জাতি আমাদের অতিথিপরায়ণতা, নিজে না খেয়ে অতিথিকে খাওয়াতে সেবা দিতে আমাদের কোন কার্পণ্য নেই। তোমাদেরই বা দোষ কোথায় ! অতিথিকে বুকে টেনে নিতেই হবে; কতদিন না পরে জামা কাপড়, ঈদ উপহার নিয়ে এসেছে প্রিয়জনদের কাছে !
পায়ে হেঁটে, ভ্যান গাড়িতে, নৌকায়, প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে বা যারা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া না করে তোমাদের অতিথি হলেন তাদেরকে বুকে পেয়ে কি না আনন্দ তোমাদের! এইজন্যই তো বাংলা ব্যাকারণে পড়তে হয় “চাঁদের হাট” আনন্দের হাট বসেছে তোমাদের বাড়িতে, করোনা ভাইরাস বলি আর স্বাস্থ্যঝুঁকি বলি এইসবের চেয়েও এই আনন্দ তোমাদের কাছে আজ খুব বড় !
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় না হোক, যাত্রার দীর্ঘ পথে অনেক মানুষের সাথে ঘষাঘষি! মুক্ত বাঙলার বুকে আলাপ চারিতায় তাদের সাথে করোনা ভাইরাসও যে অতিথি হয় নি কিভাবে নিশ্চিত হলে! করোনা ভাইরাসও আজ তোমাদের অতিথি !
প্রাথর্ণা করি তোমাদের এই অতিথিপরায়ণতার জন্যে তোমাদের যেন বিছানায় পড়ে যেতে না হয়! এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঐ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এই হাসপাতাল, ঐ হাসপাতাল করে ঘুরে বেড়াতে না হয় ! ততক্ষণে হয় তো তোমাদের অতিথিরা তোমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে বা তোমদের খাতায় নাম লিখিয়েছে !
জীবনের বড় একটি কি ভুল হয়ে গেল এই সময়ে অতিথিপরায়ণতা দেখাতে গিয়ে ! সমস্যা তো আরও আছে, মানুষ মরণশীল; নানান কারণে মানুষের মৃত্যু হবে এটা নিশ্চিত কিন্তু আত্মীয় পাড়া পড়শী যদি ধরে নেয় করোনার উপসর্গে মৃত্যু তখন দাফন-কাফনের সময়ের চিত্রটা বড় মর্মান্তিক, পড়ে আছে একটি লাশ, দূরে কবর খোঁড়া আছে তার আশে-পাশে দুই-একজন মানুষ ঘোরা-ফেরা করছে নিকট স্বজন, আত্মীয়, পাড়া পড়শী কেউ নেই পাশে।
কোন পরিকল্পনা, কোন পদক্ষেপ ছাড়াই জ্ঞানী শ্রেনী আগাম বলেই শেষ – ঐ ঈদ শেষে আসছে ধেয়ে ১০ নম্বর বিপদ সংকেতে করোনা সাইক্লোন !!!
তারিখঃ মে ২৪, ২০২০
রেটিং করুনঃ ,