Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

মাক্সিম গোর্কি এবং তার লেখা

Share on Facebook

আমার ছেলেবেলা’ থেকে
অনুবাদ – খগেন্দ্রনাথ মিত্র, জ্যৈষ্ঠ ১৩৫২

… তিনি (দিদিমা) কথা বলবার সময় এমন বিচিত্র সুসংবদ্ধ শব্দ ব্যবহার করতেন যে, তা আমার স্মৃতিতে সুগন্ধি, উজ্জ্বল, অমর কুসুমের মত ফুটে থাক্‌তো। তিনি যখন হাসতেন তখন তাঁর কালো মধুময় চোখ দুটির তারকা বিস্তৃত হয়ে এক অনির্ব্বচনীয় মাধুর্য্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠতো আর তাঁর শক্ত সাদা দাঁতগুলি আনন্দে ঝক্‌ ঝক্‌ করতো। তাঁর রঙ ছিলো ময়লা ও মুখে ছিলো অসংখ্য রেখা তবুও তাঁর চেহারাটি ছিল যৌবনশ্রীমাখা ও উজ্জ্বল। যা তাঁর শ্রী নষ্ট করে দিয়েছিল তা ছিল তাঁর গোল নাকটি ও লাল ঠোঁট দুখানি। তাঁর নস্য নেওয়ার অভ্যাস ছিল। তার ফলে নাকের ছিদ্র দুটো হয়ে গিয়েছিল বড়। তাঁর নস্যের কৌটোটা ছিল কালো, রুপোবাঁধানো। মদেও তার আসক্তি ছিল। বাইরে তার চারধারের সব কিছু ছিল কালো কিন্তু অন্তরে তিনি ছিলেন এক অমর, আনন্দময় ও দীপ শিখায় আলোকিত। সেই আলোক প্রকাশিত হত তার দুই চোখে। বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়লেও, প্রায় কুঁজো হয়ে গেলেও প্রকান্ড মার্জ্জারটির মতো লঘুপায়ে প্রায় নিঃশব্দে চলাফেরা করতেন। আর এই সোহাগপ্রিয় প্রাণীটির মতোই ছিলেন নিরীহ।… যতোদিন না তিনি আমার জীবনের মাঝে এসে পড়েছিলেন, ততদিন আমি যেন ছিলাম ঘুমিয়ে, অন্ধকারের মাঝে ডুবে। তিনি এসে আমাকে জাগিয়ে দিনের আলোয় নিয়ে গেলেন। আমার মনে যে-সব ছাপ পড়তো তিনি সেগুলিকে একসূত্রে গেঁথে তাই দিয়ে নানা রঙের একখানি নক্সা বুনেছিলেন। এই ভাবে তিনি নিজেকে করে তুলেছিলেন আমার জীবনের বন্ধু, আমার অন্তরের নিকটতম মানুষটি, সকলের চেয়ে প্রিয় ও সকলের চেয়ে পরিচিত। আর, তাঁর সকলের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমাকে করে তুলেছিল ঐশ্বর্য্যময় এবং আমার মধ্যে গড়ে তুলেছিল সেই শক্তি, কঠোর জীবন-যাত্রায় যা একান্ত প্রয়োজন। … (পৃঃ ১১-১২)

