধ হন; তিনি জামিন পাওয়ার অধিকারী। নিম্ন আদালত জামিনের শুনানি ধার্য করলেন ২০ দিন পর। আমরা এই প্রশ্নও তুলেছি। হাইকোর্টে দ্বিতীয় দিনের শুনানির আগেই নিম্ন আদালত জামিন দিয়ে দিলেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন, পরীমনির জামিন হয়ে গেছে। অতএব মামলা চলতে পারে না। আমরা বললাম, জামিন হলেও তার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে, তার প্রতিকার হতে হবে। আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাসায় শতাধিক পুলিশ গেছে। তিনি কি সন্ত্রাসী না বোমা নিয়ে ঘুরছিলেন যে এসব করতে হবে। এটা একধরনের নির্যাতন। পুলিশ তাঁকে ‘রাতের রানি’ বলে অভিহিত করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। তাহলে রাতের রাজা কারা? তাদের খুঁজে বের করা হোক। পরীমনি অপরাধ করলে শাস্তি হবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটি করতে পারে না।

প্রথম আলো: এ রকম ঘটনা কি এটাই প্রথম যে আপনারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইলেন?

জেড আই খান পান্না: পরীমনি চিত্রনায়িকা বলে সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রচার পেয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক থানায়ই আসামিদের হেনস্তা করা হয়। গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালেরা জমি রক্ষা করতে গিয়ে গুলিতে মারা গেলেন। বহু বছরের পুরোনো বসত থেকে তঁাদের উচ্ছেদ করা হলো। আমি সেখানে গিয়েছি। সাঁওতালদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। পরীমনি মামলায় আমার প্রথম অভিযোগ নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে। তাঁরা উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করতে পারেন না। দ্বিতীয় অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাঁরা ভুলে যান যে চেয়ার স্থায়ী নয়।

আমাদের কথা হলো, রিমান্ডের নামে মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ব্রিটিশরা এই আইন করেছিল এ দেশের মানুষকে শায়েস্তা করতে। পাকিস্তানিরাও একই উদ্দেশে৵ আইন করেছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে সেই আইন কেন থাকবে। সিআরপিসির ১৬৭ ধারায় রিমান্ডের কথা আছে। এটা থাকতে পারে না। আমাদের সব আইনের ওপরে সংবিধান। আমাদের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। রিমান্ডের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায় হলো—স্বচ্ছ কাচের ভেতরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিত থাকতে হবে। আমাদের আরেকটি যুক্তি ছিল, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের সেফ হোমে চিকিৎসক, আইনজীবী এমনকি স্বজনদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এখানে তার ভিন্নতা হবে কেন?

প্রথম আলো: পরীমনির রিমান্ডের প্রতিকার চেয়ে আপনারা উচ্চ আদালতে গেছেন। কিন্তু এর আগে তো বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের এবং আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির নেতাদেরও অসত্য মামলায় জড়িয়ে রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তখন আপনারা আদালতে গেছেন কি?

জেড আই খান পান্না: আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষে মামলা করলে বলবে, এরা আওয়ামী লীগ। আবার বিএনপির নেতাদের পক্ষে মামলা করলে বলবে বিএনপি। এ কারণে আমরা রিমান্ডের বিধানটিই বাতিল করতে চাই। স্বাধীন দেশে রিমান্ড চলতে পারে না। রিমান্ডের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম মামলা করি ২০০৩ সালে। এর আগে ১৯৯৫ সালে কানসাটের ঘটনায় জনস্বার্থে মামলা করি। কানসাটের ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এর আগে উৎপাদনের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে কৃষক খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা চেয়েছিলেন অন্তত দিনে দুই ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ দেওয়া হোক। ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে আমরা সেখানে গেলাম, প্রতিবাদ করলাম। আওয়ামী লীগ আমলে নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যা মামলায়ও আমরা লড়েছি। আমরা জানতাম না র‌্যাবের হাতে সাতজন খুন হয়েছেন। আইনজীবী চন্দন সরকার নিখোঁজ হওয়ার পর খোঁজখবর নিলাম। নারায়ণগঞ্জের এসপির সঙ্গে আমার সহকর্মীরা দেখা করলে বললেন, ‘ভুল জায়গায় এসেছেন, আসল জায়গায় যান।’ আমরা বুঝে গেলাম কী হয়েছে, কারা করেছেন। এর আগে রাঙামাটিতে কল্পনা চাকমার অপহরণ নিয়েও আমরা রিট করেছি।

প্রথম আলো: আপনারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য আন্দোলন ও আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে কি? আইনের শাসন তো আগের চেয়ে আরও দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

জেড আই খান পান্না: বিশ্বব্যাপী একটি খারাপ সময় যাচ্ছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন জেঁকে বসেছে। যে দেশে জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেখানে এখন প্রধানমন্ত্রিত্ব করছেন নরেন্দ্র মোদি। শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের দেশে রাজাপক্ষে। রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন। চীনে মাও সে তুংয়ের উত্তরসূরি হয়েছেন সি চিন পিং। কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে এরদোয়ান। কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সব দেশেই ঘটছে।

প্রথম আলো: আদালত অঙ্গনে দুর্নীতি কতটা কমেছে?

