Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

বিদায়ের আগে ট্রাম্পের তৈরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কৃষ্ণ অধ্যায় ! (২০২১)

Share on Facebook

রয়টার্সের বিশ্লেষণ
ট্রাম্পের ক্রমাগত উসকানির ফল এ হামলা

নির্বাচনের আগে-পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আচরণ ছিল অসংযত। ভোটের ফল তাঁর পক্ষে না এলে তিনি যে তা মানবেন না, তা আগে থেকেই বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মানেনওনি। এমনকি গতকাল জর্জিয়ায় সিনেট নির্বাচনে নিজের দুই প্রার্থী হেরে যাওয়ার পরও তা মানতে চাননি। আর এরপর যা হলো, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কৃষ্ণ অধ্যায়।

খোদ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ রিপাবলিকান পার্টির অনেক বড় নেতার মুখেই শোনা গেল এ কথা। ঠিক সেই হামলার সময় উগ্র সমর্থকদের ফিরে যাওয়ার কথা বলেও অত্যন্ত স্বচ্ছ এ নির্বাচন নিয়ে বিষোদগার করছিলেন। আর এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে গতকাল বুধবার নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটল।

আর এই ঘটনার পেছনে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই উসকানি। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি ক্রমাগতভাবে গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিজ সমর্থকদের কান ভারী করে আসছিলেন। উসকানির চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁর শত শত উগ্র সমর্থক মার্কিন গণতন্ত্রকে প্রতিনিধিত্ব করা ওই ভবন অভিমুখে বিক্ষোভ করে একপর্যায়ে হামলাই করে বসলেন।

নির্বাচনে স্পষ্ট ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু হার মানতে নারাজ তিনি। তাঁর দাবির সপক্ষে মিছিল নিয়ে গতকাল ওয়াশিংটনে আসতে তিনি কয়েকবার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন বসে কংগ্রেসের।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ ডিসেম্বর এক টুইটে লেখেন, ‘পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ২০২০-এর নির্বাচনে হার মেনে নেওয়াটা অসম্ভব। ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে বড় বিক্ষোভ। সেখানে আসুন। ঝোড়ো বিক্ষোভ হবে!’
প্রেসিডেন্টের কথামতো ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন তাঁর হাজারো সমর্থক। তাঁরা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও ফলাফল বাতিলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্পের ক্যাপিটল ভবন অভিমুখে মিছিল করার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।

এর আগে হোয়াইট হাউসে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ক্যাপিটলে যেতে চলেছি। সেখানে আমরা আমাদের সাহসী সিনেটর, কংগ্রেসম্যান ও উইমেনদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দ করব।’

ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৃশ্যত এটি ছিল ট্রাম্পের সর্বশেষ জনসভা। সেখানে উপস্থিত হওয়া সমর্থকদের তিনি ‘লড়াইয়ে’ উৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, ‘আমরা কখনো হাল ছাড়ব না, কখনো পরাজয় মানব না।’ ডেমোক্র্যাটদের বিজয়কে বাজে কথা বলে আখ্যায়িত করে সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তোলেন তিনি। তাঁর কণ্ঠে সুর মিলিয়ে সমর্থকেরাও ‘বাজে কথা, বাজে কথা, বাজে কথা’ বলে স্লোগান দেন।
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর ভন্ডুল করতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তাঁর এই চেষ্টায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মিথ্যা দাবি ছড়িয়ে সহায়তা করেছে ‘স্টপ দ্য স্টিল’ (চুরি বন্ধ করো)-এর মতো কয়েকটি গ্রুপ।
এসব চেষ্টার চূড়ান্ত রূপ গতকালের হামলা, সহিংসতা। সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প প্রায় ৫০ মিনিট বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা চলাকালেই কোনো কোনো সমর্থক দলীয় পতাকা উড়িয়ে ক্যাপিটল হিলের দিকে যাত্রা শুরু করেন।

পরে ট্রাম্পের উত্তেজিত সমর্থকেরা মিছিল করে ক্যাপিটল ভবনে জড়ো হন। পুলিশের প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ঝোড়ো গতিতে একেবারে ভবনের ভেতর আইনপ্রণেতাদের অধিবেশনকক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁদের তাণ্ডবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় যৌথ অধিবেশন। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা সরিয়ে নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও অন্য কংগ্রেস সদস্যদের। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন চারজন। রাত নেমে এলে ক্যাপিটলের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি থেকে ট্রাম্প সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তখনো ভবনের বাইরে অবস্থান করছিলেন এই সমর্থকদের অনেকে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন কট্টর ডানপন্থী গ্রুপের সদস্যরাও।
টেলিভিশনের পর্দায় ওভাল অফিস থেকে সমর্থকদের তাণ্ডব দেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁদের হামলা ও সহিংসতায় ক্যাপিটল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর টুইট করেন তিনি। তাতে বিক্ষোভকারীদের ‘শান্ত থাকা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প এই দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছেন বলে সমালোচনা শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য তাঁকে আরও কিছু বলার অনুরোধ জানান প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি ও হোয়াইট হাউসের কয়েকজন উপদেষ্টা। এমনকি জো বাইডেনকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠানে আসতে হয়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা কোনো বিক্ষোভ না, এটা বিদ্রোহ।’ ট্রাম্পের প্রতি এ অবস্থার অবসান ঘটানোর দাবি জানান তিনি।

শেষমেশ ট্রাম্প টুইটারে তাঁর আগে ধারণ করা একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা ব্যথিত হয়েছেন। আমাদের এমন এক নির্বাচন হয়েছে, যেখানে আমাদের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছিল এক ভূমিধস নির্বাচন।’ মিথ্যা দাবির পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘তবে এখন আপনাদের ঘরে ফিরে যাওয়া দরকার। আমাদের শান্ত থাকতে হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’ আরেক বার্তায় তিনি তাঁর উন্মত্ত সমর্থকদের ‘মহান দেশপ্রেমী’ আখ্যায়িত করেন।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: জানুয়ারী ০৭, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

নভেম্বর ২২, ২০২৪,শুক্রবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