Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

দি পাওয়ার অব নাউ (The Power of Now)

Share on Facebook

দি পাওয়ার অব নাও বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত একটি সেলফ হেল্প গাইড। বইটি লিখেছেন একহার্ট টলি। এই বইটি আপনার সত্যিকার নিজেকে খুঁজে পেতে সাহায্য করার পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।

“The Power of Now” এর সহজ অর্থ করলে দাঁড়ায়, “বর্তমানের শক্তি”। বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্তের মূল্য বোঝা এবং তাকে কাজে লাগাতে পারাই আসলে ভবিষ্য‌ৎ সুখ ও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

যখন আমরা অতীত বা ভবিষ্য‌ৎ নিয়ে পড়ে না থেকে সত্যিকার অর্থে বর্তমানে থাকতে পারব, তখন আমরা নিজেদের কাজগুলো আরও ভালোভাবে করতে পারব। ফলে আমাদের জীবন হবে শান্তিপূর্ণ ও সফল। আমাদের লক্ষ্যগুলোকে আরও সুন্দর ভাবে পূরণ করতে পারব।

পাওয়ার অব নাও এর বুক রিভিউ থেকে আপনি সব সময়ে সচেতন থাকা, আত্মিক শান্তি ও কিভাবে বর্তমান সময়কে সবচেয়ে ভালো ভাবে কাজে লাগানো যায় – তা শিখতে পারবেন।

লেখক একহার্ট টলি বইটির শুরুতে লিখেছেন কিভাবে তিনি এই ধারণাটি খুঁজে পেলেন। অনেকের মত তিনিও তরুণ বয়সে অস্থিরতা ও ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। এমনকি বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন।

তাঁর বয়স যখন ২৯ বছর, তিনি এমন কিছু খুঁজে পান – যা তাঁর পুরো জীবনটাই বদলে দেয়। তবে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে তাঁর আরও কয়েক বছর লেগেছিল। আর দি পাওয়ার অব নাও বইতে তিনি তাঁর সেই জীবন বদলে দেয়া আবিষ্কারের কথাই ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন, যাতে অন্যরাও তা থেকে উপকৃত হতে পারে।

চলুন, দি পাওয়ার অব নাও এর বুক রিভিউ থেকে জেনে নেয়া যাক, তিনি আসলে কোন কোন বিষয়গুলো খুঁজে পেয়েছিলেন। বিষয়গুলো জানলে আপনিও প্রয়োজনমত সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারবেন।

দি পাওয়ার অব নাও : বুক রিভিউ
০১. আপনার মন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করেনা:

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা তাদের মন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। মন যখন যা অনুভব করে, আমাদের প্রতিক্রিয়া বা রিএ্যাকশনও তেমন হয়। মন খারাপ থাকলে আমাদের কথাবার্তা, চালচলন ভালো হয় না। কাজে মন বসে না। সোজা কথা, কিছুই ভালোভাবে হয় না।

কিন্তু আমরা যদি আসলেই শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের মানুষ হই, তাহলে আমাদের মন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বরং আমরাই আমাদের মুড বা মনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। বেশিরভাগ মানুষ আসলে মনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাই করেনা। যেমন চলছে তেমনই চলতে দেয়।

মনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার বদলে মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রথমে একটা বিষয় বিশ্বাস করুন। আপনাকে এটা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে, আপনার মন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। তার বদলে আপনিই আসলে আপনার মনের ড্রাইভার। আপনি মনকে যেদিকে নিতে চাইবেন – সে সেদিকেই যাবে। কোনও নেগেটিভ চিন্তা যদি মন খারাপ করায়, তবে জোর করে পজিটিভ কিছু ভাবুন। প্রথম দিকে জোর করতে হলেও পরে জোর করা লাগবে না।

যদি বর্তমানে কোনও খারাপ পরিস্থিতির জন্য মন খারাপ থাকে, তবে অতীতের ভুল বা বর্তমানের খারাপ অবস্থার কথা চিন্তা করবেন না। তার বদলে চিন্তা করুন পরিস্থিতি বদলানোর জন্য এখন আপনি কি করতে পারেন।

এই ধরনের পজিটিভ চিন্তা মস্তিষ্ককে অলস বসে থাকতে দেয় না। সে পরিস্থিতি বদলানোর উপায় খুঁজতে শুরু করে। এবং এই উপায়গুলোর কোনও না কোনওটি কাজে লাগে। কাজে না লাগলেও তার থেকে নতুন উপায় বের হয়ে আসে। সোজা কথা, এই ধরনের চিন্তা আপনাকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে দেবে না। তার বদলে আপনাকে সমস্যার সমাধান খুঁজতে উ‌ৎসাহিত করবে।

