জগতের সমস্তু সুখগুলির একটি তালিকা
তৈরী করে নিলাম
এক এক করে সব সুখের ধরণ
নিজের তৈরী করা লৌহ সিন্ধুকে ভরে
আটকিয়ে রাখলাম, সহসা যাতে
বেড়িয়ে আসতে না পারে, আমার মনের আকাশে।।
নিজে বন্দীত্ব নিলাম আপাতত এক যুগের বন্দী বাস।
শূণ্য বন্দীশালা ঘর, পাকা দালানের খুব উপরে ছোট্ট দুটি জানালা
দিন না রাত নির্ধারণের নির্নায়কও বলা যায়, একটু বাতাসও
হয় তো অক্সিজেনের চলাচল থাকে
মাথার অনেক উপরে একটি বৈদ্যুতিক পাখা, হালক আলোর টিমটিমে বাতি
শুয়ে থাকার একটি ব্যবস্থাও আছে বলা যায়।
একটি টেবিল নয়, ধরে নিয়েছি ওটা টেবিলের মত
একটি বসার টুলের মত বানিয়ে নিয়েছি, খাতা আছে কলমও।
একটি কবিতা লিখতে বন্দীদশা বরণ।।
সুখের পরশ থাকলে কবিতা লেখা যায় না, পাশে
প্রিয় সন্তান বা প্রেমিকাও থাকলেও।
সুখের পরশ নিয়ে একা একা সবুজ বাগানে, ঝর্ণা তলায় যে কবিতা লেখা
সে সবই হারিয়ে যাওয়ার লেখা বা কবিতার লাইন। প্রাচীন কালের স্থপতি হবে না সে, হতে পারে
হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার মত কটা লাইন বড় জোড়।।
তবে কি আশ্চার্য ! কবিতা পাঠের সময় প্রিয়জনরা বা একান্ত প্রেমিকা না থাকলে
কবিতার লাইন উচ্চারণ করা অর্থহীন।।
যেন মরুভূমিতে কবিতা আবৃতি, শুষ্ক বালুর সাথে, কন্টকের সাথে কবিতা আবৃতি।।
সুখের সাথে কবিতা কেন যায় না, কেন এক ডালে কবিতা ও দুখের বাস !
কেন কবিতা জন্ম নেয় নির্জন বন্দী দশা থেকে
কবিতা সেতো শ্রমিকের ঘামে বেড়িয়ে আসা একটি খনির হিরক খন্ড !
অথচ দামি সোপিং মলের হিরক খন্ডে কবিতা নেই !
( ০৪/০১ / ১৮)
রেটিং করুনঃ ,