…তারপর শুরু হল এক জমাট, বিচিত্র, অবর্ণনীয় নতুন জীবন। এবং তা বিস্ময়কর দ্রুত গতিতে বয়ে যেতে লাগলো। এই জীবনটির কথায় আমার মনে পড়ে একটি অপরিমার্জ্জিত গল্প। গল্পটি বলা হয়েছিল বেশ। কিন্তু যে বলেছিল সে উৎকট সত্যপ্রিয় প্রতিভা। এখন সেই অতীতের কথা মনে করে, কালের এই দর ব্যবধানে, আমার পক্ষে বিশ্বাস করাই কঠিন যে, যেমন দেখেছিলাম, সে-সব প্রকৃতই ছিল সেই রকমের, সেই সত্য ঘটনাগুলিকে অস্বীকার করতে আমি ব্যাকুল হয়ে উঠেছি – অবাঞ্ছিত আত্মীয়ের বৈচিত্র্যহীন জীবন-যাত্রার কঠোরতার কথা ভাবতে বেদনা জাগে। কিন্তু সত্য হচ্ছে অনুকম্পার চেয়ে প্রবল। তা ছাড়া আমি নিজের কথা লিখছি না, লিখছি অপ্রীতিকর ঘটনাবলীর, সেই সঙ্কীর্ণ শ্বাসবিরোধী পরিবেষ্টনির কথা, যার মধ্যে এই শ্রেণীর রুশদের অধিকাংশই তখন বাস করতো – এমন কি আজও করে।… (পৃঃ ১৮-১৯) … বহুপরে আমি উপলব্ধি করলাম রুশদের অভাবগ্রস্ত ও দারিদ্র্যভরা জীবনের অফুরন্ত কাজের দিনগুলিতে দুঃখ হয়ে ওঠে ছুটি, অগ্নি লীলা হয় আমোদ, কাটা দাগ হয় মুখের অলঙ্কার। এই তাদের বিলাস।… (পৃঃ ২২১)

…শৈশবে আমি যেন ছিলাম একটি মৌচাক। মৌমাছি যেমন চাকে মধু আনে, তেমনি নানা ধরনের সরল ও অখ্যাত ব্যক্তিগণ তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাধারা এনে তাদের যা দেবার তাই দিয়ে আমার মনকে মুক্তহস্তে সম্পদশালী করে তুলে ছিল। মধুটুকু প্রায়শই হত ময়লা ও তিক্ত, তবুও তা ছিল জ্ঞান – ও মধু। … (পৃঃ ১৬৭)
…একদিন সন্ধ্যার আগেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙলে মনে হতে লাগলো, আমার পা দু’খানায় সাড় এসেছে। পা দুখানা বিছানার বাইরে রাখলাম, কিন্তু আবার অসাড় হয়ে গেল। তবে বোঝা গেল আমার পা দুখানা সেরে গেছে, আমি আবার হাঁটতে পারবো। খবরটা এমন চমৎকার যে, আনন্দে চীৎকার করে উঠ্‌লাম।… (পৃঃ ২৫০)

…কখন কখন সূর্য্য যখন অস্ত যেত, আকাশে বয়ে যেত আলোর নদী। মনে হত যেন সবুজ মখমলের মতো বাগানের ওপর ঝরে পড়ছে লাল-সোনালি রাশি রাশি ভস্ম। তখন সব কিছু হয়ে উঠতো আর একটু কালো ও বড় এবং গোধূলি আলোক-বেষ্টনির সঙ্গে সঙ্গে যেন উঠতো ফুলে। রৌদ্রে অবসন্ন হয়ে গাছের পাতাগুলো পড়তো এলিয়ে, ঘাসের আগাগুলি পড়তো নুয়ে। সব কিছুকে মনে হত আরও ঐশ্বর্য্যময়। এবং সঙ্গীতের মতো স্নিগ্ধকর নানা রকমের সুরভী বিতরণ করতো। সেখানে সঙ্গীতও ছিল, সৈন্যদের তাঁবু থেকে গমকে গমকে তা ভেসে আসতো।… রাত্রি আসতো। তার সঙ্গে অন্তরে আসতো মায়ের সোহাগের মতো সতেজ নির্ম্মল এক ভাব। স্তব্ধতা তার তপ্ত অমসৃণ হাতখানি দিত অন্তরে বুলিয়ে এবং যা ভোলবার – দিবসের সূক্ষ্ম ধূলিকণা, তিক্ততা – তা যেত ধুয়ে মুছে। চিৎ হয়ে শুয়ে অতল গভীর আকাশে উজ্জ্বল তারাগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে লাগতো চমৎকার। … অন্ধকার হয়ে আসতো আরও গাঢ়, স্তব্ধতা হতো আরও গভীর, কিন্তু শব্দের পর উঠ্‌তো সূক্ষ্ম, অনুভব করা যায় কি না যায় এমনি দীর্ঘ শব্দতরঙ্গ। এবং প্রত্যেকটি শব্দ – তা সে ঘুমের ঘোরে পাখীর গানই হোক বা সজারুর ছোটার শব্দই হোক অথবা কোন মৃদু মনুষ্য কন্ঠস্বরই হোক – দিবসের শব্দগুলি থেকে ছিল পৃথক। তার মধ্যে থাকতো তার বিচিত্র নিজস্ব কিছু।… … … এই সময়টি ছিল আমার সারা জীবনের সব চেয়ে শান্ত চিন্তাশীলতার মুহূর্ত। আর গ্রীষ্মকালেই আমার আত্ম-শক্তির চেতনা জেগে উঠে অন্তরে বদ্ধমূল ও স্পষ্ট হয়। আমি হয়ে পড়তাম লাজুক ও অসামাজিক।… (পৃঃ ২৬০-১৬১)

