অতি কোলাহল যে পথে এক পলকের
যে দেখা হলো, সেই পথটা যদি মরু-ভূমি হতো
আক্ষেপ হতো না কোন।
কোন মানুষ কোন যানবাহন,
এমন কি কোন পতঙ্গ পাখি বিহিন হতো
অপূর্ণতা থাকতো না কোন।
দেখা হতো পলকের পলকের পর শুধু দুজনরই।
যতই সেই পথটা রুক্ষ, শুষ্ক, তপ্ত হতো
একাকি দেখা হতো খানিক দাড়িয়ে
চোখে চোখে কাব্য রচিত হতো
জন্মান্তের কথার পরে কথা বলে বলে-
সুখের এক সবুজ বাগানে।
বলো তো এতো অতি কোলাহল পথে
লক্ষ মানুষের ভীড়ে তোমাকে চিনেছি কী ভাবে!
কোন ঘ্রাণ শক্তির বলে তোমার ঘ্রাণ ধারণে বিঘ্ন ঘটে নি কোন!
গভীর বাসনার ভিতরে যে ভালোলাগার বোধ থাকে
সে কারণে যে অরণ্যেই যাও! সমুদ্র স্রোতে ভেসে বেড়াও
মেঘের দলে আকাশে চিলের সারিতে!
সন্ধ্যা রাতে জোনাকদের দলে
ঠিক আমি চিনে নিবো
যে ভাবে জোস্নানার আলো চিনে নেয়
সবুজ ঘাসের বাগান
আপন খেয়ালে আলো মাখায় ঘাসে ঘাসে।
শিশুর কান্নায় চিনে নেয় তার মা
আদর স্নেহে থামায় কান্না।
অতি কোলাহল পথে
লক্ষ মানুষের ভীড়ে তুমি অচেনা হও কি করে!
আমি চিনেছি লক্ষ মানুষের ভীড়ে
সেই তোমাকে যাকে দেখতে পাই,
অনুভবে পাই আমার লেখার প্রতি অক্ষরে।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ৩০, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,