আমাদের ভালোবাসার মানুষ অনেক গুলি, ভালোবাসা অনেক ধরণের এবং সবগুলির ভিন্ন ও স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্টে আলোকিত।
অনেক ধরণের ভালোবাসা। মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা। স্বামী-স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা। বোনের প্রতি ভাইয়ের, বন্ধু প্রতি বান্ধবির এমনি অনেক। এই সব ভালোবাসায় জরিত মানুষের সংখ্যা কখনো কখনো সর্ব নিম্ন দুই বা ততধিক। কিন্তু বিশাল জন গোষ্টি নয়্।
নেতার প্রতি ভালোবাসা। প্রিয় নেতার প্রতি ভালোবাসা জানাতে গিয়ে কত ভক্ত দিয়েছে নিজের প্রাণ। নেতা হয়েছেন আলোচিত। বিতর্কিত। তবুও দিয়েছে নিজের প্রাণ।
প্রিয় কবির প্রতি, লেখকের প্রতি, প্রিয় শিল্পীর প্রতি আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা কে না দিয়েছে !!! তাইতো প্রিয় কবি, লেখক, শিল্পী ভক্তের কাছে ধন-দৌলতকে তুচ্ছ করে থাকতে চেয়েছেন ভক্তের মনে শতকের পর শতক। এবং ভক্তের মনে বেঁচেও আছেন। অনন্ত কাল ধরে।
ভালোবাসায় জরিত মানুষের সংখ্যা দুই থেকে এক সংখ্যায় রুপান্তিরিত হওয়া, দুই জগত থেকে একটি জগতে চলে আসা। একটি ভুবন। চাওয়া ও পাওয়ার এটি লক্ষ্য।
দুই সংখ্যা থেকে এক সংখ্যায় রুপান্তিরিত হওয়া। এটিতে। । অভিন্ন। শুধু প্রেমিক ও প্রমিকার বেলায় ঘাটে। প্রেমিক ও প্রমিকা দুটি সংখ্যা, যখন তারা প্রেমে পড়ে তখন তারা এক এবং অভিন্ন। এখানে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি বা সত্তা নেই। এক লক্ষ্য আর তখনই উচ্চারিত হয় রবি ঠাকুরের বিখ্যাত গানে –
” উড়াব ঊর্ধ্বে প্রেমের নিশান দুর্গমপথমাঝে
দুর্দম বেগে দুঃসহতম কাজে।
রুক্ষ দিনের দুঃখ পাই তো পাব–
চাই না শান্তি, সান্ত্বনা নাহি চাব।
পাড়ি দিতে নদী হাল ভাঙে যদি, ছিন্ন পালের কাছি,
মৃত্যুর মুখে দাঁড়ায়ে জানিব তুমি আছ আমি আছি।” – রবি ঠাকুর।
আবার ভালোবাসার মধ্যেও ভাঙ্গণও দেখায় প্রায় বিশেষ করে ইদানিং। মায়ের সাথে সন্তানের, স্ত্রীর সাথে স্বামীর প্রেমিকের সাথে প্রেমিকার এমনি অনেক প্রিয় সম্পর্কের মধ্যেও।
প্রিয় শিক্ষক একদিন খুব গর্ব করে বলেছিলেন শুধু এ পৃথিবীতে শিক্ষক আর ছাত্রের মধ্যকার যে সম্পর্ক, যে তার মধ্যে কখনো ভাঙ্গণ ধরে না।
পৃথিবীতে এই একটি সম্পর্ক যা জ্ঞান-বিদ্যা উপর ভর করে গড়ে উঠা তাই এখানে কোন ভাঙ্গণ ধরার ভিত্তি নেই সাথে নেই কোন স্বার্থ।
তারিখ জুলাই ০৯, ২০১৩
রেটিং করুনঃ ,