মানুষের মন তার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, যদি তাকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায়। এটাকে একটা বিশাল গাড়ির সাথে তুলনা করা যায়। একটি শক্তিশালী গতিশীল বাহন, যার ড্রাইভিং সিটে আপনি বসে আছেন। আপনি চাইলেই একে নিয়ন্ত্রণ করে খুব সহজে নিজের কাঙ্খিত গন্তব্যে যেতে পারেন। স্টিয়ারিং হুইলে হাত রেখে তাকে যেদিকে যেতে বলবেন, সে সেদিকেই যাবে।

কিন্তু যদি একে নিয়ন্ত্রণ না করে নিজের মত চলতে দেন, তাহলে সে আপনাকে সফল করার বদলে বড় বিপদে ফেলবে। কাজের সময়ে কাজে ফোকাস করার বদলে যদি আপনি বিনোদনে ফোকাস করেন – তাহলে কি সফল হতে পারবেন?

মন যেটা চায়, তাকে সেটা করতে না দিয়ে, যেটা করা প্রয়োজন – তার ওপর মনের ফোকাস নিয়ে যান। এটা একটা দীর্ঘ চর্চার বিষয়। কিন্তু একবার এটা আয়ত্বে এসে গেলে আপনি যে কোনও অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবেন। মনের ইচ্ছার দাস হওয়ার বদলে মনকে ইচ্ছার দাস বানান।

০২. বাইরের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসা

মানুষের অতীত তার জীবনকে দারুন ভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে আমরা ঠিক করি আমরা মানুষ হিসেবে কেমন। হয়তো একজনের এসএসসির রেজাল্ট ভালো হয়নি, তার ওপর নির্ভর করে সে নিজেকে একজন খারাপ ছাত্র হিসেবে ধরে নিল। এর ফলে সে ইন্টারমিডিয়েটে ভালোভাবে পড়ার চেষ্টাই করল না। ফলে এবারও তার রেজাল্ট খারাপ হল।

লেখকের মতে, এইসব বাইরের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের অতীত কখনওই আমাদের বর্তমান হতে পারে না। বর্তমানে আমি কেমন – সেটাই আসল বিষয়। আগে ব্যর্থ হয়েছেন মানে এখনও আপনি ব্যর্থ – এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। এখন থেকে যদি সঠিক ভাবে চেষ্টা করেন, বর্তমান সময়টাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগান – তাহলে আপনার পক্ষে সফল হওয়া খুবই সম্ভব।

চিন্তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার বদলে নতুন চিন্তা দিয়ে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অতীতে কে কি বলেছে, আপনার সাথে কি ঘটেছে – এসব বিষয় যেন আপনার বর্তমানকে প্রভাবিত করতে না পারে।

গতকাল পর্যন্ত যদি ভেবে থাকেন আপনি অলস, আজ থেকে ভাবতে শুরু করুন আপনি কঠোর পরিশ্রমী। বারবার মনে মনে বলুন “আমি কঠোর পরিশ্রমী”। এভাবে বলতে বলতে আর ভাবতে ভাবতে একদিন দেখবেন, সত্যিই আপনি আলস্য দূর করে পরিশ্রমী হয়ে উঠছেন। নতুন চিন্তার মাধ্যমে আগের চিন্তার ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসাকে লেখক “আলোকিত হওয়া” বা “Enlightenment”বলেছেন। এটা একজন মানুষকে নতুন মানুষে পরিনত করে। বাইরের চিন্তার প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে পারলে একজন ভীতু মানুষ সাহসী হয়ে উঠবে, একজন অলস মানুষ পরিশ্রমী হয়ে উঠবে, একজন খারাপ মানুষ ভালো হয়ে যাবে। এতটাই শক্তিশালী এটা।

নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি জীবনে আসলেই কি চান? কেমন মানুষ হিসেবে বাঁচতে চান? মৃত্যুর পর কেমন মানুষ হিসেবে অন্যরা আপনার কথা বলবে বলে আপনার ইচ্ছা?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের মাঝ থেকে খুঁজে বের করুন। তারপর কে কি বলেছে, গতকাল পর্যন্ত কি করেছেন – এসব ভুলে যান। এই মূহুর্ত থেকে প্রতিটি মূহুর্ত নিজের ইচ্ছা পূরণে কাজে লাগান।

আপনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, আপনার অতীত আর অন্যদের মন্তব্য ঠিক করবে না আপনি কেমন। আজ আপনি কি করছেন, কেমন মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন – সেটাই আপনাকে সত্যিকার ভাবে তুলে ধরবে।

০৩. সময়ের ধাঁধা এবং পাওয়ার অব নাও

দি পাওয়ার অব নাও বুক রিভিউ
লেখকের মতে, অন্য অনেক কিছুর মত ঘড়ির সময় আসলে মানুষের তৈরী করা একটা ধারণা। এই ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল গুছিয়ে কাজ করার জন্য। সেইসাথে, অতীত ও ভবিষ্য‌ৎ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য। কিন্তু টলি বলেন, সত্যিকার সময় আসলে বর্তমান। মানুষের জীবনে এটাই সবচেয়ে জরুরী বিষয়। এটাই একমাত্র ‘সময়’ – যাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।

কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ সময়ের ধাঁধায় আটকে পড়ে। তারা হয় অতীত নিয়ে চিন্তা করে, নাহয় ভবিষ্য‌ৎ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা ভাবে। আর এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস, অর্থা‌ৎ বর্তমান মূহুর্তগুলোকে নষ্ট করে ফেলে। লেখকের মতে, সত্যিকার সময়ের মূল্য দিতে হলে বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্তকে অনুভব করতে হবে – এবং সবকিছু ভুলে এই মূহুর্তকে কাজে লাগাতে হবে। অতীত বা ভবিষ্যতের ফাঁদে বন্দী হয়ে থাকলে বর্তমানকে অপচয় করা হবে। অতীত আর ভবিষ্যতের চিন্তা মানুষের মনে আসবেই। মাঝে মাঝে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করাও প্রয়োজন। কিন্তু এটা যেন কোনওভাবেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত না হয়।

পাওয়ার অব নাও কে কিভাবে কাজে লাগাবেন?
লেখক একহার্ট টলি মূলত বর্তমানের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্য‌ৎকে সুন্দর ও সুখী করার বিষয়ে নিজের দর্শন তুলে ধরেছেন তাঁর বইয়ে। দর্শনগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সেগুলো কাজে লাগানোর কিছু উপায়ও বলেছেন। চলুন সেগুলো সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক।

মনের কবল থেকে মুক্ত হোন:

এই বিষয়টি নিয়ে আগেও আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে আমাদের মনের ভাবনা আমাদের বর্তমানকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে দেয় না – তা আগেই বলেছি। মনের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য লেখক কয়েকটি পদ্ধতির কথা বলেছেন।

যদি মনের অবস্থা ভালো না হয়, তবে নিজেকে প্রশ্ন করুন: “আমার মনের মধ্যে আসলেই এখন কি চলছে?”, “এই মূহুর্তে কি আমি শান্তিতে আছি? – না থাকলে ঠিক কি কারণে নেই?”

তারপর:

* খুব খেয়াল করে বোঝার চেষ্টা করুন ঠিক কি কারণে মন ভালো নেই। সেইসাথে এটা ভালো করে চিন্তা করুন যে, আপনি এবং আপনার মন আলাদা। আপনি চাইলে মনের অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

* এই মূহুর্তে আপনি কোন ধরনের আবেগ অনুভব করছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। রাগ, দু:খ, হতাশা – যে ধরনের নেতিবাচক আবেগই হোক না কেন – সেটাকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। সেইসাথে এটাও মনে করুন, চিন্তার পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনার মনের আবেগও পরিবর্তন হয়ে যাবে।

* আবেগটি বোঝার পর বোঝার চেষ্টা করুন এই আবেগের পেছনে কোনও ধরনের অতীত অভিজ্ঞতা বা ভবিষ্য‌ৎ সম্পর্কে শঙ্কা জড়িত আছে কিনা।

ওপরের বিষয়গুলো বোঝার পর প্রথমেই এই মূহুর্তে যেটা করছেন, তা বন্ধ করুন। বসে থাকলে হাঁটাহাঁটি শুরু করুন। হাঁটাহাঁটি করা অবস্থায় থাকলে বসে পড়ুন। তারপর সম্পূর্ণ নতুন কোনও ভাবনা ভাবুন। ভালো কিছু নিয়ে চিন্তা করুন। এই মূহুর্তে সবচেয়ে ভালো কোন কাজটা করতে পারেন –সেটা ভেবে বের করুন, এবং সেই কাজটি করতে শুরু করুন। এভাবে মনের ফাঁদ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। একটা সময়ে ঠিকই বের হয়ে আসতে পারবেন। প্রথমবারেই হয়তো পারবেন না, তবে চেষ্টা করে গেলে বিষয়টা আপনার রপ্ত হয়ে যাবে।