… আমাদের উচ্ছৃঙ্খল রুষ-জীবনের পীড়াদায়ক বিভীষিকার কথা যখনই মনে পড়ে, তখন প্রায়ই নিজের মনে প্রশ্ন করে থাকি, সেগুলো বলে লাভ আছে কিনা। আর তারপরই দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে নিজের প্রশ্নের উত্তর দিই – “লাভের। কারণ এটা হচ্ছে সত্য ও জঘণ্য বাস্তব, যা আজও দূর হয় নি। এই সত্যের মূল অবধি স্মৃতি থেকে, লোকের মন থেকে, আমাদের সঙ্কীর্ণ, হীন জীবন থেকে উৎপাটিত করতে হবে।” … … তা ছাড়া আরও একটি গুরুতর কারণ আমাকে এই বিভীষিকাগুলি বর্ণনা করতে ব্যাকুল করছে। যদিও সেগুলো এমন ঘৃণ্য, যদিও সেগুলো আমাদের পীড়া দেয় এবং বহু সুন্দর অন্তর নির্জ্জীব করে ফেলে তবুও রুষদেশবাসীর অন্তর এখনও এমন সুস্থ, সবল, ও তরুণ যে তারা সেগুলোর ওপরে উঠ্‌তে পারে। কারণ আমাদের এই চমকপ্রদ জীবনধারায় কেবল আমাদের পাশবিক দিকটাই বৃদ্ধি পায় না ও পুষ্ট হয় না, এই পাশবিকতার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি লাভ করছে, এ-সব সত্ত্বেও বিজয়ী হয়ে উঠছে এক ধরনের প্রাণবান, সবল ও সৃষ্টিক্ষম মনুষ্যত্ব।… (পৃঃ ২৮০)

