অনেকে ভাবেন যে, যিনি সাহিত্য চর্চা করেন, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখেন তিনি কিছুটা অলস ধরণের, কথটা বলার একটি কারণ আছে হাতে সময় না থাকলে লেখা হয় কেমন করে ! সেই সাথে লেখার জন্য চাই প্রচুর পড়ার। আগের থেকে এখন অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে, এখন এক সাথে মানুষ অনেকগুলি কাজ করে থাকে- কর্ম স্থলে কাজ করার সময় সাথে টিভি দেখা, কখনও খবরের কাগজে চোখ বুলানো, চা বিস্কুট খাওয়া, দরকারী কাগজে স্বাক্ষরও করেন।
তেমনি ভাবে যিনি লিখেন তিনিও নানান কর্মে ব্যস্ত থেকে লিখে থাকেন, আবার লেখার ফাঁকে ফাঁকে নানান বইও পড়েন। লেখি-লেখা বা যারা সাহিত্য চর্চা করনে এর সাথে “অলস” শব্দটি যোগ হয়েছে এর একটি কারণ হতে পারে লেখি-লেখা বা সাহিত্য চর্চা তেমন আয় বা অর্থ উপার্জন হয় না, এ কারণে অনেকে সাহিত্য চর্চাকে অলসতার সাথে যুক্ত করে আরও একটি মহা শব্দ যুক্ত করে দেয় তা হল দারিদ্রতা, অভাব; তবে তা অর্থের। উন্নত মন ও মননের জন্য নয়। সাহিত্য চর্চার সাথে অর্থের নিবিড় সম্পর্ক নেই বলেই সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে উন্নত মন ও মননেরই বিকাশ ঘটে।
উন্নত সাহিত্যের জন্ম দিতে গিয়ে যদি অলসতা, দারিদ্র্যতা, অভাব ভর করে, সমাজকে উন্নত স্তরে উপনিত করতে শুদ্ধ ধারায় সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাওয়া উচিত, অন্ততঃ আমাদের ভাবনাগুলি নানান ভাবে লিখে যাওয়া বাংলায় সাহিত্য চর্চার পথকে প্রসারিত করা যা পরের প্রজন্মকে সঠিক পথে পথ চালাতে সাহায্য করবে।
আসলে মনে শরীরে যখন অলসতা ভর করে বরং তখন মাথায় লেখার ভাবনা আসে না, অলসতা দূরে সরে গেলে, মনে কর্ম চাঞ্চলতা আসলে কলমে লেখা আসে তখন লিখি, নানান লেখা। এটা বেশ ষ্পষ্ট যে লেখা-লেখির সাথে অলসতার কোন যোগাযোগ নেই বরং লেখা-লেখি বড় পরিশ্রমের আর এ পরিশ্রমের বিনিময়ে কোন সহজ প্রাপ্তিও নেই।
লেখার তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,