একটি বিষয় অনেকের কাছে পরিষ্কার যে, লেখার দক্ষতা সবার মাঝে আসে না, আসে গুটি কয়েক গুণি-জনের মাঝে। আমার নিজের অবস্থান অ-গুণি-জনের তালিকায়। সহজে বা সহজ পন্থায় আমার কলমে লেখা বা লেখার ভাব আসার কথা নয়। ইদানিং লেখা বা লেখার ভাব মনে বা কলমে আসে না বলা যায়। নিজের কাছে প্রশ্ন রাখি তবে কি চির তরে লেখা-লেখি ভুলে গেলাম !!
ব্লগের হাত ধরে কিছু বা তৎসামান্য লেখার একটা হাত ছিল, আপাততঃ তা বন্দ। লেখার হাত এখন অনেকটাই অচল। এই অচল ভাবটা আমার মত যারা লেখক তাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক। আমরা অনেকেই মাঝে মাঝে লিখি আবার থামি, যিনি লেখেন তিনি সর্ব অবস্থায় লিখেন, শত ব্যস্ত্যতার মাঝে, অন্ধত্ব বরণের মাঝে, পংগুত্ব বরণের মাঝেও লিখেন। আমি নিজে একজন সচল মানুষ হয়েও লেখার ক্ষেত্রে একে বারে অচল ইদানিং।
জীবনে বেঁচে থাকতে বা সমাজে চলতে নানান ধরনের সমর্থনের প্রয়োজন পড়ে, মনের অনেক ভিতর থেকে যদি একটি সমর্থনের আভাস পাওয়া যায় যে, লেখার ক্ষমতা চির তরে হারিয়ে ফেলি কি এমন ক্ষতি হবে জীবনে !! যোগ্যতা থাকা সত্বেও কোন কিছু না লিখা, লেখার চর্চা না করা এতে তেমন কোন ক্ষতি আসে না জীবনে। অনেকের কাছে উন্নত মানের দুই একটি কবিতার লাইন, কোন বিখ্যাত উপন্যাসের একটি উক্তি রাজধানী শহরের একটি বা একাধীক ফ্লাটের চেয়ে অনেক মূল্যবান আবার অনেকের কাছে একটি বা একাধীক ফ্লাট, ফ্লাট গড়ার চিন্তা, সময় ব্যয়ের কাছে দুই একটি বিখ্যাত কবিতা, কবিতার লাইন, কোন বিখ্যাত উপন্যাসের একটি উক্তি একে বারেই মূল্যহীন।
একজন লেখকের লেখা বা একজন কবির কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে কখনও জীবন সার্থক হয় আবার জীবনে সার্থকতা আসে না। যিনি লেখক, যিনি কবি তিনি কোন কিছু লাভ বা লোকসানের কথা চিন্তা না করে লিখে যান। শুধু লিখে যান বলেই তিনি একজন কবি বা লেখক।
আমি বা আমার মত অনেকেই নানান কারণে একজন কবি বা লেখক হতে পারি নি। পৃথিবীর চলার পথে কোন চিহ্ন রেখে যেতে পারি নি, তবে পৃথিবী পরে পদ চিহ্ন রেখে যাওয়ার রাস্তাটা সব সময়ই খোলা।
তারিখ: অক্টোবর ০৮, ২০১৬
রেটিং করুনঃ ,
মিথ্যাচার, লোভ, দমন-পীড়ন, জিঘাংসা হত্যাতেই জীবনধারার অবসান হয় না। সব রকম ধ্বংস ও বিপর্যয়ের পরও জীবনের ধারা অনবরত বয়ে চলে এবং সৃজনশীলতার ফুল ফোটায়। জীবনের কথাই যদি সাহিত্যের কথা হয়, তাহলে পাশবিকতা, ধ্বংস ও বিপর্যয় যেমন বাস্তবতা ও সাহিত্যের বিষয়, তেমনি ওই সবের পাশাপাশি ফুল ফোটানোর বাস্তবতাও সাহিত্যের বিষয়।
মানুষকে এবং তার জীবনকেই, সব রকম অনুষঙ্গসুদ্ধ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বর্তমানের লেখকেরা, আর আমরা সেই লেখকদের সারিতেই নিজের একটু-আধটু অবস্থান লাভের চেষ্টা করি মাত্র।
