উল্টা বুঝিল বলে একটি কথা আছে, এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে উল্টা চলিল। তবে কারা উল্টা চলে বা চলিল! এই বিষয়ে আমার গবেষণা করার কোন প্রয়োজন এবং সময়ও নেই।
আমি পথিক, পথই আমার মূল বিষয়, পথ আছে বলেই আমি পথিক, আগে পথিক না পথ ! এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব কঠিন, কেনানা এটাই আমার গবেষণার বিষয় এখানেই লুকিয়ে আমার জীবন দর্শণ। আমার অস্তিত্ব ও আধিপত্য।
পথ আমার জীবন দর্শণ যেদিন প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানে পড়লাম ”
এ পথ গেছে কোনখানে গো কোনখানে – –
তা কে জানে তা কে জানে। ।
কোন পাহাড়ের পারে, কোন সাগরের ধারে
কোন দুরাশার. দিক-পানে – –
তা কে জানে তা কে জানে । ।
এপথ দিয়ে কে আসে যায় কোনখানে
তা কে জানে তা কে জানে।
কেমন যে তার বাণী, কেমন হাসিখানি,
যায় সে কাহার সন্ধানে – –
তা কে জানে তা কে জানে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সেদিনেই আমার চেতনায় ভর করলো যে, সত্যই যদি রবীন্দ্রনাথ না জেনে থাকেন পথ কোথায় গেছে তবে আমি তা বের করার চেষ্টা করব আর তখন থেকেই আমার পথিক রূপ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানে লিখলেন এপথ দিয়ে কে আসে যায় ! হয় তো তাঁর জানা ছিল না, তাই তিনি ষ্পষ্ট করে বলে যেতে পারেন নি।
কিন্তু যদি আজ একজন শিশুকেও প্রশ্ন করা হয় এপথ দিয়ে কে উল্টা আসে যায় ! শিশুগন হর হর করে বলে দিতে পারবেন!
পথিক আমি পথ নিয়ে নানা ভাবনা আমার, পথে চলা নিয়ে ভাবনাই আমার কাজ তাই মাঝে মাঝে ভাবি যারা জীবনের প্রথম ভাগে সোজা পথে চলে সোজা পথে শিক্ষা নিয়ে আজ কেন উল্টা পথের যাত্রী হলেন।
উল্টা পথে চলে দ্রুত কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, তড়িৎ উপরে উঠা যায় বটে আবার ধপ করে নিচে পড়তেও সময় লাগে না। তবে এও জানি পথিকের এ বচন চির কালই রবে মাটিতে পড়ে, উল্টা পথের যাত্রীরা এখন অনেক চলে দলে দলে, বাহু বলে আর চলেও কৌশলে! কৌশলবাজদের এখন জয় জয়াকার। তবে পথিক চলে যাবে সঠিক পথ ধরে ঠিক সেই খানে।
তারিখ: জানুয়ারী ১৫, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,