রব্বানী চৌধুরী-
চিং চাং টাং টুং
আজ রাতেই দেখবেন কেমন গা ছম ঝম ঝম ছম করে একটি চাইনিজ ভূত ঘরের এক কোণে বসে আছে ঘাপটি মেরে !
ধরতে গেলেই কিন্তু দিবে ঘাড় মটকে
ওমনি পড়বে সটকে।
…………………..
বৃতি হক
চিং চাং টাং টুং চাইনিজ ভূতটার
উদ্ভট কান্ড! ভেবেছে কি? ভয়ে যাব সেঁধিয়ে?
দেখে তারে পিলে যাবে চমকে? ঘাপটিটা
মেরেছে সে কার ঘরে,
সে হিসেব আছে তার?
সাহসের বলিহারি! চিং চ্যাং বাবাজান!
মানে মানে এক্ষুনি সরে যান! নিজ ঘাড়, হাত পা
মাথা কান বুক পেট নাক আর
চাইনিজ ব্রেইনটাকে ভাঁজ করে
সযতনে প্যাক করে নিয়ে যান।
রোজ ভোরে সকালের নাশতার আগেতে,
অ্যাপেটাইট বাড়াতে, তিনটে কি চারটে
মামদো’র অমলেট, কবরেজী এ বচনে
অভাজন শুরু করে দিন তার-
পানি দিয়ে সেঁটে দেয় পেটেতে!
চাইনিজ ভূত তোরে স্পাইসের বাহারে
নুনে ঝোলে চুবিয়ে টোস্টারে শুকিয়ে হাফডান,
তেলে ভেজে কচমচ, ঘচঘচ
টমেটোর সসে মেখে হুশহাশ চাইনিজ চিং চ্যাং
খাব নাকি জোশ করে অদ্যের সাপারে?
……………………………..
রব্বানী চৌধুরী-
আহা ভূতটা যদি জানতো এই হবে তার দশা !
সে কি আর থাকতো ঘরের কোণে ঘাপটিতে বসা !
মর্নিং এ দেখি ডাইনিং এ সেই ভূতের আস্ত ডিস
বাহারী পাতা, ব্রেসতা ভাজা, টক দই আর কিসমিস,
ভূতের হাড় গুলা ছিল নরম নরম বেশ কুড়কুড়ে
একটু খানি চিবাতেই আহা মনটা যে কি ফুরফুরে!
তাই দেখে পাশে এসে গিন্নির বসা, অটো পরিবেশনও
এক নিঃশ্বাসে গপা পগ কয়েক পিস খেয়ে নিল সেও।
………………..
বৃতি হক
তাই বলো! ভেবে মরি চাং চুং গেল কই!!!
হাওয়া হয়ে ধাওয়া করে? রকেটে বা পকেটে?
খালে জালে প্লুটোতে? মেঘে, ব্যাগে, গাড়িতে?
ঘাপ্টি মেরেছে নাকি ছাতে, ভাতে, ডোবাতে?
খুঁজে খুঁজে সারা হই!
চাইনিজ ভূতটার সদ্গতি হল তবে! বউয়ে বরে
বেশ বেশ জমপেশ খেয়ে নিলে একহাত দুইহাত
চাইনিজ ডিসে এল কিসমিস, টক দই, বেরেশ্তার টপিং এ
দু’ফ্লেভারের চাং চুং! কুড়মুড়ে হাড়গোড়!
ভাবতেই রসনায় জল ঝরে।
তবে বাপু বলি, কভু যেও নাকো চায়না!
ঘ্রাণে গানে অভিযানে চাং চু’র পরিবার কোনক্রমে
যদি জানে ঠিকানা, ক্যাঁক করে ধরে যদি! পেটে এসে খোঁচা দেয়!
ঘাড়ে চেপে যদি বলে, “যাব না! যাব না!” পারবে কি ছাড়াতে?
সইতে এ অদ্ভুত বায়না!
—————————
রব্বানী চৌধুরী-
ভূতটার যে বংশ টংশ থেকে যেতে পারে চায়নায়
রক্ষা করেছেন জানিয়ে আগাম সতর্ক বার্তায়
গিন্নি যে বড় যম, ছাড়ে না কামড়ে যদি ধরে বায়না
রুম ডেকোরোসনের সব মালামাল চাই মেড ইন চায়না।
যত বলি থাই ভালো, মেড নই জার্মানী এ্যমেরিকা বেষ্ট
বলেন তিনি গেঁয়ো ভূতে খেয়েছে মাথা, গোঁবড়ের নেষ্ট (Nest)
মনে মনে বলি ভূতটা আসলেই বেঁধেছে নেষ্ট কি মাথায়!
ভূতটাকে ডিস বানিয়ে খেয়ে এখন যে পড়ছি মহা ঝামেলায়।
স্লোগানটা বাড়ছে বড়, চাই না গয়না, ওগো ! একটাই বায়না
ঘর হবে, সংসার হবে, ভাবনা সবই হবে মেড ইন চায়না।
তারিখ: অক্টোবর ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,