রাজকুমার ও রাজ কুমারী। তীর ছুঁড়তেন রাজ প্রাসাদের উঁচা দেওয়ালে, কিছুটা নরম একটা কাঠের আকার দেওয়া বস্তুতে। তীর ছুঁড়া রাজ কর্ম, রাজ বিদ্যা। তীর চালনা রাজ্য চালোনারই একটা অংশ। নিদৃষ্ট বিন্দুতে পৌঁছানোই লক্ষ্য। খট থট শব্দে তীর ছোঁড়ায় বেশ পারদর্শী রাজ প্রাসাদের বাসিন্দারা। তীর গুলি গেঁথে যেত ঠিক লক্ষ্য বিন্দুতে। তীর ছোঁড়া হত নিয়মিত। সবই ঠিক ঠাক মত চলছিল, ব্যাতিক্রম হলো একদিন, বিপত্তি। তারপর বিপত্তি প্রতিদিন।
প্রজারা একদিন কৌশলে নরম কাঠের আকার দেওয়া বস্তুটা বদলে দিয়ে একটা ইস্পাতের মত শক্ত বস্তু স্থাপন করে দিলেন। রাজকুমার ও রাজ কুমারী তীর মারতেই নিদৃষ্ট বিন্দুতে না গেঁথে, ইস্পাতের মত শক্ত জায়গায় তীর না ঘেঁথে তীর গুলি নিউটনের গতি সূত্রের মত বিপরিত গতিতে তাঁদের মাথায়, মুখে, পেটে বুকে তীর গাঁথে যেতে লাগল। এর পরের কথা গুলি থাক।
আমাদের দেশে এখন যারা রাজনীতি পরিবার ভুক্ত তাঁদেরকে তীর ছুঁড়তে হয় রাজনীতির কৌশল হিসাবে। তীর নিদৃষ্ট বিন্দুতে গেঁথে যেত, গেঁথে যায়।
তীর মারার জায়গায় আমরা ইস্পাত দিয়ে মুড়িয়ে দিতে চাই। কথা বলতে চাই, উট পাখির জীবন বর্জন করে প্রতিবাদ করতে চাই। অযথাই কেন তীর ছোড়াছুড়ি !! কিসের সখে তীর ছোঁড়া !! । কেন এই তীর ছোঁড়া এ সব জানতে চেয়ে তেলেপোকার জীবন বর্জন করতে চাই।
তারিখ: এপ্রিল ১৬, ২০১২
রেটিং করুনঃ ,