কম-বেশি এখন অনেকের জীবন একঘুঁয়েমিতায় ভোগে, আলাপ-চারিতা, দেখাশুনার পরিবর্তে একমুখি এক যন্ত্রে দিকে; তথ্য প্রযুক্তি যা নিয়ে এসেছে ইন্টারনেট, যোগাযোগের বড় মাধ্যম, হোক সেটি কম্পিউটার, মোবাইল সেট!
কর্ম ব্যস্ততা এখন বেড়েছে অনেক বেশি আর যার বাড়ে নাই বরং সে এই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন, তার কথা সমাজ ভাবে না, আর সেই কর্ম ব্যস্ততা একটু রেহাই পেতে যখন প্রয়োজন আলাপ-চারিতা, প্রিয় জনের মুখ দর্শন তখনই হাতে চোখে দখল নিচ্ছে যোগাযোগের বড় মাধ্যম। বিশ্বের কোথায়, ঘরের পাশে কি ঘটতে এমন কি ঘরে বা কর্ম-স্থলে কোন নজর নেই তখন হাতে চোখে দখল নিয়েছে অন্য এক জগৎ।
পরিবর্তন এখন অনেক গ্রামগুলি এখন প্রায় তরুণ-তরুণী শুণ্য কিছু গ্রামে আছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অথবা ফাঁকা বসতি, যাদের সামর্থ আছে তারা সবাই মিলে মিশেছে শহুরে জীবনে আর যারা অনেক দিন ধরে শহুরে তারা পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে।
আলাপ-চারিতা, দেখাশুনার বা পাড়া, গ্রাম ও মহল্লা ঘুরার সময়ই বা কোথায় কে বা অংশ নিবে ! শহরেই হোক আর গ্রামে হোক সকলেই প্রায় ঐ একমুখি এক যন্ত্রে দিকে, ওখানেই সময় কাটানো খুব জরুরী করে দেখছে।
একঘুঁয়েমিতা যে জীবনকে ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত এ দিকটা যারা ভাবতে পারছেন না তারাই হেরে যাচ্ছে জীবন যুদ্ধের প্রতিযোগিতায়। শুদ্ধ ও প্রকৃত জীবনের ধারা একটিই যা টেকসই সাফল্য নিয়ে আসে জীবনের সকল ভালো গুনাবলিকে কাজে লাগিয়ে।
যদিও আমি এই সময়টিতে একমুখি এক যন্ত্রে দিকে, হাতে নিয়ে মাথার চিন্তা সময় ব্যয় করছি এই একমুখি এক যন্ত্রে দিকে কিন্তু অন্তত একটি ভিন্নতা পাই তা হচ্ছে আমি নিজে কিছু কথা লিখে নিজের একঘুঁয়েমিতা এড়ানোর চেষ্টা করছি, একঘুঁয়েমিতার কবল থেকে বেড়িয়ে আসতে পারি তার পথ খুঁজছি।
তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের দ্রুত অনেক কিছু দিচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে কিন্তু সেই জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে গিয়ে মন ও মননে একঘুঁয়েমিতার বসতি গড়ে দেয় তবে তা হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন ধারাকে ধংস্বের দিকে নিয়ে যাওয়া।
একঘুঁয়েমিতার জীবন দূর করতে প্রয়োজন মুখো-মুখি মানুষের সাথে আলাপ চারিতা, মানুষে মানুষে বিশ্বাস অর্জন করা, আলাপ চারিতার সময়কে সার্থক করে তোলা।
তারিখঃ নভেম্বর ০৩, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,