সব সময়ে মূল ফোকাস বর্তমানে রাখুন:
বর্তমান

মূল ফোকাস বর্তমানের ওপরে রাখতে লেখকের পরামর্শ হল, যখনই দেখবেন অতীত বা ভবিষ্য‌ৎ নিয়ে বেশি চিন্তা করছেন – তখনই সেই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বর্তমানের হাতের কাজের ওপর মনোযোগ দিতে হবে। যদি কিছুই না করেন, তবে চিন্তা করুন, এখন কোন কাজটা আপনি করতে পারেন, যা আপনার উন্নতিতে অবদান রাখবে। সেই কাজটি করতে শুরু করুন। আপনার আগ্রহের বিষয়ে একটি বই পড়া শুরু করতে পারেন। মানুষের চিন্তাকে ঘুরিয়ে দেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা আছে বইয়ের।

নিজের ফোকাসকে বর্তমান মূহুর্তে রাখতে পারা একটি অসাধারণ দক্ষতা। সফল ও সুখী মানুষদের মাঝে এটা থাকবেই। এবং চেষ্টা করলে এটা অর্জন করা সম্ভব। যখনই দেখবেন আপনি অতীত বা ভবিষ্যতের চিন্তায় হারিয়ে গেছেন, এবং এটা আপনার মনে খারাপ প্রভাব ফেলছে – তখনই বর্তমানের ভালো কিছুতে ফোকাস করার চেষ্টা করুন। এভাবে চেষ্টা করতে করতে বিষয়টা এক সময়ে আপনার আয়ত্বে চলে আসবে। একটা সময়ে গিয়ে দেখবেন, চাইলেই আপনি আপনার চিন্তাকে ঘুরিয়ে নিতে পারছেন। যার ফলে আপনার মুডও খারাপ থেকে ভালো হয়ে যাচ্ছে। এবং আপনি বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্তকে কাজে লাগাতে পারছেন।

ধ্যান ও আধ্যাত্মিকতা চর্চা করুন:

মনের সত্যিকার প্রশান্তির জন্য ধ্যান, আধ্যাত্মিকতা ও প্রার্থণার বিকল্প নেই। নিয়মিত ধ্যান ও প্রার্থণা মানুষের মনে অন্যরকম একটি প্রশান্তি সৃষ্টি করে। লেখক বলেন, এগুলো চর্চার মাধ্যমে আপনি আপনার ভেতরের সত্তা ও সৃষ্টিকর্তার সাথে একটি সংযোগ তৈরী করবেন। এটা আপনাকে ভেতর থেকে সুখী করবে। অতীতের গ্লানি বা ভবিষ্যতের শঙ্কা আপনাকে বিচলিত করতে পারবেনা। আপনি পরিপূর্ণ প্রশান্তি ও স্থিরতার সাথে বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্ত কাটাতে পারবেন। এই বিষয়ে বইয়ে তিনি অনেক বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেসব জটিল ব্যাখ্যায় আমরা যাব না। শুধু এটুকু বলব, নিয়মিত প্রার্থনা ও মেডিটেশন করলে যে কোনও মানুষের জীবনেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর পাওয়ার অব নাও এর দর্শনগুলো বাস্তবায়ন করতে আপনি নিয়মিত এগুলোর চর্চা শুরু করতে পারেন।

পরিশিষ্ট:
প্রাথমিক ভাবে দি পাওয়ার অব নাও বইয়ের ধারণাগুলো অনেকের কাছে অবাস্তব বা অসম্ভব মনে হতে পারে। অনেকের কাছে এগুলো হাস্যকরও বটে। তবে এই বইয়ের বিষয়বস্তুগুলো সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে হলে, এগুলো বাস্তব জীবনে চর্চা করতে হবে – বিভিন্ন ফোরাম ও রিভিউয়ে এটার ওপরেই জোর দেয়া হয়েছে।

সূত্র: নেট সেথে সংগৃহীত ( লড়াকু)
তারিখ: অক্টোবর ০৫, ২০২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