প্রশান্তের কখনও প্রেমে পড়া হয় নি-
নিজেকে একদিন প্রশ্ন করল !
তরুণ- তরুণী কিম্বা যুবক-যুবতী ছাড়া কি –
এই ধরায় আর কি কোন প্রেমের ঠাঁই নেই !!
মানবতার প্রেম, প্রকৃতির প্রেম এইসব !
প্রশান্তের বই পড়ার প্রেমে পড়েছিল,
কবিতার বই – যে বই গুলিতে প্রেমের কথা বেশি লেখা।
টুকটাক এক দুই লাইন লেখা শুরু হলো,
প্রশান্ত ওগুলিকে কবিতা বলে না,
লিখে আর ছিঁড়ে, লিখে আর ছিঁড়ে
কবি জয় গোস্বামীর মত করে লিখতে চায় সে-
“বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাব
বেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাব”
প্রশান্তের চলার ধরণ, কথার ধরণে
কলেজের ছেলে-মেয়েরা বুঝেছে
ইদানিং সে কবিতা লিখে
তবে লিখে আর ছিঁড়ে এমনটি চোখে পড়ে নি কারো।
শুধু চোখে পড়েছিল সবিতার।
কাগজে ছেঁড়া লেখাগুলি, জোড়া লাগিয়ে
সবিতা পড়ল- পূর্ণিমার আকাশে যেমন দুটি চাঁদ উঠবে না,
কালো পাথরে শাহ-জাহান যেমন
আরও একটি কালো তাজমহল গড়তে পারে নি,
তেমনি তুমি পূর্ণিমার আকাশে শুধুই একটি চাঁদ।
তুমি তেমনি আমার হৃদয়ে একটি সাদা তাজমহল।
কলেজের গেটে ছোট্ট বট গাছটার তলায়
যেখানে প্রশান্ত মাঝে মাঝে কবিতা লিখত আর লেখা ছিঁড়ত
সবিতা সেখানে দাড়িয়ে ছিল সকাল থেকে।
প্রশান্ত যেই কবিতা ছিঁড়ে কাগজে হাত দিয়েছে
অমনি সেখানে নরম এক হাতের ছোঁয়া, সবিতার হাতের ছোঁয়া।
প্রশান্ত আজ প্রথম শুনল-
শুনো কবি, আজ থেকে তোমার শুরু হলো কবিতা লেখা।
রেটিং করুনঃ ,