সক্রেটিস লিখেছেন “নিজেকে জানো” এখন দেখি এই কথাটির বড় চর্চা চলে তবে একটু অন্য ভাবে – নিজেকে ভেবে ভেবে, নিজেকে জেনে জেনে – নানান ভঙ্গিমায় অন্যের কাছে নিজেকে বেশি বেশি প্রকাশ করা, নিজে প্রকাশ করার, নিজেকে তুলে ধরার। কারণও আছে, দিনে দিনে মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়া, নিজেকে নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত যে অন্যকে জানার সময় কই !
নিজের কাছে মনে হচ্ছে আমি একজন প্রতিভাবান বা প্রতিভাময়ি কিন্তু নিজে যদি নিজেকে তুলে না ধরি তা হলে অন্য আমাকে জানবে কী করে ! কি আমার সখ! কোথায় বাস! কি সাজ-সজ্জা! কী আমার দিন লিপি!! এ সব ভেবেই হয়তর রবি ঠাকুরও তাঁর “গীতাঞ্জলি” তে লিখেছেন-
“বল আমায় বল কথা
গায়ে আমার পরশ কর ।
দক্ষিণ হাত বাড়িয়ে দিয়ে
আমায় তুমি তুলে ধর । ”
কিন্তু কে কাকে তুলে ধরবে মানুষের কাছে! সমাজ মাঝে ! বিশ্ব মাঝে!! নিজেকে তুলে ধরা এ যে নিজেরই কাজ, কার কাজ কে দিবে ! আছে কি এখন ভৃত্য, বেতন ভূক্ত লোকজন আছে! কিম্বা আছে কি ভক্ত কূল। যদি না থাকে তবে নিজেকে তুলে ধরা নিজের দায়িত্ব, এই দায়িত্ব বোধ থেকে যে দূরে থাকবে এগিয়ে যাওয়ার জগতে সে ক্রমশঃ পিছয়ে পড়বে।
জীবনের অর্থকে আরও অর্থবহ করতে রবি ঠাকুর লিখেছেন তাঁর বিখ্যাত গানে-
” এ জীবন
পুণ্য করো
দহন-দানে।
আমার এই
দেহখানি
তুলে ধরো,”
তবে সঠিক পন্থায় নিজেকে তুলে ধরি, যে তুলে ধরা হবে দীর্ঘকালের, সহজে মিলিয়ে যাবে না কালের গর্ভে।
জানুয়ারী ১১, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,