পীত দানবের পুরী’ থেকে
অনুবাদ – অরুণ সোম, ১৯৮৭

… মানুষ সম্পর্কে কোন কথা বলা ভয়াবহ, বেদনাদায়ক।…’উড়াল পুলের’ ওপরকার রেলপথ ধরে, সঙ্কীর্ণ রাস্তার বাড়িঘরের দেয়ালের মাঝখান দিয়ে, লোহার ঝুল-বারান্দা আর সিঁড়ির বৈচিত্র্যহীন জাফরিতে জড়ানো-পাকানো তিন তলা উঁচুতে গর্জন করতে করতে, ঘর্ঘর আওয়াজ তুলে ছুটে চলেছে রেলগাড়ি। বাড়িঘরের জানলা খোলা, প্রায় প্রতিটা জানলায় চোখে পড়ে লোকজনের মূর্তি। কেউ কাজ করছে, কিছু একটা সেলাই করছে অথবা ডেস্কের ওপর ঝুঁকে পড়ে গুনছে, কেউ বা স্রেফ জানলার ধারে বসে আছে, জানলার তাকের ওপর বুকে ভর দিয়ে ঝুঁকে পড়ে দেখছে প্রতি মুহূর্তে গাড়ির কামরাগুলো একের পর এক তাদের চোখের ওপর দিয়ে নির্বাক, বৈচিত্র্যহীন অবিচল, নিশ্চিন্ত। উদ্দেশ্যহীন এই প্রয়াসে তারা অভ্যস্ত, তারা ভাবতে অভ্যস্ত যে এর মধ্যে উদ্দেশ্য আছে। তাদের চোখে লোহার আধিপত্যের ওপর ক্রোধের কোন চিহ্ন নেই, নেই তার বিজয়োল্লাসের বিরুদ্ধে কোন ঘৃণার ভাব। গাড়ির কামরাগুলো ঝলকে ঝলকে ছুটে চলার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িঘরের দেয়াল কেঁপে উঠছে, নারীদের বক্ষোদেশে, পুরুষদের মাথায় ঝাঁকুনি লাগছে; ঝুল-বারান্দার রেলিংয়ের গায়ে যে-সমস্ত শিশুর দেহ গড়াগড়ি যাচ্ছে তারাও থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে এই জঘন্য জীবনকে সঙ্গত ও অনিবার্য বলে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। যে-মগজ অবিরাম ঝাঁকুনি খেয়ে চলেছে, সেখানে স্বভাবতই সাহসী ও সুন্দর চিন্তার জাল বোনা অসম্ভব, জীবন্ত ও দুঃসাহসী স্বপ্নের আবির্ভাবও সেখানে অসম্ভব।…

… এই পত্রলেখকের মতো লোকজন, যাঁরা এখনও ‘দু-তিন ছত্রের’ আরোগ্যশক্তির ওপর, বাক্যের শক্তির ওপর সরল বিশ্বাস হারান নি – এরকম লোকজন সংখ্যায় এখন কম নেই। তাঁদের বিশ্বাস এতই সরল যে খাঁটি কিনা সন্দেহ হয়।…
…আমাকে আগের মতোই ওরা ল্যাং মারার চেষ্টা করে, কিন্তু এ ব্যাপারটায় আমি ইতিমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি – আমি নিজেই এখন সুযোগ পেলে অন্যদের ল্যাং মারার চেষ্টা করি।…

… আমাদের এখান থেকে এক মাইল দূরে – একটা ফিলজফি স্কুল। চারধারে প্রফেসারদের বাস। ভ্যাকেশানের সুযোগ নিয়ে যে কোন বিদ্যার ওপর লেকচার দিয়ে বেড়ান এঁরা। সপ্তাহে ১০ ডলার দক্ষিণা দিয়ে ছয়টা লেকচার শোনা যায় – এ জন্য খাওয়াও পাবেন অবশ্য – তবে প্রধানত ঘাসপাতা। শ্রোতৃবৃন্দ বসে একটা ছোট্ট হলঘরে – অসহ্য! – বক্তৃতা দিচ্ছেন বেঁটেখাটো চেহারার প্রফেসর মরিস – অসহ্য! – ‘মেটাফিজিক্স, লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন! মেটাফিজিক্স কী? প্রতিটি শব্দ, তা সে যে শব্দই হোক না কেন – একেকটি প্রতীক, লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন! আমি যখন বলি মেটাফিজিক্স, তখন মনে মনে কল্পনা করি একটি সিঁড়ি – সিঁড়িটা মাটি থেকে উঠে একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে মিলিয়ে গেছে। আমি যখন বলি সাইকোলজি তখন আমার সামনে দেখতে পাই এক সারি থাম।’ বাস্তবিক বলতে গেলে কি ইচ্ছে হয় লোকটার মুন্ডুতে দড়াম করে বসিয়ে দিই থামের বাড়ি।… (পেত্রোভিচ পিয়াত্‌নিৎস্কি’র কাছে লেখা চিঠির অংশ, ১৯০৬)

