এক দল উচ্চ শিক্ষিত অথচ এখনও বেকার,
কয়েক জন্য তরুণ কবিদের কাছে আসলেন
বললেন মান্যবর কবিগন –
আমরা বিদেশে কবিতা রপ্তানী করতে চাই
বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনতে চাই
পোষাক রপ্তানীতে যেমন শীর্ষে,
একদিন তো কেউ ভাবে নি পোষাক রপ্তানী নিয়ে !
কম্পিউটার বিষয় ছাড়া, মানব সম্পদ এমন কি
ইলিশ মাছ সহ অন্য মাছ, আলু, পান সুপাড়ী তো আছেই
বিদেশে রপ্তানী করছি আমরা, আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।
কয়েক জন কবি এদিক-সেদিক তাকিয়ে মুচকি হাসলো
একজন বয়োজোষ্ঠ্য কবি তরুণদের কথা শুনে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন।
বেকার তরুণরা ক্ষমার ভংগিতে বললেন
মান্যবর কবি বৃন্দ আমরা আপনাদের কাঁদাতে আসি নি।
বৈদেশিক মুদ্রা আর জীবিকা অর্জনের পথ বের করতে এসেছি
বাঁচার প্রয়োজনে –
আপনারা কবি সবার কষ্ট অনুভব করেন জানি,
সমাজ আপনাদের সন্মান করেন, অভিজ্ঞ বলেন।
যিনি ছিলেন বয়োজোষ্ঠ্য কবি, বললেন- শুন হে বৎস্য সকল-
আমরা কি সেক্সপ্রিয়ের, হোমার, শেলী বা জন কিটস এর কবিতা
আমদানী করে আনি নি !!
চোখ খুলে দিলে আজ বৎস সকল আমার।
সত্যি তো আমার একটি কবিতা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের কোন দেশে-
এমন কি পাশে পশ্চিম বঙ্গেও তো রপ্তানী হলো না !
ওরা আমার নামও তো জানলো না।
প্রিয় আমার বৎস সকল শুন-
পুরাতনের বৃত্তে বন্দীদশায় আমরা সত্যি কি অচল !
পথ নিশ্চয় আছে খোলা
বের কর তবে তোমাদের নিত্য নব মেধায়-
কবিতা রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবেই।
একজন তরুণ বলল ফেসবুকে, ব্লগে বা অন্য যোগাযোগ মাধ্যমেও
কবিতা আমদানি রপ্তানী হয় বটে,
তবে-
“ভালো হয়েছে” বলার আর “লাইক” দেওয়ার পাঠক আছে সেখানে
আসল পাঠক আছে এখনও বইয়ের পাতায়।
আপনার ছবি স্বাক্ষর সহ কবিতার বই তবে
করি আয়োজন –
রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
তারিখঃ ২৮ নভেম্বর ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,