মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে- এরা তো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, এরা যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। তারা তো আলবদরের চেয়েও ক্ষতিকর। আলবদর তো মাটির নিচে গেছে। রাজাকাররাও কয়েকদিন পর আর থাকবে না। আবার যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনাল চলবে। আমরা চালাবো। এদের বিচার আমরা করবো।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদেরকে ৩০ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাবে না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে শুনছেন এই লোকগুলো ৩০ বছর পর পৃথিবীতে থাকবেন না। কিন্তু জাতি লালন করবে সত্য ইতিহাসগুলো। সেই লালনের ক্ষেত্রটা তৈরি করা করা আপনার-আমার দরকার।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যুক্তি বোঝে না, সত্য বোঝে না। আওয়ামী লীগ মনে করে আলোচনা করে, ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারা মনে করে যে, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা ছোটবেলা শুনতাম- আইয়ুবের শাসন, শেখ মুজিবের ভাষণ। আর এখন শেখ হাসিনার দুঃশাসন। কিন্তু আমি বলতে চাই, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই, ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই, আলোচনায় দেশ স্বাধীন হয় নাই। যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে।’
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা বিলকিছ ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ০৩, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,