মানুষকে এবং তার জীবনকেই, সব রকম অনুষঙ্গসুদ্ধ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বর্তমানের লেখকেরা, আর আমরা সেই লেখকদের সারিতেই নিজের একটু-আধটু অবস্থান লাভের চেষ্টা করি মাত্র।
কথাগুলির সাথে খুব একমত, লেখা দিয়ে মানুষ যতটা বিকশিত হয় অন্যান্য মাধ্যমগুলি তত শক্তিশালী নয়, লিখা লিখি করে একজন মানুষ পারে এই পৃথিবীর পরে কিছু অবদান রেখে যেতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ মালেক ভাই।
আমি লেখা লেখি পারিনা, তাই ক্যামেরা নিয়া দৌড়াই :-)
আপনার লেখা ও বর্ণনার কাছে আমরা প্রতি দিনই হার মানি আর অবাক হয়ে ভ্রমণের বর্ণনাগুলি পড়ি সাথে ছবি তোলাতে তো এক কথায় তুলনাবিহীন এ কথাসবাই জানে ।
আমি পথের পথিক এখন থেকে ভাবছি পথে প্রান্ত্ররে যা দেখবো তাই লিখে লিখে লেখার দক্ষতা বাড়াব, নাই বা হলাম আমি একদিন ইবনে বতুতা, তবুও তো বলে যেতে পারব লিখালিখির আঙ্গিনায় দুই চার লাইন লিখেছিলাম একদিন।
মনে হচ্ছে আমার তুলনায় আপনার লেখার দক্ষতা ভালো আমাকে একটু গাইড লাইন দিয়েন।
আমি পথের পথিক এখন থেকে ভাবছি পথে প্রান্ত্ররে যা দেখবো তাই লিখে লিখে লেখার দক্ষতা বাড়াব, নাই বা হলাম আমি একদিন ইবনে বতুতা, তবুও তো বলে যেতে পারব লিখালিখির আঙ্গিনায় দুই চার লাইন লিখেছিলাম একদিন।
প্রতিদিন দুই চার লাইন করে লিখে গেলে আপনি একজন ভবিষৎ লেখক তা আমি একশত বছরের জন্য বলে গেলাম।
আনেক অনেক শুভেচ্ছা রববানী ভাই আপনাদের সাথে থাকতে পারব বলে
আপনাকে লিখালিখি প্রঙ্গনে স্বাগতম।
পোষ্ট দিন, আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
বন্ধুত্বপূর্ণ, কখনো বা সমালোচনা মুখর মন্তব্য প্রাণবন্ত করে তোলে ব্লগিং।
আশা করি লিখালিখিতে আপনার চলা হবে আনন্দের।
আলভী ভাই আপনাকে স্বাগত ! একে একে আমরা সকলে এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি, খুব শিঘ্রই আপনার মজার মজার লেখাগুলি পাব প্রত্যাশায় থাকলাম।
আমাদের প্রিয় আলভী ভাইকে স্বাগত জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মালেক ভাই।
// আমি বা আমার মত অনেকেই নানান কারণে একজন কবি বা লেখক হতে পারি নি। পৃথিবীর চলার পথে কোন চিহ্ন রেখে যেতে পারি নি, তবে পৃথিবী পরে পদ চিহ্ন রেখে যাওয়ার রাস্তাটা সব সময়ই খোলা।//—-
মুল্যবান কথা। চর্চা না থাকলে লিখালিখিতে মনের ভাব প্রকাশ হয় না!
তবে আপনার মত ‘জাত লেখক’-দের হাত সব সময়ই খোলে!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!
চর্চা না থাকলে লিখালিখিতে মনের ভাব প্রকাশ হয় না!
ঠিকই বলেছেন আপা, লেখালিখিতে নিয়মিত চর্চা মনের ভাব ভাব সেই সাথে নিজেকে প্রকাশ করা যায় না। নিয়মিত লেখার চর্চাই বড় কথা আর আমরা অনেকেই নিয়মিত লিখি না বলেই আমাদের অনেক প্রতিভার মৃত্যু ঘটে প্রতি নিয়ত।