বন্ধুদের খবরা-খবর।
বন্ধু তুই কেমন আছিস !
মাঝে মাঝে তোর ছবি দেখতে পাই ফেসবুকে –
তোর বরের সাথে, পার্কে, সোপিং এ, কিম্বা সমুদ্র পাড়ে।
জাগরণী আর বিয়ে করেনি,
স্কুলে ছাত্রী পড়ায় –
শাড়ীতে বেশ মানায় তাকে।
জালালের কথা তোর মনে আছে !
তোকে প্রায় বাদাম খাওয়াত,
গত বছর মারা গেল, বউ আর এক কণ্যা রেখে।
আমার অফিসে কাজ করত রফিক,
একদিন তোকে গান শুনিয়েছিল ভাষা দিবসে।
হঠাৎ কিডনি ডেমেজে সেও মারা গেল।
জাহিদ, তোর পিছনে পিছনে ঘুরত শুধু, কি যে বিরুক্তিকর !
এখন সে সব চেয়ে দামী গাড়িতে ঘুরে, সাথে বর্ডি গার্ড,
কলেজ ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় সে অনেক ভালো করেছিল।
এখন লন্ডনে থাকে হান্নান, তোকে চিঠি দিয়েছিল একটা বা দুইটা,
আমরা ভাবতাম সে হোটেলে কুকের কাজ করে
আসলে সেই হোটেলে সে বিরাট এক একাউন্টটেন্ট।
শামীম, আকমল, নকিব, সোহেল,
ওরা সবাই ফ্লাট কিনেছে, গাড়িও আছে-
কারও সাথে তেমন যোগাযোগ নেই আর।
ও..হো…, তোর ওসমানের কথা মনে আছে ! তোর দিকে তাকিয়ে থাকত সারাটা ক্ষণ।
এখন নিজের অফিস, তবে বলে না কিসের সে অফিস !!
কথা হলেই বলে অফিসের মালিক সে, অঢেল কর্মকর্তা রেখেছে।
শুভ্রা, বর্নালী, নওসিন, রাবেয়া;
ওদের বিয়ের পর আর খবর পাই নি,
হয়তো গৃহবধু – বর – সন্তান নিয়ে সুখে আছে সকলে বেশ।
নিজামের কথা মনে আছে !
অনেক লম্বা, আর ছিল ঝাঁকরা মাথার চুল,
জানা মতে সেই শুধু বর সাজে নি আর।
সাজিয়ার কথা মনে আছে তোর !
আমরা ছেলে বন্ধুরা সাজিয়ার বাসার সামনে এসে –
এক সাথে চিৎকার করে উঠতাম- এসেছি আমরা এক দল পাগল সাজিয়া।
সবার খবর জানার পরে,
হয় তো জানতে চাইবি রূপার খবর কী !
সেও তো তোর মত ওর বরের হাতে হাত রেখে কাব্য গড়ে নিত্য।
একটা কথা জিজ্ঞাসা করি আজ তোকে –
কখনও আমার চোখে তুই কি কোন
আমানত রেখেছিলি !!
রেটিং করুনঃ ,