মেট্রো রেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের আগে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পেছনের ছাত্রলীগের আঁকা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত মেট্রো রেলের পিলারকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় পিলারটিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভের সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করা হয় এবং এই ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি’-এর ব্যানারে এই আয়োজন করা হয়।
এ সময় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ঢাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘হাজারো শহীদের আত্মদান, লাখো ছাত্র, শ্রমিক, জনতার দীর্ঘ সংগ্রামের ফলস্বরূপ বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে বিজয়ী হয়। হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বিজয় খুনি হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে৷ মেট্রো রেলের এই বিশাল স্তম্ভে আঁকা শেখ হাসিনার বিশালকার চিত্র ফ্যাসিবাদের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ৩ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগেই জনগণ ফ্যাসিবাদের এই দম্ভচিত্রের ওপর নিজেদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে শুরু করে, যা পূর্ণতা পায় ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের জনগণের ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচারের প্রতি ঘৃণার প্রতীক হয়ে যুগ-যুগান্তর দাঁড়িয়ে থাকবে এই স্তম্ভ।
আগামী দিনের বাংলাদেশে যেকোনো শাসককে স্বৈরাচারী এবং ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে এই স্তম্ভকে যুগ-যুগান্তর ধরে সংরক্ষণ করার গণ-ঘোষণা দেওয়া হলো।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মানসকন্যা খুনি হাসিনার জন্মদিনে এটা জনতার পক্ষ থেকে ছোট্ট উপহার। এই স্তম্ভ সংরক্ষণে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ কমিটি সচেতন ভূমিকা পালন করব৷ সারা বাংলাদেশের যেখানেই জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশে এমন স্তম্ভ কিংবা চিত্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেসব সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। প্রয়োজন হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর।
তারিখ:সেপ্টম্বর ২৮, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,