প্রথমে একদিনের ভ্রমণে ট্রেনে দেখা,
তারপর আর একদিন ঢাকা নিউ-মার্কেটে,
আবার হোম ইকনোমিক্স ভার্সিটি কলেজের সামনে,
এর পর প্রায় প্রায় দেখা হয়।
তবে সব সময় দেখি তাকে –
নির্জনে, শান্ত মনে, আবেগে ঘেরা সময়ে,
যেন আমি নিজে বন্দীশালার প্রাচীরে বন্দী
শুধই দেখি তাকে,
তাকে দেখাই যেন নিত্য কর্ম।
সব খানে দেখি-
মুক্ত আকাশে, বাগানের ফুলে, মেঘের পালে,
আলো যখন পানিতে খেলা করে
ঢেউ এর নাচনে, পাতার কাঁপনে,
বৃষ্টির ফোটায়
শিশিরের বিন্দুতে
কখনও পরিচিত মিষ্টি মুখে।
কোথায় দেখি না তাকে !
প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে !!
একদিন বললাম তাকে –
নাম দিয়েছি তোমার
“চির দিনের দেখা”
হেসে বলল এটা কি কোন নাম হলো !
কত নাম এ পৃথিবীর পরে !
যেমন ধর, তোমার নাম দিলাম “আলো”।
খুব স্বচ্ছ আমি।
কোথাও নেই কোন ধোঁয়াশা, কিম্বা কুয়াশা।
আমিও তোমায় দেখতে পাব চির দিনের দেখায়-
যে দিন তুমি সত্যিকারের আলো হবে
যেমন ধর, বাতি ঘরের আলো, জোস্নার আলো
বাগানে জোনাকীর আলো,
নিবিড় ঘন ঘরে মোমবাতির আলো, কিম্বা
মনের আলো, জ্ঞানের আলো।
কত দিন চলে গেল যেন বাতাসের বেগে-
কত যুগ যেন,
বলতো – চির দিনের দেখা !
আমি কি কখনও তোমার আলো হতে পেরেছি !
তবে ভুবন বলো, আকাশ বলো
সীমা বলো, অসীম বলো,
আমি যে তোমাকে দেখি –
আমার চির দিনের দেখা।
বলতো কবে হবে তোমাকে আমার
দেখার শেষ !
নাকি সময় ছুটে যাবে, শুধু থেকে যাবে
তোমাকে না-দেখার রেশ !
ছবি : নেট থেকে সংগ্রহিত।
রেটিং করুনঃ ,
প্রবন্ধ লেখকের খোলসে একজন
কবি আবির্ভূত হলেন লিখালিখির ভূবনে!
স্বাগম হে মান্যবর, কবি রব্বানী ।
শুভেচ্ছা স্বাগতম,
কবি ভাইয়ের আগমন
প্রবন্ধ লেখকের খোলসে একজন
কবি আবির্ভূত হলেন লিখালিখির ভূবনে!
ধন্যবাদ নূরু ভাই, অন্ততঃ আপনার কাছ থেকে প্রবন্ধ লেখকের একটি স্বীকৃতি পাওয়া এটাই জীবনের পড় পাওয়া।
কবিতা ধরণের দুই চার লাইন যা লিখেছি ! তা হচ্ছে লিখালিখির মাঠে লেখার ঘাটতি পূরণর চেষ্টা মাত্র।
গদ্য কবিতাটি এতই ভাল লাগল যে আমি কয়েকবার পড়লাম। এত সহজভাবে যে বলা যায় তা দেখে বিস্মিত হয়েছি।
দারুন!
আপনার কবিতাটি পড়ে আমিও একটি আগের লেখা থেকে একটি গদ্য কবিতা পোষ্ট করলাম। আশা করি পড়বেন।
গদ্য কবিতাটি এতই ভাল লাগল যে আমি কয়েকবার পড়লাম। এত সহজভাবে যে বলা যায় তা দেখে বিস্মিত হয়েছি।
এমন মন্তব্য পাওয়ার পরে এখন এই ধরণের লেখা বার বার লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে। আসলে পাঠকই আমাদের লেখায়, ভালো পাঠক অর্থ ভালো লেখা।
অসাধারণ হয়েছে লেখাটি, লেখায় গভীরতা আছে বেশ বুঝা যায়্
আমিও তোমায় দেখতে পাব চির দিনের দেখায়-
যে দিন তুমি সত্যিকারের আলো হবে
যেমন ধর, বাতি ঘরের আলো, জোস্নার আলো
বাগানে জোনাকীর আলো,
নিবিড় ঘন ঘরে মোমবাতির আলো, কিম্বা
মনের আলো, জ্ঞানের আলো।
চমৎকার!!
সত্যিকারের আলো কী সুন্দর উপমা!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রব্বানী ভাই!!
লেখায় উতসাহ দিলে আরও লেখার আগ্রহ বাড়ে, তবে এ সব লেখা লেখার ছলে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন আপা।
বাহ চমৎকার কবিতা সংগ্রহ, রোমান্টিক বেদনারও বটে
:yes: :yes: :heart: :heart: :rose: :rose:
রোমান্টিক বেদনারও বটে
একটি সাধারণ লেখায় এমন অর্থ বের করা দেওয়া লেখকের জন্য অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। শুভেচ্ছা জানবেন অনেক।
” তবে ভুবন বলো, আকাশ বলো
সীমা বলো, অসীম বলো,
আমি যে তোমাকে দেখি –
আমার চির দিনের দেখা।”
এমন কথা যদি কাউকে লিখে যেতে পারতাম।
চেষ্টা ও নিয়মিত লেখার চর্চা করে যান আমার ও অনেকের থেকে অনেক ভালো লিখতে পারবেন।
এক কথায় দারুণ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রব্বানী ভাই, দুপুরে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম, এখনো প্রকাশ হয় নাই। আপনাদের দেখেই ব্লগে এলাম কিন্তু লেখা প্রকাশ না হোয়ার কারণ বুঝতে পারলাম না।
কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসব, আশা রাখি সমাধান হবে