জেড আই খান পান্না: সারা দেশ যখন দুর্নীতিগ্রস্ত, তখন বিচারাঙ্গন এর বাইরে থাকবে কীভাবে। শহর পুড়লে দেবালয়ও রক্ষা পায় না। এ কারণে আমি আইনজীবী সমিতির প্রতিটি বৈঠকে বলি, আসুন বিচারাঙ্গন থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামটা শুরু করি। দুর্নীতির আগুন নেভাতে বিচার বিভাগকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। দুর্নীতি বন্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হলো বিচার বিভাগ।

প্রথম আলো: বিচারপ্রক্রিয়ায় গত ৫০ বছরে আমাদের অগ্রগতি কী?

জেড আই খান পান্না: অগ্রগতি তো আছে। পাকিস্তানে এখনো জনস্বার্থে মামলার কথা চিন্তা করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও আমরা ভালো দৃষ্টান্ত রেখেছি। বিশেষ করে যৌন সহিংসতা রোধে আমরা যে আইন করেছি, পাকিস্তান ও ভারতও তা করতে পারেনি। তারপরও বলব, এটা যথেষ্ট নয়। আরেকটি কথা, দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার নারী হলেই নারীর ক্ষমতায়ন হবে এমন কথা নেই। সমাজের সব ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নিগ্রহ ও হয়রানি থেকে রক্ষা করতে হবে।

প্রথম আলো: মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়েছে। কিন্তু কতটা স্বাধীন?

জেড আই খান পান্না: বিচার বিভাগ স্বাধীন—এ কথা আমি বলব না। আবার পরাধীন তা–ও বলব না। বিষয়টি হলো মানসিকতার। আমার ক্ষমতা আছে; কিন্তু ক্ষমতা প্রয়োগ করলাম না, তাহলে তো স্বাধীন হয়ে লাভ নেই। বিচার বিভাগ তো বেঞ্চ ও বারকে নিয়ে। বর্তমানে বারের সেই স্বাধীন চেতনা নেই। যেটি আমরা এরশাদ আমলে দেখেছি। খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের আমলে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি। তাঁকে না জানিয়ে পাঁচজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কাজী গোলাম মাহবুব তখন বারের সভাপতি। তিনি বিএনপির লোক; প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বললেন, প্রধান বিচারপতির সম্মতি ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ হতে পারে না। আপনাকে এই নিয়োগ বাতিল করতে হবে। সরকার বাতিল করেছিল। এখন বার দলের শাখায় পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই আমলেই।

প্রথম আলো: নিম্ন আদালতের অবস্থা কী? তাঁদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের চাপ থাকে। সেই চাপ উপেক্ষা করে স্বাধীনভাবে রায় দেওয়া সম্ভব হয় কি?

জেড আই খান পান্না: নিম্ন আদালতের অবস্থা ভয়াবহ। নিয়োগ, বদলি যত দিন পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে না আসবে, তত দিনে এই হস্তক্ষেপ বন্ধ করা যাবে না। তবে অনেক স্থানে আইনজীবী সমিতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে তৃতীয় ধারাও বেরিয়ে আসছে। অনেক বারে তঁারা নির্বাচিতও হচ্ছেন।

প্রথম আলো: আপনি একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনীতির জন্য জেলও খেটেছেন। সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখনকার আওয়ামী লীগের কোনো পার্থক্য দেখেন কি?

জেড আই খান পান্না: আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তর্ক করা যেত। তিনি ভিন্নমত গ্রহণ করতে পারতেন। এখন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির কোনো নেতার সঙ্গেও তর্ক করা যায় না।

প্রথম আলো: সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল নাগরিকদের ব্যক্তিগত সম্মান রক্ষার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি আইনটি সরকারবিরোধী লোক তথা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনার মন্তব্য কী?

জেড আই খান পান্না: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি দিক আছে। পরীমনি ও সাকলায়েনের কথোপকথনের ভিডিও বের হয়েছে। ওয়াজের নামেও বিভিন্ন স্থানে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো ধরার জন্য আইন দরকার। কিন্তু সরকার তাদের না ধরে ধরছে বিরোধী পক্ষকে, ধরছে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মোশতাককে। এটি আইনের অপপ্রয়োগ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও এই সুরক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করি। কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, সব ক্ষেত্রেই আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে।

প্রথম আলো: স্বাধীনতার ৫০ বছর হলো। আপনি কি মনে করেন আমাদের সিভিল ও ফৌজদারি আইনগুলোর সংস্কার প্রয়োজন?

জেড আই খান পান্না: অবশ্যই সংস্কার প্রয়োজন। কেননা ব্রিটিশ আমলে এসব আইন হয়েছিল জনবিদ্রোহ বন্ধ করতে, ঔপনিবেশিক শাসন টিকিয়ে রাখতে। পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল হয় ব্যারাকপুর বিদ্রোহের পর। পাকিস্তান আমলে সেই ধারাবাহিকতা চলেছে। এখন স্বাধীন বাংলাদেশে সেসব আইন কেন চলবে?

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

জেড আই খান পান্না: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ০৫, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

ডিসেম্বর ২২, ২০২৪,রবিবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