কবিতার অর্থ
পুত্র শুধাইলো, ” পিতা ”
পিতা শুধাইলো কি জানতে চাও !
পুত্র বলে, শুনেয়াছি-
তোমাদের কালে কঠিন কবিতা রচিত কবিগন
যেমন,
“সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ ? –শূলী-শম্ভূনিভ
কুম্ভকর্ণ ? ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী ? ”
তোমরা বুঝিয়া কি না বুঝিয়া
হুমড়ি খাইয়া তাহা পড়িতে, জপিতে !
এখনকার কবিরা আরো তো দূর্বোধ্য লিখে
তবে তোমার হাতে কবিতার বই দেখি না কেন !
তোমার কাছে তাহা কী এতই সহজ ঠেঁকে !!
পানির মত কিম্বা বাতাসের মত অতি স্বচ্ছ !
পিতা বলে গহীন অরণ্যের মত হলেও
অরণের ভিতর দিয়ে চলিয়া যেতাম, সর্প, বাঘ্র কী এমন ভয়ংকর !
কবির কবিতা যদি ভুল অর্থে পড়ি বা বুঝি তাই !
ক্ষাণিক থামিয়া পিতা বলে, ধর জনণীর পেটে
যে আগমনী সন্তানের কথোকপোথন
তা জননীই শুধু বুঝে।
আমি পিতা তা কি বুঝি !
তাই তো সাদা কাগজে কবিতার অক্ষর শব্দ সবই সাদা দেখি,
আবার কালো কাগজে কবিতার অক্ষর শব্দ সবই কালো দেখি।
তোমাদের কবিতা বুঝিতে তোমাকে হতে হবে গর্ভবতী মাতা !
তবেই হবে তোমার কবিতা বুঝা।
কবিতা বুঝিতে তোমারও হচ্ছে হলে-
তুমিও গর্ভবতী মাতা হইয়া যাইও !!
রেটিং করুনঃ ,