জীবনের প্রথম ভাগে একজন প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসে , মানুষ এক সময়ে সংসারে বন্দী হয়ে যত বড় জালে আটকা পড়ে থাকুক না কেন, জীবনের বৃত্ত যতই ভাঙ্গার চেষ্টা করুক না কেন বা কোন শৃঙ্খলের মধ্যে বন্দী থাকতে চাক না কেন জীবনের প্রথম ভাগে প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনে যিনি বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তাকে অস্বীকার করা যায় না।
দাবির বড় একটি বৈশিষ্ট হলো যে, সে একটি বড় জায়গা দখল করে থাকে, আমার মন অন্তকরণে কয়েকটা জায়গা ভাগ করে দিলাম যেমন বাবা তাঁর বিষয় সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দেয় তেমন করে আমার অতীত, আমার কর্ম স্থল, আমার সংসারকে আমার অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভাগ করে দেওয়ার পরেও বেশ বড় একটি জায়গা পড়ে আছে তার জন্য যিনি জীবনে বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তা একবারেই, অনেকে স্বীকার করেন আবার অনেকে স্ব-যত্বনে রেখে দেন মনের অনেক গভীরের সিন্দুকে। ।
অনেক কিছু স্মুতিতে থাকা, না থাকা; অনেক কিছু স্বীকার করা বা না করা এ সবই মানুষের নিজস্ব বিষয়। সেই সব দিনগুলিতে বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন যিনি যেমন ষ্পষ্ট থাকেন, স্বচ্ছ থাকেন, বরং সেখানে কোন ধূলা-বালি পড়ে না, দিনগুলির সব ঘটনা অনুভুতি যেন সকালের চকচকে রৌদ্র। সেই সব স্মৃতিগুলি কেন এত ষ্পষ্ট, স্বচ্ছ, প্রাণ-বন্ত বা প্রাণের অধিক ! আমার ধারণা এ সবের একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখা আছে।
সংসারে, কর্ম-স্থলে ব্যস্ত থেকে জীবনের প্রথম ভাগে বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন যিনি তাকে ভুলে থাকাটা বেশ স্বাভাবিক, কিন্তু সবার জন্য সব কিছু স্বাভাবিক হয় না, আমি নিজেও অনেক সময় স্থির হয়ে পড়ি, শ্বাস-প্রশ্বাসে বড় একটি পরিবর্তন আসে। “জীবনের সব চাওয়া পূর্ণ হয় না” বা ” যা চাই তা পাই না” এই সমস্ত বিখ্যাত বাক্যগুলিকে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে, এ ইচ্ছার অর্থ বুঝি না, এ ভাবনা যে একটি অনর্থক ভাবনা ‘ আমার মত করে এ বিশাল বিশ্বে কত জনের জন্ম ! কেউ কারো মত করে জন্ম গ্রহন করে না, সবাই নিজের মত করে জন্ম গ্রহন করে। এটা আমি বুঝি তার পরও বিশাল এক বিশ্ময় তাকে নিয়ে যিনি আসেন জীবনের প্রথম ভাগে এক বিশাল ও ধ্যান-মগ্ন দাবি নিয়ে, জগতে তিনি একজনই যাকে ছাড়া অন্যকে ভাবা যেন মহা অন্যায় !
মানুষ হয়ে যখন জন্মেছি তখন জগতের রীতি-নীতি না বুঝার কথা নয়, কবি কবিতা লিখে কত টাকা পায় ! শিল্পী শিল্প গড়ে কতটাকা পায় ! জগতের সব কিছু তো টাকা দিয়ে কেনা যায় না, টাকার জন্য সব কিছু হয় না তেমনি বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তিনি লাভ-লোকসানের হিসাব-নিকাশেও আসেন না।
এই সব ভাবনা নিয়ে প্রায় লেখা হয়, সময় নষ্ট করা হয় এ সব আমার আয়ের বিপরীতে কাজ করে অনেকে তা পছন্দ করে না, আমার সংসারের মানুষের কাছে বড় বিপদজনক, বড় বড় সন্দেহের সূচনা কারক এ সব ভেবে কি কিছু লেখা থেমে থাকছে ! লেখা থেমে থাকছে না।
ভালো লাগার বিষয়গুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন তা আজ ষ্পষ্ট, ভালোবাসার বিষয় কখনও ভালো লাগায় এসে মিলিয়ে যায় না, নানান কর্মে, নানান ব্যস্ততায়, নানান সুখকর, দুঃখের সময় স্মৃতির পথ ধরে কাছে আসা, জানান দেওয়া এ সব ভালোবাসার একটা বড় কারণ বলে মনে হয়।
যিনি বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তিনি আলো, আলোচ্ছটা তাকে দ্বি-খন্ডিত করার কারো শক্তি নেই, যদি তার ঠাঁই অন্তরে তবে তিনি অন্তরই থাকেন, কিম্বা আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে।
রেটিং করুনঃ ,
রব্বানী ভাই চলে এলাম লেখালেখিতে
@ কামাল ভাই।
লিখালিখিতে স্বাগতম। আশা করছি আমরা এই প্লাটফর্মটি আনন্দঘন করে তুলতে পারব।
শুভ কামনা রইল।
আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য কামাল ভাই – এটি একটি গর্বের বিষয়।
অবশ্যই চলে আসবেন আর যেখানে থাকি যেন এক বন্ধনে থাকতে পারি যতদিন আছি এ পৃথিবীর ‘পরে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা কামাল ভাই।
কবি কবিতা লিখে কত টাকা পায় ! শিল্পী শিল্প গড়ে কতটাকা পায় !
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।
জগতের সব কিছু তো টাকা দিয়ে কেনা যায় না, টাকার জন্য সব কিছু হয় না তেমনি বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তিনি লাভ-লোকসানের হিসাব-নিকাশেও আসেন না।
বিলিয়ন ডলার উত্তর। :yes:
সম্পূর্ণ লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম।
বেশ ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।
একজন লেখকের বড় সম্পদ হচ্ছে তার পাঠক, পাঠকই পারে একজ লেখক তৈরী করতে। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মালেক ভাই।
যিনি বিশাল এক দর্পিত দাবি নিয়ে আসেন তিনি আলো, আলোচ্ছটা তাকে দ্বি-খন্ডিত করার কারো শক্তি নেই, যদি তার ঠাঁই অন্তরে তবে তিনি অন্তরই থাকেন, কিম্বা আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে।
কয়েকবার পড়লাম।
মনের আবেগে কিছু কথামালা। এলোমেলো ভাব প্রকাশ। তবু ভাল যে কেন লাগে এইসব ছাইপাশ বুঝি না।
যত্তোসব আবগী উচ্চারণ।
ঠিকই বলেছেন, আবেগী মানুষরা এখন অচল আর দেশ সমাজের বোঝাও বটে, অ-উৎপাদনশীল। ইস্পাত মন নিয়ে চলেন যারা তারাই এখন ভালো করছে তরতর করে উঠে যাচ্ছে, তবে কোথায় তাও বুঝা খুব দায়।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটি পড়ে মনটা বেশ প্রসারিত হলো।