মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের গুলি চালানোর ‘নজির নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ‘নেপথ্য ক্রীড়ানক’ ও বাংলাদেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ‘গোড়াপত্তনকারী’।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘খালেদ মোশাররফ আহত হয়ে গেল এবং জিয়াকে সেক্টর কমান্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু সে কখনও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে এরকম কিন্তু কোন নজির নাই। এরকম কোন নজির কেউ দেখাতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে হত্যা, কু, ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেখানে তার দলেরও যেমন বেইমান, মোনাফেক, মীরজাফর ছিল-খন্দকার মোস্তাক গং আর তাদের শক্তিটা ছিল জিয়াউর রহমান।’
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের দম্ভভরে বিবিসিতে প্রদত্ত স্বেচ্ছায় ইন্টারভিউ প্রদানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছিল। সে ইন্টারভিউতেও তারা স্বীকার করেছে, শুধু তাই নয় অনেক পত্র-পত্রিকাতেও তাদের বক্তব্য এসেছে-জিয়াউর রহমান এই খুনিদের সঙ্গে সবসময় ছিল। এই জিয়াউর রহমানই ছিল মূল শক্তির উৎস এবং সেই বেইমানিটা করেছিল।
অথচ এই জিয়াকে মেজর থেকে জাতির পিতাই মেজর জেনারেল করেছিলেন।’
মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ তুলে দিয়ে জিয়াউর রহমান তাদের ‘বিপথে নিয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।’
সূত্র: সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ৩১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,