লিখতে চাইলে লেখা হয় না, যেমন একটি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ; অথচ আমরা অনেকেই লিখি কেউ ভালো মানের আবার কেউ মনে যা আসে, এখন অনেক কিছুই হাতের মুঠোয় প্রযুক্তির কল্যানে, সেই পক্ষাপটে লেখা-লেখিটা দ্রুত হাতের মুঠোয় চলে আসুক, লেখা লেখির দ্রুত ফলাফল চলে আসুক, নিজে একজন দ্রুত লেখক হিসাবে পরিচিতি লাভ করি – এমন ধারণা পোষণ খুব অ-মূলক বলে মনে হয় না।
লেখা-লেখিটা আজও একটি প্রাচীন ধারায় চলে আসছে যদিও নানান প্রযুক্তির সংযোজন ঘটেছে তবে লেখা-লেখির মূল কথাটির মধ্যে এখনও কোন পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয় না, খুব সংক্ষেপে বলা যায় লেখা মানুষকে সঠিক পথ দেখানো, মানুষের অবিকশিত গুণাবলির বিকাশ ঘটানো। নতুন চিন্তার ধারার দুয়ার খুলে দেওয়া।
কোন লেখা যদি পাঠক টানে তবেই সেটা লেখা, সব লেখা যে পাঠক টানে না – এটা খুব সত্য কথা, অর্থাৎ লেখার একটি মান নির্ধারণ হয়েই আছে বহু কাল আগে থেকেই যা বিবেচনা করেই একটি লেখাকে পাঠকগন ঘিরে ধরে তার মধ্যে ডুবে থাকতে চায়, ভাবনার খোরাক খুঁজে বেড়ান। তাই হয় তো সব লেখা পাঠকের দৃষ্টিতে আসে না বা পাঠকের প্রিয় হয়ে উঠে না আর তখনই হতাশ হয়ে অনেকই বলে ফেলি লেখার আজকাল পাঠক কোথায় ! লিখে কী বা অর্জন !!
যারা নিজ লেখার পাঠক খুঁজেন, লেখার বিনিময়ে সাক্ষাৎ অর্জন খুঁজেন অপ্রিয় হলেও সত্য যে তাদের জন্য লেখা নয়, তারা নিজ প্রতিভাকে বাতাসে মিলিয়ে দেন অবশেষে হারিয়েও যান। কর্ম ব্যস্তাতার মাঝে কোন অর্জন না খুঁজে যিনি লিখে গিয়েছেন ক্রমাগত ভাবে তিনিই একদিন আবিষ্কার করেছেন মানুষ কেন লিখে !
রেটিং করুনঃ ,