আমাদের হুমায়ূন আহামেদ, আমাদের শ্রাবণ মেঘের দিনের হুমায়ূন আহামেদ ঠিক এমনই এক ঝর ঝর শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরা দিনে চলে গেছেন চির তরে আর আমাদেরকে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন লেখায় যে যাদু আছে তা ষ্পষ্ট করে। নতুন প্রজন্মকে করেছিলেন বই মুখি, রেখেছিলেন বইয়ের পাতায় বন্দি করে ।
বাংলাদেশের কথার জাদুকর কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে কার না মনে পড়ে ! কার না স্মরণে আসে ! আমাদের জীবন দশায় কখনো কখনো মৃত্যু শোক আমাদেরকে হঠাৎ গ্রাস করে ফেলে। জন্মতে যে আমরা আনন্দের বার্তা পাই আর আর মৃত্যুতে যে শোক, এই গতি বা ধারাবাহিকতায় আমাদের জীবনের ফলাফল।
প্রসিদ্ধ ইরানী কবি, গণিতজ্ঞ বৈজ্ঞনিক, জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম লিখেছিলেন ফার্সী ভাষায় তাঁর বিখ্যাত রোবাইয়াৎ- এ।
” চুন দর গুযারাম বেহ বাদেহ শোইয়িদ মারা
তলকিন য্ শরাবে নাব গোইয়িদ মারা,
খা হিদ বেহ্ রোজ হাশর ইয়াবিত মারা
আয্ খাকে দরে মীকদেহ জুইয়িদ মারা ”
নূরুন নাহার বাংলায় অনুবাদ করে লিখেছেন-
” যখন আমার মৃত্যু হবে আমাকে গোছল করে দিও আংগুর রস বা ভালোবাসা দিয়ে, আমার অনুরোধ রইল সে ভালোবাসা হবে বিশুদ্ধু, অন্তর থেকে আসা। রোজ হাশরের দিনে কেউ আমাকে (ওমর খৈয়াম) খুঁজে পেতে চাইলে, খোঁজ করো আমাকে যেখানে যে মাটিতে আমাকে কবর দেওয়া হয়েছে”
ওমর খৈয়ামের বিখ্যাত রোবাইয়াৎ- এর মত আমাদের প্রিয় উপন্যাসিকের প্রতিও আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ, আমাদের বিশুদ্ধ ও পবিত্র মন থেকে আর রোজ হাশরের দিনে কেউ আমরা হুমায়ূন আহমেদে খুঁজে পেতে চাইলে, আমাদের খোঁজ করতে হবে যে মাটিতে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, সেই প্রিয় তাঁর নুহাশ পল্লীতে যেখানে তিনি শুয়ে আছেন চিরতরে।
আজ সেই আমাদের প্রিয় উপন্যাসিকের, কথার জাদুকর কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিনে আমাদের লক্ষ কোটি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
লেখার তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬,
রেটিং করুনঃ ,