বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর পরিকল্পনা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, যার যতটুকু প্রাপ্য তাকে ততটুকু শ্রদ্ধা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করবেন আবার আরেকজনকে অসম্মানর করবেন এটা হতে পারে না। জিয়াউর রহমান যেখানে আছেন সেখানে থাকতে দেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা লুই আইকানের নকশায় তৈরি। কিন্তু এটা পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। লুই আইকানের নকশায় মেট্রোরেল ছিল? এখন কি মেট্রোরেল উঠায়ে নিয়ে যাবেন? পাশে যে বাড়িঘর হচ্ছে তা কি লুই আইকানের নকশায় ছিল? অকারণে ধাপ্পাবাজি করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কবর নিয়েও রাজনীতির করার চেষ্টা করছি। পাগল হয়ে গেছি আমরা, উম্মাদ হয়ে গেছি। অর্বাচীনের মতো বক্তব্য দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। আজ ডিএনএ টেস্ট করতে হলে তো অনেকের ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। অকারণে এসব বিতর্কে যাওয়া উচিত না। এটা অন্যায়, বেকুবের কাজ হবে। এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু না।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র লজ্জাজনক অবস্থায় চলে গেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে কথা বলতে দিতে হবে। এই কথা বলবে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের হাত-পা ছেড়ে দিতে হবে। আমরা একটা মুক্ত-স্বাধীন দেশ চাই। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনার আয়ু শেষ হয়ে গেছে। এই দায়িত্ব শেখ রেহানার হাতে দিয়ে দেন। তোফায়েলকে দেন। মতিয়া চৌধুরীকে দেন। জাতীয় সরকার করেন। ডা. কামাল হোসেনকে ডাকেন, মাহামুদুর রহমান মান্নাকে ডাকেন। আপনি বিশ্ব রাজনীতিতে অবদান রাখেন। রোহিঙ্গা সমস্যা আপনি এনেছেন। এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব আপনার।’
তারেক রহমানের উদ্দেশ্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি ওই দেশে থাকেন। জাইমাকে পাঠিয়ে দেন। খালেদা জিয়া এখানো জেলে আছেন। তার জামিন নাই। ফিরোজায় থাকার চেয়ে নাজিমুদ্দিন রোড়ের জেলে থাকা বেটার। তাকে দিয়েই বিএনপির ভবিষ্যৎ। এখন রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ৩১ আগস্ট দিনটি খুবই গুরত্বপূর্ণ দিন। পৃথিবীতে একটা অঘটন ঘটে গেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পুঁজিবাদী দেশ জনগণের কাছে পরাজয় হয়েছে। তারা লেজ গুটিয়ে আফগানিস্তান থেকে চলে গেছে। ঠিক ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভিয়েতনাম থেকে পালিয়ে এসেছিল। আজ আফগানিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা তালেবানের কাছে তারা পরাজিত। তবে তালেবানকে অন্ধকূপে গেলে চলবে না। আধুনিক জগতে ফিরে আসতে হবে।’
সংগঠনের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের (একাংশ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
সূত্র: সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ৩১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,