সাধারনতঃ জানা তিন ধরণের। সাধারণ ভাবে জানা। বিশেষ ভাবে জানা। উৎপত্তি স্থলীয় ভাবে জানা।
রঙের কথা ধরা যাক।
লাল রঙ, সবুজ রঙ বা নানান রঙ নিয়ে কথা বলা, জানা এগুলি সাধারণ ভাবে জানা। সাধারণ ভাবে জানার উপর অনেকের দখল বেশি।
যারা লাল রঙের সাথে সবুজ রঙ মিলিয়ে হলুদ রঙ তৈরি করেন,
সবুজ রঙের সাথে নীল রঙ মিলিয়ে কলা পাতার মত সবুজ রঙ তৈরি করেন।
লাল রঙের সাথে হলুদ রঙ মিলিয়ে কমলা রঙ তৈরি করেন। এগুলি বিশেষ ভাবে জানা। বিশেষ ভাবে জানা মানুষের সংখ্যা কম।
বিজ্ঞানাগার থেকে যা জানা অথবা আইনস্টাইন বা রবীন্দ্রনাথের মাথার মত মাথা থেকে যে জানা তা উৎপত্তি স্থলীয় ভাবে জানা। এই ধরনের জানা মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। রঙের বিষয়ে এখান থেকে সূত্র আসে ” আসলে রঙ বলে পৃথিবীতে কিছু নেই।” অথবা ” সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।”
সাধারণ ভাবে জানার উপর অনেকের দখল বেশি থাকায় নিজেরও বেশ দখল ছিল এক সময়।
একবার মনে হয়েছিল গাছ বিষয়ে আমার যে জ্ঞান এ জ্ঞানের আকার হিমালয় সম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল হঠাৎ মনে হল অর্জুন গাছ নিয়ে কিছুই জানা হয় নি। শুধু এক অর্জুন গাছ নিয়ে যতই জানতে থাকলাম ততই জ্ঞানের আকার হিমালয় সম থেকে ছোট্ট একটি পাহাড় সম হতে থাকলো। টিলা সম। মাটি ঢিবি সম। এক মুঠো মাটি সম। অবশেষে বালু কণা সম।
আমাদের যতটুকু জ্ঞান তা সঠিক ভাবে ব্যবহারিত হোক। প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য সঠিক সময় ব্যয়িত হোক।
তারিখ: মে ০৭, ১২
রেটিং করুনঃ ,