মহামারিকালটা আমাদের স্বাভাবিক চলার পথে কোন রকমের স্বস্থি দেয় নি, নানান বাঁধায় আমাদের আটকিয়ে রেখেছে প্রায় দেড় বছর হতে চলল। এই সময় কালে বর্ণিলা তার নতুন জীবনে পা রেখেছে হাঁটি হাঁটি পা করে প্রায় তা এক বছরে পা দিচ্ছে আর কয়েকদিন পরেই তার প্রথম বার্ষিকী। পুরো সময়কালটাই অলক পর্যবেক্ষনে রেখছিল বর্ণিলার চলাচল।
অলকের ধারণা ছিল নতুন জীবনের পরবর্তিকালে বর্ণিলার জীবনের নানান পরিবর্তন আসবে চলাচলে, গড়নে, কর্ম-ক্ষেত্রে, ভাব-গম্ভিরতায় কিন্তু অলক কিছু খুঁজে পায় নি নতুন পূর্ব জীবন বা নতুন জীবন পরবর্তিকালের মধ্যে।
আজও বর্ণিলা যেন সেই দেড় বছর আগের বর্ণিলা বরং পরিপক্কতার বদলে শিশু-আচরণ বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে এখনও। বেশি ভাগ দিনই কাটে বর্ণিলার বাবা বাড়িতে, জীবন শুরুর হয়তো এমন শর্তই ছিল তাছাড়া তার সাথীর কর্ম-ক্ষেত্রের অবস্থান ঢাকার বাইরে।
মানসিক চাপ থাকলেও হয়তো তা প্রকাশে আনে না, সেই সাথে আছে বর্ণিলার পরিপূর্ণ জীবনের পূর্ণতা নানান স্বপ্ন, সামাজিক প্রক্রিয়ার স্পর্শ।
নতুন একটি বছরের সময় অনেক গুরুত্ব পূর্ণ অনুভূতি, অভিজ্ঞতা পাড়ি দিয়ে হয়তো বেশি ভাগ ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে, এটি অলকের ধারণা সে তো আর বর্ণিলার ভিতরটা জানে না আর জানাও হয় না, বাহিরটা দেখে সন্তষ্ট থাকতে হয়।
তারিখঃ জুলাই ১৮, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,