আগামী ১ জুলাই শতবর্ষ পূর্ণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরেই ১৯২৩ সালে প্রথম এ দেশে সমাবর্তন আয়োজিত হয়েছিল ।১০০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত হয়েছে মোট ৫৩টি সমাবর্তন। সমাবর্তনের বক্তার আসন অলংকৃত করেছেন অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। তাঁদের বক্তৃতা শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল উদ্দীপনাময়, পরবর্তী জীবনের পথনির্দেশনা। ১৯৫৭ সালে ৩২ তম সমাবর্তনে বক্তা ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও জননেতা, তৎকালীন আচার্য এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এ কে ফজলুল হক। কী বলেছিলেন তিনি!
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এখন নতুন পৃথিবী, নতুন চেতনা, নতুন প্রতিকূলতা এবং নতুন চাহিদা। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি হতে হবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার স্রোতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্যই বদলে ফেলতে হবে, তা কিন্তু নয়। জ্ঞান ও সত্য অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা চিরন্তন, তা কখনোই অপাঙ্ক্তেয় হবে না। তবে নতুন পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে এই অনুসন্ধানের পন্থা ও উপায়ে পরিবর্তন আনতে হবে। একটি উপমা দিয়ে বুঝিয়ে বলি, জ্ঞানের বৃক্ষ এখনো একই রকম আছে। কিন্তু পুরোনো পাতাগুলো ঝরে গিয়ে জ্ঞানবৃক্ষে জন্ম নিয়েছে নতুন পাতা।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোমরা যে আদর্শের শিক্ষা পেয়েছ, তোমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা প্রতিফলিত করতে পারবে বলেই আমার প্রত্যাশা। আজ একবুক আশা ও ভয় নিয়ে তোমরা জীবন নামের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছ। তবে ভয়কে কখনোই জিততে দেওয়া যাবে না। ভয় যেন তোমাদের আশাকে পরাহত না করতে পারে।’
(সংক্ষেপিত ও ইংরেজি থেকে অনুদিত)
সূত্র: ঢাকা ইউনিভার্সিটি দি কনভোকেশন স্পিচেস ভলিউম ২ (১৯৪৭-১৯৭০)
সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: জুন ২৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,