গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুম-খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিজেকে আমার অপরাধী মনে হয়; লজ্জা পাই। কারণ এ দেশের জন্য আমারও অবদান আছে। আমরা গুম-খুনের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করিনি।
সোমবার আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে খুন, গুম ও অপহৃত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন জাফরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে গুম-খুনের তথ্য উদ্ঘাটনে প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি করার দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে এ জিনিসের (গুম) অবসান প্রয়োজন। সে জন্য প্রাক্তন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, এটিএম আফজাল, এমনকি ফজলুল করিমও হতে পারেন; এর সঙ্গে আমাদের অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করে এটা পরিষ্কার করা হোক। জাতিকে পরিষ্কার করে বলুক- এ ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলবে, আর ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মানুষ গুম করে ফেলবে; খবরও দেবে না- ওই রকম রাষ্ট্র আমরা চাই না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গুম-খুনের বিচার হবে। একদিন এ দেশের মাটিতেই তাদের বিচার হবে। প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্র কেন গুম হওয়াদের বের করার ব্যবস্থা করে না? তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি না- এদের গুমের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় কারণ জড়িত।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, আজ শুধু দেশের অভ্যন্তরে গুম হচ্ছে না। এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশে। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরেক জায়গায়। এই যে আন্তঃদেশীয় ব্যবস্থা; এটা কখনোই রাষ্ট্রীয় সম্মতি ছাড়া সম্ভব নয়।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, যতদিন পর্যন্ত বিচার না পাওয়া যাবে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ অনেক সাধারণ মানুষ।
সূত্র : সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ৩০, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,