… তোমাকে একটা কথা আমি বলতে চাই – এখানে এসে আমি অনেক জিনিস বুঝতে পারলাম; প্রসঙ্গত, বুঝতে পারলাম যে এর আগে পর্যন্ত আমি বিপ্লবী ছিলাম না। আমি বিপ্লবী হয়ে উঠছিলাম মাত্র। যাদের আমরা বিপ্লবী বলে ভাবতে অভ্যস্ত তারা আসলে সংস্কারবাদী মাত্র। বিপ্লব সম্পর্কে যে বোধ, তার গভীরতাসাধন প্রয়োজন। আর সেটা সম্ভবও! …
… আমি আছি বনের ভেতরে খুব নির্জন একটা জায়গায় – সবচেয়ে কাছের শহর – এলিজাবেথটাউন থেকে ১৮ মাইল দূরে।… আমাদের কোন চাকরবাকর নেই, আমরা আমাদের নিজেদের খাবার রান্না করি, সব কাজ নিজেরা করি। আমি বাসন ধুই, জিনা ঘোড়ায় চড়ে শহরে রসদ আনতে যায়, প্রফেসর চা, কফি ইত্যাদি বানান। কখনও কখনও আমিও খানা পাকাই – মাংসের পিঠে বানাই, বাঁধাকপির স্যুপ ইত্যাদি এটা ওটা রান্না করি। আমরা উঠি সকাল সাতটায়, আটটায় আমি কাজে বসে যাই, বারোটা পর্যন্ত কাজ করি। একটায় দুপুরের খাবার, চারটেয় চা, আটটেয় রাতের খাবার। তারপর বারোটা পর্যন্ত কাজ করি। রুশী কমরেডটি পিয়ানো বাজনায় সঙ্গীত বিদ্যালয় শেষ করেছে, চমৎকার বাজায়। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কন্সার্ট। এখন আমরা স্ক্যান্ডিনেভীয় বাজনা নিয়ে গ্রিগ, ওলে ওল্‌সেন ও ল্যুডভিগ শিট নিয়ে চর্চা করছি।… আমি আমার সমস্ত জিনিস বিভিন্ন মার্কিন পত্রিকার কাছে বেচে দিয়েছি, শব্দ পিছু ১৬ সেন্ট হিশেবে আগে থেকে শর্ত হয়েছে – তার মানে আমাদের ৩০,০০০ শব্দের একেকটি ফর্মার জন্য প্রায় ২ হাজার ডলার করে। কাজ করতে করতে বড় তাড়াতাড়ি সময় কেটে যায়। … আমি আর সকলের থেকে আলাদা থাকি একটা বিরাট চালাঘরে। তার দু’পাশের দেয়াল কাচের ফ্রেমের, নড়ানো যায়। যখন ঘুমোতে যাই ওগুলো উঠিয়ে নিই। লেখার টেবিলে বড় বেশি বসে থাকার ফলে পিঠ ব্যথা করে, কখন কখন নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। খুব রোগা হয়ে গেছি, রোদে পুড়ে গেছি, মাথা কামিয়েছি। তবে মোটের ওপর স্বাস্থ্য চলনসই।… এই হল আমার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও ভাবনাচিন্তার ধারা। সব ভাবনাচিন্তা অবশ্যই নয়! এখানে ভাবনাচিন্তা কাজ করে মহা উৎসাহের সঙ্গে। সব সময় আমি আছি একটা প্রবল উত্তেজনার মধ্যে।… আর নয়, এখন আমাকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দিতে হয় – এই হল আমার উপলব্ধি। তড়িঘড়িতে লেখা আমার এই লেখাগুলোর কোনটার বিশেষ মূল্য নেই।… (ইয়েকাতেরিনা পাভ্‌লভ্‌না পেশ্‌কভার কাছে লেখা চিঠির অংশ, ১৯০৬)

সূত্র: সংগৃহিত
তারিখ: অক্টোবর ০২, ২০২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