আজ খুব ভোরে সকালের নরম আলোর সূর্যটাকে দেখেছি,
মনে হয়েছিল বেশ একটু পরেই তোমার আলোকিত মুখটা দেখব।
শরতের আকাশে খন্ড খন্ড সাদা মেঘ দেখলাম নীল আকাশের মাঝে
সেই নীল আকাশে থেকে সাদা মেঘে ভেসে ভেসে আসছো খুব কাছেই
পাশেই দাঁড়াবে খিলখিল হাসি রাশিতে।
দুপুরে সূর্যটা বেশ তাপ দিচ্ছিল কিন্তু ক্লান্তি ধরে নি মনে
তুমি এখনই আসছো বলে।
দেখেছি বকুল ফুল সু-গন্ধি ছড়াতে ছড়াতে ঘাসের উপর সাজিয়ে মালা।
সাজনা গাছে হেয়ালী পাতা খেলা, দীঘিতে নম্র ঢেউ;
সেখানে হাঁসদের খেলা, পালক ছড়িয়ে গোসল!
মেহেদী পাতার দোল, মেহেদী গাছের ফুল, মিষ্টি সু-ঘ্রাণ,
বাঁশ তলায় শীতল বাতাসের ছোঁয়াও পেয়েছি বেশ ! তারপর-
সময় গড়িয়ে গড়িয়ে কখন যে সন্ধ্যা হলো, রাত হলো
পূর্ণিমার চাঁদটাকেও দেখা হলো বেশ!
কিন্তু তোমার আসা হলো না, লক্ষ্য কোটি বিন্দু বিন্দু করে তোমাকে দেখব বলে-
কি যে অপেক্ষার প্রহর কেটেছে আজ!
সেই ভোরের আলো ফুটার সাথে সাথে অপেক্ষা করতে করতে –
তোমাকে এক বিন্দুও দেখা হলো না।
সকালের নরম আলো বলো !
বকুল ফুল সু-গন্ধি ছড়াতে ছড়াতে ঘাসের উপর সাজানো মালা বলো !
দীঘিতে নম্র ঢেউ বলো, পূর্ণিমার চাঁদ বলো !
এ সবের কী মূল্য ! লক্ষ্য কোটি বিন্দু বিন্দু করে ওদের দেখাতেও !
হাজার অপেক্ষার পরে তোমাকে এক বিন্দু দেখা না পাওয়াতে আজ-
বিশাল বিভিষিকা মনে, তীব্র আতঙ্কে ছম ছম ভীতি !
কেন আসলে না তুমি ! ভালো আছো তো নিশ্চয় !
নিশ্চিত হয়ে কি ঘুমাতে যাবো এখন তোমাকে চোখে নিয়ে ! হৃদয়ে নিয়ে !
কল্পনার রাজ্যে উড়তে উড়তে তোমাকে দেখতে পাবো বেশ।
তারিখ: আগষ্ট ২৮, ২০১৮ (শ)
রেটিং করুনঃ ,