ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান
জোড় জবর-দস্তি, অবৈধ ক্ষমতার ধারা যখন আসন পেতে ফেলল, অবৈধকে বৈধ বলে চালানোর মহড়া তখন অবৈধ দখলদারদের ক্ষেত্র ভূমি মজবুত হতে থাকলো। অবৈধ ক্রমশঃ শক্তিশালি হতে থাকলো সৎ পথের যারা হারিয়ে যেতে থাকলো অথবা আড়ালে, যারা ক্ষমতায় বসা সেই শক্তিমানদের জন্য সবই বৈধ এক জগৎ। যখন অনেকেই বেপড়োয়া সম্পদ দখলে তখন শুরু হলো ক্ষমতাশীন দলে শুদ্ধি অভিযান। অনেক ক্ষমতাবান হোচট খেল, জালের মধ্যে আকটা পড়তে থাকলো। বিপদে আতংকে তারা এখন কার নাম এসে যায় অবৈধ অর্থ সম্পদ অর্জনে।
বিচার সব সময় সঠিক হয় না তাই অনেকেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার কথা। তারপরও শুরু হয়েছে কিছু ধর পাকড়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতারাই মূলত এই ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব।
এরপরই গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্লাবটির সভাপতি খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকেরা মনে করেন, ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট।
গত মাসের মাঝামাঝি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মাদক মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ।
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট,
যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমান।
টেন্ডারবাজি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সেলিম প্রধানকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেপ্টম্বর ৩০ তারিখ দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
তারিখ: অক্টোবর ০৬, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,